টানা তিন ম্যাচ হেরে নিজেদের শহরে ভাগ্য
বদলানোর মিশন নিয়ে এসেছে সিলেট সানরাইজার্স। কিন্তু ভাগ্য বদল হয়নি। হারের বৃত্তেই
আটকে আছে স্বাগতিকরা। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে শেষ ওভারে টানা তিন ছক্কায় ম্যাচ জমিয়ে
তুললেও হারই সঙ্গী হয়েছে তাদের। খুলনার ১৮৩ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো হলেও শেষ পর্যন্ত
১৬৭ রানে থামতে হয় সিলেটকে। ১৬ রানের জয়ে মুশফিকরা পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে গেছে।
অন্যদিকে টানা হারে কাগজে কলমে প্লে-অফের সম্ভবনা বেঁচে আছে সিলেটের!
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে
১৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি সিলেট। ওপেনিংয়ে এনামুল-লেন্ডল সিমন্স
মিলে তোলেন ৪৩ রান। সিমন্সের বিদায়ের পরও এনামুলের
দারুন সব শটে রানের চাকা সচল থাকে সিলেটের। ৩৩ বলে ৪৭ রান করে এনামুল আউট হতেই ছন্দপতন
ঘটে স্বাগতিকদের। ই উইকেট কিপার ব্যাটার ৩৩
বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।
এরপর মিঠুন (২), রবি বোপারা (০) ফিরে গেলে
স্লো ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেয় স্বাগতিকরা। শেষ দিকে মোসাদ্দেক ঝড়ে সিলেটের ব্যবধান কমে
আসে। শেষ ওভারে জিততে স্বাগতিকদের প্রয়োজন হয় ৩৬ রানের। প্রথম তিন বলে তিন ছক্কা মেরে
ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন আলাউদ্দিন বাবু। কিন্তু শেষের তিন বলে দুই রান আসলে সিলেটের
ইনিংস শেষ হয় ১৬৭ রানে। আলাউদ্দিন বাবু ৩ ছক্কায় ও ১ চারে ৭ বলে ২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস
খেলেন। মোসাদ্দেক ২২ বলে ৭ চারে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
খুলনার বোলারদের মধ্যে বরাবরের মতো সবচেয়ে
খরুচে বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ৩ ওভারে ৪৬ রান খরচায় উইকেটশূন্য ছিলেন এই পেসার।
থিসারা পেরেরা ও সৌম্য সরকার দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া খালেদ আহমেদ ও নাদিল সামাদ
একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ রানে
তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে খুলনা টাইগার্স। আন্দ্রে ফ্লেচার (১), মেহেদী হাসান (০)
ও ইয়াসির আলী (২৩) রান করে আউট হন। তিনজনের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে মুশফিক ও সৌম্য
মিলে অবিচ্ছিন্ন ১৩৬ রানের জুটি গড়েন। সিলেটের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই ৪৩ রানের ইনিংস
খেলে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন সৌম্য।
সোমবার নিজের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে খেলেন ৬২ বলে খেলেন ৮২ রানের ইনিংস। ৪ চার
ও ৪ ছক্কায় বাঁহাতি এই টপ অর্ডার নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। সৌম্যর পর মুশফিক পান হাফসেঞ্চুরির
দেখা। ৩৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রান নিয়ে নটআউট থাকেন মুশফিক।
সিলেটের বোলারদের মধ্যে সোহাগ গাজী ও স্বাধীন
একটি করে উইকেট নিয়েছেন। ইনজুরিতে তাসকিনের পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া স্বাধীন নিজের
অভিষেক ম্যাচে আলো ছড়াতে পারেননি। প্রথম দুই ওভারে ভালো করলে শেষ দুই ওভারে ছন্নছাড়া
বোলিং করে খুলনার রানের গতি বাড়িয়ে দেন।