Logo
শিরোনাম

সম্প্রচার জটিলতায় বাফুফে

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৯০০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ফুটবলের জনপ্রিয়তা ও দর্শক সেই আগের পর্যায়ে নেই। ঘরোয়া ফুটবলে গ্যালারি অনেকটা শূন্য থাকলেও জাতীয় দলের ম্যাচে এখনা নজরে রাখেন ফুটবলপ্রেমিরা। অনেকে ছুঁটে যান মাঠে, অনেকে আবার চোখ রাখেন টিভি-অনলাইনের মনিটরে। ২৪ মার্চ মালদ্বীপে বাংলাদেশের ম্যাচ দেখার জন্য ফুটবলপ্রেমীরা অনলাইনে ঘাটাঘাটি করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত গ্যালারিতে থাকা প্রবাসীদের ফেসবুক লাইভই ছিল ভরসা।

আগামী মঙ্গলবার মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে সিলেটে খেলবেন জামালরা। এই ম্যাচ কোন টিভি বা মাধ্যমে সম্প্রচার হবে এটি এখনো নিশ্চিত হয়নি। দেশের একমাত্র ক্রীড়া ভিত্তিক চ্যানেল টি-স্পোর্টসের সঙ্গে আলোচনা চলছে বাফুফের। দুই পক্ষ এখনো দর কষাকষির মধ্যে রয়েছে। আজকের মধ্যেই হ্যাঁ-না সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়ার কথা। দুই দিন পর খেলা শেষ মুহূর্তে এই দর কষাকষির কারণ সম্পর্কে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, আমরা আশা করছি ফুটবলপ্রেমীরা টি-স্পোর্টসের মাধ্যমে খেলা দেখতে পারবে। আমাদের মার্কেটিং বিভাগ এই ম্যাচের মাধ্যমে কিছু আয়ের চেষ্টা করছে। এজন্য বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

বাফুফের লক্ষ্য এই খেলার মাধ্যমে টিভি রাইটস বাবদ টি-স্পোর্টসের কাছ থেকে কিছু অর্থ আদায় করা। অন্যদিকে টি স্পোর্টসের খেলা সম্প্রচার করতেই অনেক ব্যয় হয় এর বিপরীতে তেমন বিজ্ঞাপন আসে না। এর উপর বাফুফেকে অর্থ দিলে তাদের লোকসানের শঙ্কা আরও বাড়ে।  অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের আয়ের অন্যতম উৎস টিভি স্বত্ত। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সেখানে এই খাত তেমন আয় করতে পারে না। এই প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা এখন চেষ্টা করছি কিছু ক্ষেত্রে উপার্জন করার। এটাও ঠিক সম্প্রচারকারী চ্যানেলেরও অনেক খরচ এবং তাদেরও লাভ সেক্ষেত্রে হয় না।’

দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেট বোর্ডে স্থায়ী আমানত ৯০০ কোটি টাকার বেশি। এই অর্থ হওয়ার অন্যতম মাধ্যম টিভি রাইটস বিক্রি। ক্রিকেট বোর্ড তাদের টিভি স্বত্ত্ব পেশাদারভাবে বিক্রি করে। বাফুফে নিলাম করে বিক্রি করা তো দূরে এখনো টিভি স্বত্ত্ব সংক্রান্ত সেই রকম নীতিমালা নেই।

বিসিবি ও বাফুফে উভয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট প্রতিষ্ঠান কে স্পোর্টসের। কে স্পোর্টসের সিইও ফাহাদ করিম বাফুফের টিভি স্বত্ত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে তার পর্যবেক্ষণ, আমাদের দেশের ক্রীড়ার বাজার ক্রিকেট কেন্দ্রিক। ক্রিকেটে একটা বিষয় হচ্ছে যারা টিভি রাইটস কিনছে তারাই স্পন্সর করছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফুটবলসহ অন্যান্য খেলায় টিভি রাইটস বিক্রি করা বেশ জটিল। লাভজনক না হওয়ায় এখানে আগ্রহীর সংখ্যা খুবই কম। এখানে আনুষ্ঠানিক নিলাম হলে তেমন প্রতিযোগিতা হবে না। তারপরও বাফুফে এই বিষয়টা আরো একটু সংগঠিতভাবে করতে পারে।’

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের স্বত্ত্ব কিনেছিল কে স্পোর্টস। সেই টুর্নামেন্ট দেশের বেসরকারি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের জন্য কে স্পোর্টসকে উল্টো অর্থ দিতে হয়েছিল, আমাদের এখানে ফুটবলের বাজার সেভাবে গড়ে উঠেনি। টুর্নামেন্টকে আকষর্ণীয় করতে উল্টো আমাদের অর্থ দিতে হয়েছিল।’ বলেন ফাহাদ করিম। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রথম আসর থেকে কে স্পোর্টসের আয় হলেও দ্বিতীয় আসরে লোকসান হয়েছিল।

বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবলে সাফল্য না থাকায় এখানে টিভি রাইটস কিনে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা তেমন থাকে না। নারী ফুটবলে সাফল্য অনেক। সেই নারী ফুটবল থেকে কিছুটা আয়ের আশা বাফুফের, সাফ অ-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে টি-স্পোর্টস আমাদের অর্থ দেবে এই আশ্বাস দিয়েছে। এখনো পায়নি, খুব শীঘ্রই পাব আশা করছি।’

সাফের টুর্নামেন্টের মূল স্বত্ত্ব ছিল সাফের। টুর্নামেন্টের আয়োজক হওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সেই টুর্নামেন্টের টিভি সম্প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছিল। তারা পরবর্তীতে টি-স্পোর্টসের কাছে বিক্রি করেছিল। সাফ, এএফসির আসরগুলোর স্বত্ত্ব সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর। তবে দ্বিপাক্ষিক বা আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে ফুটবলপ্রেমীদের আশঙ্কা থাকে বাংলাদেশের খেলা দেখতে পাবো তো। বিদেশে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলো বাংলাদেশে দেখানোর ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে তিনি বলেন, এই সম্প্রতি মালদ্বীপে ম্যাচ দেখানোর জন্য তারা কয়েক হাজার ডলার চেয়েছিল। একটি ম্যাচের জন্য এত খরচ আসলে ব্যয়বহুল। এএফসি’র টুর্নামেন্টে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের ম্যাচগুলো সমঝোতার ভিত্তিতেও সম্প্রচার হয়।’  মঙ্গোলিয়া এখন বাংলাদেশে রয়েছে। তারা বাংলাদেশের ম্যাচটি তাদের দেশে সম্প্রচারের জন্য খুব বেশি আগ্রহী নয়।

নিউজ ট্যাগ: বাফুফে

আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর