নাক ডাকা শুনে
ঘুম ভেঙেছে এরকম ঘটনা অধিকাংশ মানুষের জীবনেই ঘটেছে। ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা হতে পারে
নানা কারণে। এ নিয়ে চিন্তিত হবেন না, কারণ এটি কোন স্থায়ী সমস্যা নয়। চলুন জেনে নেই
নাক ডাকার কারণ ও এ সমস্যা দূর করার জন্য কি করা যেতে পারে।
নাক ডাকেন কেন:
১. শরীরে ওজন
বেশি হলে ও পেশি দুর্বল হলে নাক ডাকা হতে পারে।
২. মানুষের যত
বয়স বাড়ে কণ্ঠনালী তত সরু হতে থাকে। ফলে নাক ডাকা শুরু হয়।
৩. সাধারণত মহিলাদের
তুলনায় পুরুষদের শ্বাসনালী সরু হয়। আর এই জন্যেই পুরুষ মানুষের নাক ডাকার সমস্যা বেশি
হয়ে থাকে।
৪. নাকে পলিপ
থাকলে বা সাইনাসের সমস্যা থাকলে নাক ডাকা শুরু হতে পারে।
৫. নিয়মিত মদ্যপান,
ধূমপান ও ঘুমের ওষুধ খেলে নাক ডাকা শুরু হয়।
৬. লম্বা টান
টান হয়ে শুলেও নাক ডাকে অনেকে। গলার কাছে পেশিগুলো টেনে থাকে না। আলগা হয়ে যায়। ফলে,
গলা থেকে নিশ্বাস বেরতে অসুবিধে হয়।
আপার রেসপিরেটারি
ট্র্যাকে এয়ার ভাইব্রেশনের ফলে নাক ডাকে মানুষ। জীবনযাপন পদ্ধতিতে কিছু বদল এনে এই
অভ্যেসের পরিবর্তন সম্ভব। যাঁরা নাক ডাকেন বেশিরভাগই স্লিপ অ্যাপনিয়া কন্ডিশনে আক্রান্ত।
কি কি উপায় অবলম্বন
করে এটা কমাবেন:
১. ঘুমনোর পজিশন
চেঞ্জ করুন
চিৎ হয়ে শোবেন
না, তাহলে জিভের পেছন দিক টাগরায় লেগে বেশি নাক ডাকে। যে কোনও পাশে কাত হয়ে ঘুমোন।
২. খোলা নাসারন্ধ্র
নাক বন্ধ থাকলে
বেশি নাক ডাকে মানুষ। তাই ঘুমনোর আগে গরম জলে স্নান করুন। নাক ভালো করে ঝেড়ে পরিষ্কার
করে শুতে যান। প্রয়োজনে নাসাল স্ট্রিপ নিন।
বাড়িতে অব্যবহৃত
অ্যান্টিবায়োটিক ভুলেও খাবেন না- সতর্ক হোন
৩. অ্যালকোহল
বন্ধ করুন
গলার পেছনের দিকে
মাংসের স্থিতিস্থাপকতা কমিয়ে দেয়। ঘুমনোর ঘণ্টা চার পাঁচ আগে একেবারই অ্যালকোহল খাবেন
না।
৪. জলের ভারসাম্য
বজায় রাখুন
সারা দিনে শরীরে
জল ঠিকমতো পৌঁছলে নাকও হাইড্রেটেড থাকে। ফলে নাক কম ডাকে মানুষ।
৫. মাথা একটু
তুলে শোবেন
একটি অতিরিক্ত
বালিশ নিয়ে মাথা একটু তুলে শোবেন। এতে নাক ডাকার থেকে রেহাই মিলবে।
৬. ওজন কমান
মোটাদের নাক ডাকার
প্রবণতা বেশি থাকে। স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৭. ভাল ঘুমের
অভ্যেস করুন
যাঁদের ঘুম ভালো
করে হয় না তারা বেশি নাক ডাকেন। তা ছাড়া কম ঘুম থেকে শরীরে আরও নানা রোগ বাসা বাঁধে।
দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুম তাই জরুরি।