Logo
শিরোনাম

বালিশ-কুশনের যত্নে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শুধু বালিশের কভার পরিষ্কার করেই আমরা নিশ্চিন্ত থাকি। আর বছর বছর নতুন চাদর আর বালিশের কভার কিনলেও বালিশ বদলে ফেলার কথা একবারও ভাবি না। অথচ জানেন কি, অপরিষ্কার বালিশ রোগজীবাণুর বাসা। ভেবে দেখুন, গড়ে প্রায় প্রতিদিন আট ঘণ্টা আপনি বালিশে শুয়ে কাটাচ্ছেন। প্রতিদিন ঘাম, মৃতকোষ, হাঁচি বা কাশি থেকে আসা ব্যাকটেরিয়া সবই জমা হচ্ছে বালিশে। তাই বালিশের যত্ন নেওয়া এবং বালিশ পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।

যা করবেন: ধুলোময়লা, ঘামের হাত থেকে বালিশ পরিষ্কার রাখতে চেন দেওয়া বালিশের কভার ব্যবহার করুন। এতে ময়লা কম হবে। চেন দেওয়া কভার না থাকলে বালিশে দুটো কভার ব্যবহার করুন। এতে বালিশের ফেব্রিক পরিষ্কার থাকবে। বালিশের কভার এক সপ্তাহ অন্তর বদলে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারের জন্য সুতির মোটা কভার বেছে নিন। 

সপ্তাহে একবার বালিশগুলো ভ্যাকুয়াম করুন। সহজে ধুলোময়লা পরিষ্কার হবে। সারা রাত শোওয়ার পর অনেক সময় ঘামে বালিশ ভিজে যায়। সে ক্ষেত্রে ড্রয়ারে ৫-১০ মিনিট লো-হিট তাপমাত্রায় রেখে বালিশ শুকনো করে নিন। তুলার তৈরি বালিশ সপ্তাহে এক দিন রোদে দিন। বালিশ নরম থাকবে।

বালিশের রোঁয়া থেকে অ্যালার্জির সমস্যা মিটবে। তিন-চার বছর অন্তর তুলা বদলে ফেলুন। বালিশ ভালো থাকবে। সিনথেটিক ফাইবারে তৈরি বালিশ ঘরেই পরিষ্কার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ পানিতে মাইল্ড ডিটারজেন্ট দিয়ে বালিশ পরিষ্কার করে ঠান্ডা পানিতে ভালো করে বালিশ ধুয়ে নিন। ওয়াশিং মেশিনেও এ ধরনের বালিশ পরিষ্কার করা যায়।

প্রথমে বালিশ চেপে ভেতরের হাওয়া বের করে দিন। এবার ওয়াশিং মেশিনে বালিশ দিয়ে জেন্টল ওয়াশ সাইকেল বাটন প্রেস করুন। পরিষ্কার হওয়ার পর শুধু পানিতে বালিশগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। শেষে পানিতে ২-৩ ফোঁটা ভিনিগার মিশিয়ে তাতে বালিশগুলো একবার ডুবিয়ে তুলে নিন। বালিশের গায়ে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ওয়াশিং মেশিনের স্পিনড্রাই করে রোদে শুকনো করে নিন।

বালিশের কভার ধোওয়ার পর কাপড় মেলার তারে এমনভাবে ক্লিপ আটকে দিন যাতে ভালো করে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে। এতে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে। শিশুদের বালিশের কভার ধোওয়ার পর পানির মধ্যে কয়েক ফোঁটা অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড দিয়ে কভার ডুবিয়ে নিংড়ে মেলে দিন। একই বালিশ বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন না। বালিশ বেশি পুরনো হয়ে গেলে ভেতরের তুলা শক্ত হয়ে যায়। এ ছাড়া বালিশের শেপও খারাপ হয়ে যায়। এ রকম বালিশে শুলে কিন্তু ঘাড় ব্যথা অবধারিত। বালিশ ব্যবহারের উপযুক্ত আছে কি না তা বোঝার একটা সহজ উপায় আছে। বালিশ দুই পাশ থেকে ধরে ভাঁজ করে ছেড়ে দিন। যদি বালিশ আবার আগের শেপে ফিরে যায় তাহলে বুঝবেন বালিশ ঠিক আছে। না হলে বুঝবেন নতুন বালিশ কেনার সময় হয়েছে। বালিশ স্টোর করতে হলে প্লাস্টিকের ব্যাগে বালিশ ঢুকিয়ে আলমারিতে রাখবেন না। তার বদলে নরম সুতির চাদরে বালিশ মুড়ে আলমারিতে বা বক্স খাটে রাখতে পারেন।

কুশন কেয়ার: বিছানা বা সোফায় রঙিন কুশন সাজিয়ে রাখলে দেখতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু যেমন তেমন ভাবে কুশন ফেলে রাখলে অচিরেই ময়লা হয়ে যাবে। জেনে নিন কুশন কীভাবে ভালো রাখবেন। একসঙ্গে অনেক কুশন চেপে রাখবেন না। কুশনের ফোলাভাব কমে যাবে। কুশন দু-তিন সেট কিনে রাখুন। মাঝেমধ্যে বদলে দিন। দেখবেন ঘরের সাজই বদলে যাবে। সাজানোর জন্য ফোমের কুশন ব্যবহার করুন। সহজে নেতিয়ে পড়বে না। বালিশের মতো কুশনের তুলাও মাঝে মাঝে বদলে ফেলুন।

কুশনের ফোলাভাব কমে গেলে বাড়তি তুলা ভরে নিন। কুশন কভারে বিডস, কাচ বা অ্যাপ্লেকের কাজ থাকলে ড্রাই ওয়াশ করুন। কুশন ফেদারের হলে ড্রাই ক্লিন করতে হবে। ফেদারের কুশন ভ্যাকুয়াম ক্লিন করবেন না। এতে ফেদার নষ্ট হয়ে যাবে। পলিয়েস্টার প্যাডের তৈরি কুশন বাড়িতেই পরিষ্কার করে নিতে পারেন। তাই কেনার সময় কুশনের ফিলিং কী তা ভালো করে জেনে নিন।


আরও খবর

রাশিফল: কেমন থাকবে আপনার আর্থিক অবস্থা?

বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩

রাশিফল: দিনটি আজ কেমন যাবে!

মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট ২০২৩