উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মামলায় তার বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর পুলিশের দায়ের করা মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর আক্রমণ ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা ও পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু ও রুপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ শাহারিয়ার বাবুসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, দুটি মামলার মধ্যে একটির বাদী বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান এবং অপরটির বাদী পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মামলায় তার বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর পুলিশের দায়ের করা মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর আক্রমণ ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, দুটি মামলায় ৩০-৪০ জনের মতো নামধারী এবং কয়েকশত অজ্ঞাত আসামি রয়েছে।
এদিকে বেলা পৌনে ১২টার দিকে নগরের কালিবাড়ি রোডস্থ মেয়রের বাসভবন হঠাৎ করেই ঘিরে ফেলেন র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা। এ সময় সেখানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। মেয়রের বাসার ভেতরে নেতাকর্মীরা যেতে চাইলে তাতেও পুলিশ বাধা দেয়। তবে কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চলে যান।
এ বিষয়ে ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল রাতের ঘটনায় যারা জড়িত ছিলেন তাদের কেউ কেউ ওখানে অবস্থান করছেন। সেজন্য সেখানে যাওয়া, তবে সেখানে গিয়ে সেরকম কাউকে পাওয়া যায়নি এবং কাউকে সেখান থেকে আটকও করা হয়নি।
এর আগে বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন উচ্ছেদ করতে অভিযান চালায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাদের অভিযান বন্ধ করে সকালে অভিযান চালাতে বলেন। কিন্তু সেটি না মেনে ইউএনও’র সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন সিটি করপোরেশন কর্মী এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা ইউএনও’র বাসভবনে হামলা চালান।
এ সময় ইউএনও'র নিরাপত্তায় আনসার সদস্যরা গুলি চালালে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে পুলিশের সঙ্গেও হামলাকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন।