নানা বিতর্কের
মধ্যে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সময়টা
ভালো কাটেনি। ক্লাব ও কোচ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্যের পর দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তিও এখন
আর নেই। তার ওপর ক্লাব থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঠিক এই অবস্থায়
পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপে মাঠে নামতে যাচ্ছেন ৩৭ বছর বয়সী তারকা।
লিওনেল মেসির
মতোই রোনালদোর এটা পঞ্চম বিশ্বকাপ। ২০০৬, ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলেছেন সাবলীলভাবে।
১৭ ম্যাচে করেছেন ৭ গোল। এরই মধ্যে ২০১৮ সালে তো স্পেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকও আছে।
জাতীয় দলের হয়ে ১৯১ ম্যাচে ১১৭ গোলের মালিক রোনালদোকে নতুন রেকর্ড ডাকছে।
৩৭ বছর বয়সী তারকার
এটাই হয়তো শেষ বিশ্বকাপ। যদি কাতারে গোল করতে পারেন তাহলে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করা প্রথম
ব্যক্তি হবেন তিনি। এছাড়া রোনালদো কাতারের বৈশ্বিক আসরে ৩ গোল পেলেই কিংবদন্তি ইউসেবিওকে
টপকাতে পারবেন। ’৬৬-তে দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে যাওয়ার নায়ক
ইউসেবিওর ছিল ৯ গোল।
ক্যারিয়ারের শেষ
দিকে এসে এতো ঝড়-ঝাপ্টার মুখোমুখি হবে তা হয়তো ভাবেননি রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে
গত মৌসুম তো ভালোই কেটেছে। দল বড় সাফল্য না পেলেও পর্তুগিজ তারকা ছিলেন উজ্জ্বল। আর
এবার ঠিক উল্টো চিত্র দেখতে হচ্ছে। এমনটি হয়তো কোনও সময় প্রত্যাশিত ছিল না।
তারপরেও দোহার
অনুশীলনে রোনালদোকে প্রাণবন্তই মনে হচ্ছে। সব বিতর্ককে পেছনে ফেলে দিয়ে নতুন করে ঝাঁপিয়ে
পড়ার অপেক্ষায়। তার পায়ে চিরাচরিত সেই ড্রিবলিং দেখার সুযোগ তো কেউ মিস করতে চাইছেন
না। গোল করে ‘সিআরসেভেন’-এর স্বভাবসুলভ
সেই উদযাপনের ভঙ্গি কে না দেখতে চায়!
লিওনেল মেসির
প্রথম ম্যাচ মোটেও ভালো কাটেনি। অপ্রত্যাশিত হার দিয়ে শেষ হয়েছে সৌদি আরব ম্যাচ। আজ
অন্য দুই তারকা নেইমার ও রোনালদো মাঠে নামতে যাচ্ছেন। দুজনেরই সামনে নিজেদের নতুন করে
প্রমাণের পালা। ব্রাজিলের সার্বিয়া ও পর্তুগালের ঘানা পরীক্ষা।
যেভাবে আর্জেন্টিনা
ও জার্মানি হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে। তাতে করে নেইমারের পাশাপাশি রোনালদোরও আশাতীত
পারফরম্যান্স দেখানোর সময় এসেছে। এতে করে দলই উপকৃত হবে। আর সব নেতিবাচক প্রশ্নের উত্তর
সহজেই দিতে পারবেন ইউসেবিও-ফিগোর পর পর্তুগালের বড় তারকা রোনালদো। পাঁচবারের ব্যালন
ডি’অর জয়ী তারকা আজ কি ঘানার বিপক্ষে নিজেকে
মেলে ধরতে পারবেন? ম্যান ইউর পর রোনালদো কোথায় যাবেন তা এখনও অনিশ্চিত। সেই অনিশ্চয়তার
ছাপ হয়তো পড়বে না বিশ্বকাপে!