Logo
শিরোনাম

রমজানের বিশেষ কিছু আমল

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বছর ঘুরে আবার এলো মাহে রমজান। এই রমজানের বিশেষ কিছু আমল আছে। অন্যান্য আমলের পাশাপাশি আমরা এগুলো করতে পারি। এর দ্বারা আশা করা যায় রমজানের পুরোপুরি ফজিলত অর্জিত হবে।

* যখন রমজানের চাঁদ দেখব আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করব। বলব, আল্লাহ এই চাঁদ আমার ঈমান, আমল, বরকতের জন্য কবুল করে নাও।

* এরপরে দিনের বেলায় তো রোজা আছি আলহামদুলিল্লাহ। রোজাটা আমরা রাখার মতো করে রাখব। ঠিক রাতের বেলা আমরা কিয়ামুল লাইল করব। আল্লাহর রাসুল বলেছেন, তোমরা রাতের বেলা সালাত আদায় কর। এই সালাত কিয়ামতের ময়দানে তোমার জন্য শাফায়েত হিসেবে পেশ করা হবে আল্লাহর কাছে। এটা তখন আল্লাহর কাছে তোমার জন্য সুপারিশ করবে। এ জন্য কেয়ামুল লাইল পড়ব।

* তারাবির সালাত পড়ব, তাহাজ্জুত পড়ব। ইফতার করব এবং ইফতারটাকে আমরা বিলম্বে করব না। কারণ ইফতার যদি সময়মত করি এর মধ্যেই কল্যাণ আছে রাসুল সা. বলেছেন, যতদিন আমার জাতি কল্যাণের পথে থাকবে ততদিন তারা সময়মত ইফতার করবে।

* ইফতারে কী খেলাম না খেলাম তার দিকে তাকাব না। আল্লাহর রাসুল সা. খেজুর, পানি, দুধ দিয়ে ইফতার করেছেন। আমরা এখন খাবারের পেছনে ছুটছি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে রমজান যেন খাবারের উৎসব। আসলে তা নয়। রমজান হলো ত্যাগের মাস। আপনি না খেয়ে আরেকজনকে খাওয়ান। এত বেশি খাওয়ার আমরা চিন্তা করব না।

* এরপর আসে সাহরি। আল্লাহর রাসুল সা. বলেছেন, সাহরি খাও, এই সাহরির মধ্যেই তোমার জন্য বরকত রয়েছে। সুতরাং বরকত পেতে চাইলে সাহরি খেতে হবে। রাসুল সা. এরপর বলেছেন, ইফতারের পূর্বে দোয়া কবুল হয়। আমরা যখন ইফতার করব তখন আল্লাহর কাছে কায়োমনো বাক্যে দোয়া করব।

* রাসুল সা. বলেছেন, রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দের সময়- একটি হলো ইফতারের সময়, অন্যটি হলো যখন আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ হবে। তাই ওই সময় আমরা বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দোয়া করব।

আরেকটি হচ্ছে, মিথ্যা বর্জন করা। মিথ্যা কথা বললাম, রোজাও রাখলাম এ রোজা কোনো কাজে আসবে না। সমস্ত ধরনের পাপাচার থেকে জবানকে হেফাজত করব নিজেকে হেফাজত করব। ঝগড়া বিবাদ থেকে বেঁচে থাকব। আরেকজনকে ইফতার করানোর চেষ্টা করব। যদি ইফতার করাই তাহলে তিনি যে সওয়াব পাবেন রোজা রেখে সমপরিমাণ সওয়াব আল্লাহ আমাকেও দান করবেন।

* এরপর বেশি বেশি করে কুরআন তেলাওয়াত করব। অনেক বড় বড় আছে যারা রমজানে সকল কাজ বাদ দিয়ে শুধু কুরআনের তেলওয়াত করেন। অধিক পরিমাণে দান সদকা করব। রাসুল সা.-এর দানের ব্যাপারে বলা হয়েছে বাতাস যেভাবে বয়ে যায় এতটা বেশি তিনি দান করতেন। তাই আমরা আমাদের দানের হাতকে বাড়িয়ে দেব।

* রাসুল সা. মিসওয়াক করতেন। প্রতিদিন আমরা সে অভ্যাসটা চালু করব। রাসুল সা. বলেছেন, এই মিসওয়াক কতটা উপকারী যদি জানতে তাহলে আমরা উম্মতরা মিসওয়াক নিয়েই পড়ে থাকত। আমার উম্মতের জন্য যদি কঠিন না হতো তাহলে মিসওয়াককে ফরজ বলে আখ্যায়িত করতাম।

* এরপর যদি আপনার সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনি ওমরা করবেন। রাসুল সা. বলেছেন, আমার যে উম্মত রমজানে ওমরা করল সে যেন আমার সাথে হজ করল। শেষ দশ দিন বেশি বেশি আমল করা।

* রাসুল সা. রমজানের রাতে ঘুমাতেন না। কিন্তু শেষ দশকে তিনি সবাইকে নিয়ে ইবাদত করতেন। এরপরের বিষয় হলো সময় থাকলে এতেকাফ করা। আপনি যদি ইতেকাফ করেন তাহলে কদর আপনার নসিব হবে। শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে ইবাদত করা। আমরা শেষ দিকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করব।

* আরেকটি হচ্ছে পুরো রমজানজুড়ে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা এবং মুক্তির জন্য দোয়া করব। আরেকটি হচ্ছে নফল অর্থাৎ সাধারণ যে আমলগুলো আছে সেগুলো আমরা বাড়িয়ে দেব। সর্বশেষ দুটি বিষয় হলো গোনাহ পরিত্যাগ করা ও তাকওয়া অর্জন করা।

* পবিত্র কুরআন শরিফে বলা হয়েছে, সিয়াম আল্লাহ তায়ালা ফরজ করেছেন যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার। তাকওয়াবান তাকেই বলে যে সব সময় চিন্তা করে যে আমি যা কিছু করছি আল্লাহ দেখতে পাচ্ছেন।

* সর্বশেষ বলবো, আপনার অধীনস্ত যারা আছেন তাদের কাজটাকে হালকা করে দেওয়া। তাদের ওপর চাপিয়ে না দেওয়া, তাদের কষ্ট না দেওয়া। আপনি যেমন রোজা রেখেছেন আপনার অধীনস্ত লোকও রোজা রেখেছে। তাই তার কাজ যদি হালকা করে দেন তাহলে সওয়াব পাবেন।

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে যে কথাগুলো বললাম আমরা যেন তার অনুপাতে চলতে পারি তার তওফিক যেন আল্লাহ তায়ালা আমাদের দেন। আমিন।

নিউজ ট্যাগ: রমজানের আমল

আরও খবর

আজ ঈদ

বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর