ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সফরেই দলে ঢুকে পড়েন। তবে ওয়ানডেতে ওই সফরে সুযোগ পাননি এনামুল হক বিজয়। অবশেষে প্রায়
তিন বছর পর ওয়ানডে একাদশে ফিরলেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে
আজ (শুক্রবার) হারারেতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে সুযোগ পেয়েই বুঝিয়ে দিলেন, এই
ফরম্যাটটাই তার সবচেয়ে প্রিয়। এত দীর্ঘ বিরতির ছাপ দেখা গেলো না তার ব্যাটে। ছক্কা
মেরেই করলেন হাফসেঞ্চুরি, মাত্র ৪৭ বলে।
এই প্রতিবেদন
লেখা পর্যন্ত ৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২২২ রান। বিজয় ৫০ আর মুশফিকুর
রহিম ১৭ রানে অপরাজিত আছেন।
টসের সময় জিম্বাবুয়ে
অধিনায়ক রেগিস চাকাভা জানিয়েছেন, শুরুর দিকে উইকেটের সাহায্য পেতে পারেন বোলাররা। যে
কারণে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তবে শুরুতে বোলারদের
সেই সুবিধাটা নিতে দেননি বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
হারারে স্পোর্টস
ক্লাব মাঠে মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচের মতো প্রথম ওয়ানডেতেও টস হেরেছে বাংলাদেশ।
স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের আমন্ত্রণে আগে ব্যাট করতে নেমেছে তামিমের দল। অনুজ সতীর্থ লিটনকে
নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের গোড়াপত্তন করেছেন তামিম।
রিচার্ড এনগারাভার
করা প্রথম ওভারের প্রথম পাঁচ বলই ছিল ডট। শেষ বলে ফ্লিক করে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের
খাতা খোলেন তামিম। অভিষিক্ত ভিক্টর নিয়ুচির করা পরের ওভার পুরোটা মেইডেন খেলেন লিটন।
তবে নিয়ুচির পরের ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই নিজের রানের খাতা খুলেছেন এ ডানহাতি ওপেনার।
নিয়ুচি-এনগারাভার
আঁটসাঁট বোলিংয়ের মাঝে নেতিবাচক ছিল ওয়েসলে মাধভেরের ওভারথ্রো থেকে দেওয়া বাউন্ডারি।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নন স্ট্রাইক প্রান্তে লক্ষ্যভ্রষ্ট থ্রো করে বাংলাদেশকে বোনাস
চার রান দেন মাধভের। এছাড়া নিয়ুচি লেগসাইডের অনেক বাইরে বল করে ওয়াইডসহ বাউন্ডারি দিয়ে
বসেন।
এরপর ওয়ানডে ক্রিকেটে
বাংলাদেশের হয়ে নতুন মাইলফলক উন্মোচন করেন বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সবার আগে ৮
হাজার রানের মাইলফলকে প্রবেশ করলেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৫৭তম
রান নেওয়ার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের ৮ হাজার রান পূরণ হয় তামিমের।
বাংলাদেশের আর
কোনো ব্যাটারের ওয়ানডেতে সাত হাজার রানও নেই। স্বাভাবিকভাবেই সবার আগে এই মাইলফলকে
ঢুকলেন তামিম। এর আগে ৫ হাজার, ৬ হাজার ও ৭ হাজার রানেও বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে
সবার আগে নাম লিখিয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
তবে মাইলফলকে
প্রবেশ করার পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি তামিম। ইনিংসের ২৬তম ওভারে সিকান্দার
রাজার বলে আউট হওয়ার আগে ৮৮ বল থেকে নয় চারের মারে ৬২ রান করেছেন টাইগার অধিনায়ক। যা
তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৪তম হাফসেঞ্চুরি।
লিটন দাস দারুণ
ব্যাটিং করছিলেন। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮১ রানে এসে হঠাৎ
পায়ে টান পড়ে ডানহাতি এই ব্যাটারের।এমনই অবস্থা যে উঠে দাঁড়াতেও পারলেন না। ফলে স্ট্রেচারে
শুয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে।