কাতার বিশ্বকাপের
প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে গেছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। যে কারণে হতাশ দলটির
তারকা ফুটবলার লুইস সুয়ারেজ। সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপও খেলে ফেললেন সুয়ারেজ। বিশ্বকাপ থেকে
ছিটকে যাওয়ায় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি।
ঘানার বিরুদ্ধে
২-০ গোলে জয়ও বাঁচাতে পারল না উরুগুয়েকে। অন্য ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল
হেরে যায় দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে। আর এ খবর শুনে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে উরুগুয়ের মাথায়। জিতেও
পরের পর্বে আর যাওয়া হলো না সুয়ারেজদের।
দৃশ্যতই ভেঙে
পড়েন উরুগুয়ের ৯ নম্বর জার্সিধারী। রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই কাঁদতে দেখা যায় সুয়ারেজকে।
ক্রন্দনরত সুয়ারেজের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সুয়ারেজের কান্না দেখে ফুটবলপ্রেমীরা
নিজেদের স্থির রাখতে পারেননি।
উরুগুয়ে-ঘানা
ম্যাচের কথা শুনলে নস্টালজিক হয়ে পড়েন ফুটবলপ্রেমীরা। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ঘানা-উরুগুয়ে
ম্যাচে সুযারেজের হাত দিয়ে বল ধরা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। পেনাল্টি থেকে আসামোয়া জিয়ান
গোল করতে পারেননি।
জিয়ান পেনাল্টি
নষ্ট করায় লাল কার্ড দেখা সুযারেজ আনন্দে লাফিয়ে উঠেন। ঘানা সেই ম্যাচ হারে। কাতারে
ঘানার বিরুদ্ধে নামার আগে পুরনো সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়েছিল সুয়ারেজের
কাছে। জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি কি সেই হ্যান্ডবলের জন্য ক্ষমা চাইবেন? সুয়ারেজ সটান
জানিয়ে দেন, হ্যান্ডবলের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না।
কাতারে ফের জিতলেন
সুয়ারেজরা। খেলার শেষে উরুগুয়ান তারকা ইনস্টাগ্রামে আবেগপ্রবণ মেসেজ লিখেছেন।
সুয়ারেজ লিখেছেন-
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়া সব সময়ই দুঃখের ব্যাপার। তবে মনে শান্তি নিয়ে ফিরছি, কারণ
দেশের জন্য আমরা সর্বস্ব দিয়েছি। উরুগুয়ের মানুষ হওয়ার জন্য অত্যন্ত গর্বিত। এটাও জানি
আমাদের অনেকেই শ্রদ্ধা করে না। আমাদের সমর্থন করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে
থাকা উরুগুয়ের প্রতিটি মানুষকে ধন্যবাদ জানাই।
ওরা আমাদের সম্মান
করে না- এ মন্তব্য কাদের উদ্দেশে করলেন সুয়ারেজ, তা অবশ্য খোলসা করেননি উরুগুয়ের ৯
নম্বর জার্সিধারী। সুয়ারেজ যে সমালোচকদেরই টার্গেট করেছেন, তা অবশ্য বলাই বাহুল্য।