Logo
শিরোনাম

চুমু থেকে ছড়াতে পারে করোনা

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৩০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
এইচআইভি বা হেপাটাইটিস বি-র মতো রোগ সংক্রমণের কিছুটা সম্ভাবনা থাকে। কাউকে চুমু খাওয়ার সময় দাঁতের কামড়ে ঠোঁট কেটে গেলে সামান্য হলেও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বিশ্বের বিভিন্ন গবেষক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ভাইরাসটিকে নির্মূল করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে প্রতিনিয়ত ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। তারপরও প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে অদৃশ্য শক্তিশালী এই ভাইরাসে। তবে এই সময়ের মধ্যে প্রেম থেমে নেই কারো। আর প্রেমে থাকলে তো ভালোবাসার মানুষকে চুমু খাওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।

করোনার এই সময় সঙ্গীকে চুমু খাওয়া কতটুকু নিরাপদ, এ নিয়ে অনেক প্রেমিক যুগলের মনে প্রশ্ন রয়েছে। হালকা চুমু ঠিক আছে। কিন্তু ফ্রেঞ্চ কিস? করোনার এই সময় সচেতন প্রেমিকরা তো এই বিশেষ সময়ও সচেতন। ফ্রেঞ্চ কিস করলে তো জীবাণু প্রবেশ করবে না, করোনা হওয়ার শঙ্কা হবে না- ইত্যাদি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রশ্ন জাগে মনে।

সুন্দর এই জিনিসকে অর্থাৎ ফ্রেঞ্চ কিসকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সেরা চুমু হিসেবেই মানা হয়। এই চুমুর সময় একজন অপরজনের মুখের ভেতর ঠোঁট, জিভ গভীরভাবে প্রবেশ করেন। দীর্ঘক্ষণ এভাবে অবস্থান করেন উভয়ই। আর এই মুহূর্তে শরীরে শিহরণ জেগে উঠার সঙ্গে সঙ্গে আবেগেরও সঞ্চার হতে থাকে। গভীরভাবে চুমু আদান-প্রদানের সময় একে অপরের মুখের লালারসও আদান-প্রদান হয়। এ কারণে রোগের আশঙ্কা করা হয়।

চুমুতে শরীর ভালো থাকবে: আপাত দৃষ্টিতে ফ্রেঞ্চ কিস থেকে রোগ সংক্রমণের কোনো ভয় নেই। বরং এতে মন ভালো হয়। তবে ভয়ের ব্যাপার হলো, দুজনের মধ্যে একজন যদি কোনো রোগে সংক্রমিত থাকেন তাহলে একজনের দ্বারা অপরজনের মধ্যে তা অনায়াসে সংক্রমিত হয়। এমনকি মুখের ইনফেকশন তো হয়ই এবং করোনা ছড়ানোরও সম্ভাবনা থাকে ফ্রেঞ্চ কিসের মাধ্যমে।

ফ্রেঞ্চ কিসের মাধ্যমে এইচপিভি (Human Papillomavirus) সংক্রমণও ছড়াতে পারে। তা থেকে এইচআইভি বা হেপাটাইটিস বি-র মতো রোগ সংক্রমণের কিছুটা সম্ভাবনা থাকে। কাউকে চুমু খাওয়ার সময় দাঁতের কামড়ে ঠোঁট কেটে গেলে সামান্য হলেও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যাদের ওসিডি (Obsessive Compulsive Disorder) সমস্যা রয়েছে তারা ফ্রেঞ্চ কিসের পর অনেক উদ্বেগে ভোগেন। এছাড়া দুজনের একজনের যদি এই ফ্রেঞ্চ কিসে অনীহা থাকে তাহলে সম্পর্কে কুপ্রভাব পড়ে। কেননা, একজন আরেকজন সঙ্গীর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হলে সেই সম্পর্ক দীর্ঘায়িত হয় না।

রোগ সংক্রমণের কোনো সম্ভাবনা বা আশঙ্কা না থাকলেও ফ্রেঞ্চ কিসের সময় বেশ কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। এবার তাহলে সেই সকল বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক-

চুমু খাওয়ার আগে মুখের ভেতরের পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

চুমু খাওয়ার সময় মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হলে সম্পর্কের ইতি হতে পারে।

মুখে ইনফেকশন থাকলে চিকিৎসা করান। রোগ সাড়িয়ে তারপরই সঙ্গীকে চুমু দিন।

ফ্রেঞ্চ কিসের আগে এমন কিছু খাবেন না যা থেকে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।

চুমু খাওয়ার আগে সুগন্ধি দিয়ে মুখশুদ্ধি করে নিন। সমীক্ষা বলছে চুমুর সময় স্বাভাবিক মুখ থাকলে সঙ্গী স্বস্তি পান।

চুমুর পর কখনোই সঙ্গীর সামনে মুখ ধুবেন না। এতে সে ভাববে আপনি তার প্রতি অস্বস্তি বোধ করছেন।


আরও খবর

রাশিফল: কেমন থাকবে আপনার আর্থিক অবস্থা?

বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩

রাশিফল: দিনটি আজ কেমন যাবে!

মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট ২০২৩