Logo
শিরোনাম

কেন বরই খাবেন

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কিছু খাবারের কথা শুনলে জিবে যেমন জল আসে, তেমনি মানুষ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। বরই বা কুল যে নামেই ডাকি না কেন, এই ফলও সে রকমই একটি খাবার। আমের কথা শুনলে যেমন মনে পড়ে বৈশাখি ঝড় অথবা কাঠফাটা রোদে ছুটে বেড়ানো দুরন্ত কিশোরের কথা, বরই বা কুলের কথা শুনলে তেমনি শালুকপাতা চুরির কথা মনে পড়বে কারও কারও। সেই সঙ্গে মনে পড়বে বাঁশের চোঙ, ঘুঁটনি আর পকেটে খবরের কাগজ দিয়ে মোড়া লবণ নিয়ে ঘুরে বেড়ানো একটুকরা কিশোরকাল। সে অনুভূতি কাউকে বুঝিয়ে বলা যাবে না।

শীত শুরুর সময় প্রকৃতিতে যখন শীতনিদ্রার প্রস্তুতি চলতে থাকে, বরইগাছের তখন অভিসারকাল, সেটা সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস। সবুজ জমিনে সাদা ফুলের বাহারে তখন উর্বশী কুলগাছ। এরপর গুটি, গুটি থেকে খাইবার যোগ্য হয়ে উঠতে তার সময় লাগে বেশ খানিকটা। মাঘ মাসের দিকে কিছু বরই পাওয়া যায় বটে, কিন্তু এর পরিপক্ব হয়ে উঠতে উঠতে ফাগুন এসে যায়। সে জন্যই হিন্দুধর্মের লোকেরা বরই খেয়ে থাকে সরস্বতীপূজার দিন থেকে। এ সময়ে বরই একেবারে পরিপক্ব হয়। ধর্মের সঙ্গে এর তেমন কোনো সম্পর্ক নেই, যতটা আছে প্রকৃতির সঙ্গে, পরিপক্ব হওয়ার সঙ্গে।

 

 

বরই মানে শালুকপাতা, বরই মানে বাঁশের চোঙ, বরই মানে পকেটে লুকানো লবণ, বরই মানে কাঁটার আঘাত সয়ে সফল হওয়ার নাম। বরই মানে এক অদ্ভুত মায়াময় কোমল শৈশব। শৈশব-কৈশোরে যাদের চোখ খুলে গিয়েছিল, তাঁরাই জানেন, সব জাতের বরই বরই হলেও সব বরই কুল নয়। নারকেলি বরই বলে যেটিকে আমরা চিনি, দেশি বরই থেকে আকারে কিছুটা বড় আর নারকেলের মতো দেখতে, সেটিই আদতে বরইশ্রেষ্ঠ কুলঅভিজাত আর সুস্বাদু। এই কুল বরই বা কুলি বরই কিশোর কালের অদ্ভুত আকর্ষণের নাম। কারণ, একটি এলাকায় এক শতে একআধটা কুলি বরইয়ের গাছ পাওয়া যায়। যাদের বাড়িতে কুল বরইয়ের গাছ থাকত, তারা আবার গাছের গোড়ায় বসাত নিরাপত্তাচৌকি। ফলে সে থাকত নাগালের বাইরে।

 

 

অন্যদিকে কিশোর আর নারী মহলে রাজত্ব করত দেশি বরই। টক টক এ বরই খাওয়ার জন্যই চোখের নিমেষে চুরি হতো শালুকপাতা বা শলুফা, ধনেপাতার সৎভাই। বাঁশের চোঙে বরই ঢুকিয়ে তাতে পরিমাণমতো লবণ, হালকা হলুদ, হাত দিয়ে যত দূর সম্ভব কুচি করে ছেঁড়া শালুকপাতা দিয়ে দে ঘুঁটা। আচ্ছামতো ঘুঁটে উদার আর সিংহ হৃদয়ের ঘুঁটনেদার বাড়িয়ে দেওয়া হাতগুলো ভরিয়ে দিয়ে অবশিষ্টাংশ রাখত নিজের জন্য। এই উদারতার পেছনের রাজনীতি কঠিন, ভূরাজনীতির হিসাবের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। কারণ, সব মসলা আর উত্তম ঘোঁটানো বরইয়ের অংশটাই থাকত একেবারে শেষের পাতে।

 

 

আর একধরনের বরই পাওয়া যায়, তার নাম বালুশাই। দেশি বরইয়ের চেয়ে আকারে কিঞ্চিৎ বড়, দেখতে প্রায় একই রকম, কিন্তু স্বাদে কিছুটা ভিন্ন। টক নয় এর স্বাদ। আবার কুল বরইয়ের মতো মিষ্টিও নয়, মাঝামাঝি। কিন্তু একটু বালু বালু ভেতরটা। সে জন্যই এর নাম বালুশাই। এরও কদর ছিল ভীষণ। কোনো কোনো দেশি বরইয়ের গাছেই একআধটা বালুশাই বরই পাওয়া যায়। সেগুলোকে না ঘুঁটে এমনি এমনি খাওয়া হয়।

এখন এসবের বালাই নেই। সবকিছু এখন সহজ। বাজারে গিয়ে খোঁজ করবেন নারকেলি বরই, বাউকুল, দেশি টকমিষ্টি বরই, মিষ্টি বরই আর আপেল কুলের। পেয়ে যাবেন যতটুকু পরিমাণ চান, ততটুকু। স্বাদ? সব কটিই মিষ্টি শুধু দেশি বরই ছাড়া। আর কী আশ্চর্য বিষয়, এখন শুধু টিয়ে রঙের বরই নয়, পাবেন টিয়ের লাল টুকটুকে ঠোঁটের রঙের বরইও। এরপর হয়তো ইচ্ছামতো রঙের বরই পাওয়া যাবে, আমরা যেমন চাইব তেমন।

 

 

দেশি বরই না কিনলেও কুল বরই আগাগোড়াই কিনে খাওয়া হতো। এখন বাজারে যেসব বরই পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো দরদাম করলে ৮০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন প্রতি কেজি। বরই শুধু কাঁচা খাওয়ার জিনিস নয়। দেশি বরই কড়া রোদে শুকিয়ে টোপা বরই বানিয়ে রাখা যায়। চৈত্রের খর দিনে পাঁচফোড়নে রান্না করা এই শুকনা বা টোপা বরই দিয়ে রান্না করা অম্বল মুখে রুচি ফেরায়। বৈশাখে নতুন বছরের খাবারে শুকনা বরইয়ের অম্বল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হিসেবেই চিহ্নিত। এটি দিয়ে বানানো যায় আচার। অনেক খাবারে অনুষঙ্গ হিসেবে যোগ করা যায় শুকনা বরই।

 কেন খাবেন বরই? এ প্রশ্নের অনেক উত্তর দেওয়া যায়। এর স্বাস্থ্যগুণের কথা বলে থিসিসও করে ফেলা যায়। কিন্তু আমি বলব, এমনি এমনি বরই খান। শীতে যেমন বাড়ির বাইরে পা রাখলেই কমলার দেখা পাওয়া যায়, বসন্তে তেমন রাস্তাঘাটে থরে থরে সাজানো বরই পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে, ফুটপাথে, বাড়ির পাশের অস্থায়ী বাজারে, ভ্যানেসবখানে এখন হরেক রকমের বরই রাজত্ব করছে। মৌসুমের ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। তাই ইচ্ছামতো বরই খান। বরইয়ের অনেক গুণ। সেই সঙ্গে একঝলক দেখে নিন, এই নাগরিক যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাওয়া নিজের কিশোরকাল। বসে পড়ুন না একটু বরই আর লবণ, শর্ষের তেল, শালুক না হোক ধনেপাতা নিয়ে। বাঁশের চোঙ পাবেন না। সমস্যা নেই। কাচের গ্লাসে ফল কাটার ছুরির বাট দিয়ে একটু ঘুঁটে নিন। দেখবেন মন কেমন ফুরফুরে লাগছে।

নিউজ ট্যাগ: শালুকপাতা বরই

আরও খবর

রাশিফল: কেমন থাকবে আপনার আর্থিক অবস্থা?

বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩

রাশিফল: দিনটি আজ কেমন যাবে!

মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর