৩০ লাখ টাকার
ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে সুমন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে স্বামী দাবি করার অভিযোগে
দায়েরকৃত মামলায় কারাগারে গেছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া
খাতুন। রবিবার ( আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত আলেয়া খাতুন ও দুই সাক্ষীকে জামিন না
দিয়ে কারাগারে পাঠান।
আলেয়া বেগম এর
আগেও একাধিক বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে
জানা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া খাতুন একটি ভুয়া কাবিননামা তৈরি
করেন। কাবিনে স্বামী হিসেবে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানুর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামের
সুমন মিয়াকে স্বামী হিসেবে দাবি করেন। এরপর এ কাবিন দিয়ে আলেয়া খাতুন সুমন মিয়ার কাছে
স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করেন আর সেটি না দিলে ৩০ লাখ টাকা চান তিনি। তখন সুমন মিয়া রাজবাড়ী
১নং আমলী আদালতে কাবিননামাটি ভুয়া ও জালিয়াতি উল্লেখ করে মামলা করেন ২০২১ সালের ২১
জানুয়ারি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ওপর তদন্ত দেন।
শিক্ষা কর্মকর্তা
তদন্ত করে কাবিননামাটি ভুয়া এ মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। এরপর রবিবার দুপুরে
আদালতে জামিন নিতে গেলে ১ নং আমলী আদালতের বিচারক সুমন হোসেন আলেয়া খাতুন ও কাবিননামার
দুই সাক্ষীকে কারাগারে পাঠান।
এ মামলার বাদীপক্ষের
আইনজীবী নিজাম উদ্দিন হায়দার বলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর
গ্রামের মো. সুমন মিয়াকে রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া খাতুন স্বামী
হিসেবে দাবি করেন। পরে সুমন মিয়া বাদী হয়ে রাজবাড়ীর ১নং আমলী আদালতে “আলেয়া খাতুনের বিয়ের ৩০ লাখ টাকা ভুয়া
কাবিননামা” দাবি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালত আলেয়া খাতুন এবং কাবিননামায়
স্বাক্ষর করা দুই জন সাক্ষীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। মামলার আসামি হিসেবে আলেয়া খাতুন
ও তার দুই সাক্ষী রবিবার দুপুরে আদালতে জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালতের বিচারক তাদের
জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।