স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এ পর্যন্ত ১ম ডোজ ১৩ কোটি, ২য় ডোজ ১১ কোটিসহ লক্ষ্যমাত্রার ৯৬ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, এখনও হাতে ৫ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে এবং পাইপলাইনে আরো ৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। এখন দেশের অবশিষ্ট মানুষগুলো ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে দেশ আরো বেশি উপকৃত হবে। তিনি বলেন, ‘রোজার মধ্যেও কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত টিকা দেওয়া হবে।’
জাহিদ মালেক জানান, এসব কথা বিবেচনা করে গণটিকা কার্যক্রম আরো ৩ দিনের জন্য বর্ধিত করা হলো। এখন থেকে গণটিকা কার্যক্রম ৩ এপ্রিল পর্যন্ত আগের নিয়মে চলমান থাকবে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের জেলা,
উপজেলাসহ সরকারি হাসপাতালগুলোকে সেন্ট্রালি সুপারভিশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে জানিয়ে
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ক্রমান্বয়ে সব হাসপাতাল ডিজিটালাইজড হবে।
কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দ্রুতই হাসপাতালগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সেন্ট্রালি নজরদারিতে
রেখে জনগণের সঠিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বলেন, প্রতিটি হাসপাতালেই এক্সরে মেশিনসহ সবধরনের যন্ত্রপাতি নিশ্চিত থাকার কথা। অথচ
সরকারি হাসপাতালের পরিবর্তে অনেক ক্ষেত্রেই বাইরে থেকে পরীক্ষা করানো হয়। এতে সরকারি
অর্থে কেনা মেশিনগুলো অকেজো হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে, দেশের সাধারণ মানুষ সরকারের
বিনামূল্যে দেয়া সেবা না পেয়ে অন্যত্র বেশি অর্থ ব্যয় করতে বাধ্য হয়। এটি আর চলতে দেয়া
যাবে না।
তিনি বলেন,
কোভিডকালীন দুঃসময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত
নেয়া গেছে বলেই কোভিডে বর্তমানে দেশ এতটা ভালো অবস্থায় আছে। চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ
গোটা দেশবাসি কোভিড নির্মূলে একযোগে একে অপরকে সহায়তা করেছে।
অনুষ্ঠানে ১০টি
ক্যাটাগরিতে ৪৭টি পুরস্কার দেয় হয়। এরমধ্যে সেরা ১০টি উপজেলা হাসপাতাল, সেরা ৫টি জেলা
হাসপাতাল, সেরা ৩টি মেডিকেল কলেজ, সেরা ২টি বিশেষায়িত পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট ও
হাসপাতাল এবং সেরা ৮টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় কমিউনিটি
ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও
পরিবার কল্যাণ এবং সমাজকল্যাণ বিষয়ক প্রাক্তন উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের
আলী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার
কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক
ডা. এম ইকবাল আর্সলান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম. আবদুল আজিজ,
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বারডন জাং রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।