বিশ্বকাপের দ্বিতীয়
ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারতে হয়েছে ১০৪ রানে। তার
থেকে বড় ব্যাপার, আউট না হওয়া সত্ত্বেও সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। তা-ও আবার
নিজেরই ভুলে। ডিআরএস নিতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। প্রভাব পড়ে
দলের উপরও।
ঠিক কী হয়েছে
ঘটনাটি?
বাংলাদেশের ব্যাটিং
চলাকালীন পঞ্চম ওভারে বল করতে এসেছিলেন অনরিখ নোখিয়া। তাঁর বল ফুল লেংথে সোজাসুজি উইকেট
লক্ষ্য করে ধেয়ে আসে। সাকিব আড়াআড়ি খেলতে যান এবং ফস্কান। বল সোজা গিয়ে তাঁর ব্যাটে
লাগে। আম্পায়ার আঙুল তুলতে সময় নেননি।
সাকিব সেই সিদ্ধান্তে
একেবারেই খুশি হতে পারেননি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ডিআরএসের সিদ্ধান্ত নেন। বল যে উইকেটে
লাগছেই, এটা নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। কিন্তু বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়েছে কি না, সেটাই
দেখার দরকার ছিল। মাঠের আম্পায়ার যখন ডিআরএসের সঙ্কেত দেখাতে যাবেন, সেই সময়ই সাকিব
গিয়ে বলে দেন ডিআরএস নিতে চান না। তবু আম্পায়ার তাঁকে দু’বার জিজ্ঞাসা করেন। সাকিব তবু ডিআরএস না
নেওয়ার ব্যাপারে অনড় থাকেন। মাঠ ছেড়েও বেরিয়ে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
রিপ্লে দেখার
পরে বোঝা যায় কত বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বল সত্যিই লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়েছিল।
ফলে আম্পায়ারকে সিদ্ধান্ত বদলে ‘নট আউট’ ঘোষণা করতেই হত। সাকিব নিজের উপর ভরসা
রাখলে তাঁকে অত দ্রুত আউট হয়ে ফিরতে হয় না। হয়তো ম্যাচের ফলাফল বদলে যেতে পারত তিনি
উইকেটে থাকলে।
সমর্থকরা পর্যন্ত
সাকিবের সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে যান। অনেকে তাঁকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে শুরু করেন।
কেউ কেউ লেখেন, এই রিভিউ না নেওয়া শাকিবের অপরাধ। ও দলের সবচেয়ে ভাল ব্যাটার। তা হলে
কেন ও রিভিউ নেবে না? সব সময়েই ওকে প্রমাণ করতে হবে যে দল ওর আগে?