রুহুল আমিন, ডিমলা-নীলফামারী
প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডিমলায়
উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে আষাঢ়ের প্রথম দিনে হঠাৎ পানি বেড়েছে। এরই ফলে তিস্তা নদী বেষ্ঠিত
এলাকার গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সেই সাথে ডিমলার বুড়িতিস্তা, সিংগাহারাসহ
অন্যান্য নদীরও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর
তীরবর্তী স্বপন বাঁধ মসজিদ পাড়ার ৩০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২০-জুন)
তিস্তার পানি কিছুটা কমে গিয়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্বপন বাঁধ এলাকার
বাসিন্দা সবুজ ইসলাম বলেন,গত বন্যায় আমাদের গ্রাম রক্ষা তিস্তা নদী সংলগ্ন স্বপন বাঁধটি
ভেঙে যায়। বছর পেরিয়ে গেলেও বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামত হয়নি। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায়
ভাঙা অংশ দিয়ে বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ছে। বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি খুব বেশি না বাড়লেও
উজানে ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসায় তিস্তার পানি বেড়ে যায়।
স্থানীয়রা বলেন,
‘এখন একটাই দাবি
আর ত্রাণ নয়, চাই তিস্তার বাঁধ’।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, উত্তরবঙ্গের সীমান্ত এলাকা বেষ্ঠিত তিস্তা নদীর
পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। গত বুধবার রাত থেকে বাড়তে থাকে তিস্তার
পানি এর ফলে মজিদপাড়া, টাবুরচর, জিঞ্জিরপাড়া, খড়িবাড়ী, বাঘেরচড় গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ
করে। এইসব গ্রামে প্রায় পাঁচশ মানুষের বসবাস নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন।এখন
পানি অনেকটাই কমে গেছে, আপাতত আতঙ্কের কোন সম্ভাবনা নেই।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন
বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদদৌলা জানান, উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে
তিস্তার পানি কখনো বিপৎসীমার ওপরে আবারও কখনো বা বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে আজ সোমবার তিস্তার পানি প্রবাহ কিছুটা কমে গিয়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে।