Logo
শিরোনাম

অ্যাকনে যখন মাথার ত্বকে

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মুখের মতো স্ক্যাল্পেও হতে পারে অ্যাকনে। আর তা বাড়িয়ে দিতে পারে চুল পড়ার সমস্যা। তবে ত্বকের মতো করে তো আর স্ক্যাল্পের যত্ন নেওয়া সম্ভব নয়। থাকছে কিছু সহজ টিপস। মুখের অ্যাকনে দেখেছেন, ব্যাকনের (পিঠের অ্যাকনে) কথা শুনেছেন কিন্তু স্ক্যাল্প? আশ্চর্যের বিষয় হলো, স্ক্যাল্পনে বা স্ক্যাল্পের অ্যাকনে কিন্তু মোটেই নতুন কিছু নয়। সমীক্ষা বলে, প্রত্যেকেই কখনও না কখনও এ সমস্যায় ভুগেছেন।

কিন্তু চুলের আড়ালে থাকে বলে যেহেতু এ ধরনের পিম্পল সচরাচর নজরে পড়ে না, তাই তা নিয়ে কেউই বিশেষ ভাবেন না। ভেবে দেখুন, মাথায় চিরুনি চালাতে গিয়ে হঠাৎ কোথাও খোঁচা বা ব্যথা লাগার সমস্যা সবারই কখনও না কখনও হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে সেভাবে মাথা ঘামাননি। আর তার মূল কারণ স্ক্যাল্পনে থেকেও যে চুলের ক্ষতি হতে পারে, তা অনেকের অজানা। অনেকেই হঠাৎ চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন।

অথচ এর নেপথ্যে যে স্ক্যাল্পনের সমস্যাও থাকতে পারে, তা বুঝতে পারেন না। অ্যাকনে হোক বা পিম্পল, ত্বকের নির্দিষ্ট রন্ধ্রের মুখ আটকে গেলেই এ ধরনের সমস্যা হয়। তা থেকে ওই নির্দিষ্ট রন্ধ্রেরও বেশ ক্ষতি হয়। সুতরাং স্ক্যাল্পে এ ধরনের সমস্যা হলে হেয়ার ফলিকলের পুষ্টিতে বাধা পড়ে। যার ফলে চুল পড়ার সমস্যা, শুষ্কতা, নির্জীবতা বেড়ে যেতে পারে। অ্যাকনের প্রবণতা যার যত বেশি, তার চুলের ক্ষতির আশঙ্কাও তত বেশি।

স্ক্যাল্পনে কী: মুখের তৈলাক্ত অংশে তেল, ধুলোবালি, মৃত কোষ, ঘাম ইত্যাদি জমে অ্যাকনে হয়। স্ক্যাল্পনেও ঠিক তেমনভাবেই মাথায় অর্থাৎ স্ক্যাল্পে হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থেকেও এ ধরনের পিম্পল হতে পারে। একে ফলিকুলাইটিস বা হেয়ার ফলিকলের ইনফ্ল্যামেশনও বলতে পারেন। এমনিতে চুলে ঢাকা থাকে বলে দেখা যায় না, তবে হাত দিলে ফুসকুড়ির মতো অনুভব করা যায়। অনেকের হেয়ারলাইন বরাবর হোয়াইটহেডসের মতোও দেখা যায়। কিছু পিম্পলে ব্যথা হয়, কিছু পিম্পল থেকে শুধু ইচিং হয়। দুই ধরনের স্ক্যাল্পনেই চুলের পক্ষে ক্ষতিকর। কারণ উভয় ক্ষেত্রেই হেয়ার ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চুলের সার্বিক পুষ্টিতে বাধা দেয়। যাদের খুশকির সমস্যা রয়েছে বা ত্বক তৈলাক্ত প্রকৃতির, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি হয়। আবার স্ক্যাল্প অতিরিক্ত শুষ্ক হলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্ক্যাল্প এবং চুল কতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছেন, তার ওপর নির্ভর করেও স্ক্যাল্পনের প্রবণতা বাড়তে বা কমতে পারে।

যে কারণে হয়: মৃত কোষ বা অতিরিক্ত তেল হেয়ার ফলিকলের গোড়ায় জমে যাওয়া, শ্যাম্পু, তেল, কন্ডিশনার, হেয়ার সেরামসহ বিভিন্ন হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টের বিল্ডআপ, চুল ভালোভাবে না ধোওয়া, ওয়ার্কআউট করার পর বা গরমে ঘাম স্ক্যাল্পে বসতে দেওয়া, টুপি বা অন্যান্য মাথা ঢাকা দেওয়ার জিনিস বেশি পরা, অতিরিক্ত স্ট্রেস, হরমোনাল ইমব্যালান্সের মতো কারণ, যা আপাতভাবে অ্যাকনের সমস্যা বাড়ায়, কেরাটিন বিল্ডআপ কিংবা খুশকির সমস্যা।

এ ছাড়া ইস্ট এবং স্ট্যাফাইলোকক্কাসের মতো বেশকিছু জীবাণু সংক্রমণ থেকে এ ধরনের পিম্পল হতে পারে। অনেক ডার্মাটোলজিস্ট মনে করেন, ডায়েটের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। যারা শর্করা জাতীয় কার্বোহাইড্রেট বেশি পরিমাণে খান, তাদের মধ্যে এ সমস্যা সবচেয়ে কমন।

যা করবেন: সমস্যার কারণ একবার বুঝে গেলে সেই মতো সমাধানের পথ খুঁজে নিতে হবে। যেমন যদি অতিরিক্ত ঘাম থেকে এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হয়, সে ক্ষেত্রে স্ক্যাল্প যতটা সম্ভব শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে। ডায়েট থেকে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে দেখতে পারেন। পাশাপাশি স্ক্যাল্প পরিষ্কার এবং খোলামেলা রাখার চেষ্টা করতে হবে। অতিরিক্ত অয়েলি স্ক্যাল্প হলে এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন, যা স্ক্যাল্পকে তেলমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি কোনো ধরনের প্রোডাক্ট বিল্ডআপ যেন না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত চুলের সংস্পর্শে যা যা আসছে, যেমন বালিশ, চিরুনি, চাদর, টুপি, হেয়ার অ্যাকসেসরিজ সবই পরিষ্কার রাখতে হবে। পারলে প্রতিদিন অ্যান্টিসেপটিক পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

যা করবেন না: কিছু অভ্যাস আবার একেবারে বন্ধ করতে হবে। মুখের অ্যাকনের মতোই স্ক্যাল্পনে খোঁটাখুঁটি করবেন না। এতে ভেতরে জমে থাকা পুঁজ (পুঁজ না থাকলেও সেরাম জাতীয় পদার্থ) বেরিয়ে অন্যত্র অ্যাকনে হতে পারে। ইনফেকশনও হয়ে যেতে পারে, যা চুল পড়া, স্ক্যাল্পে ব্যথা এবং স্ক্যাল্পনের প্রবণতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ঘন ঘন স্ক্যাল্পে হাত দেওয়ার অভ্যাস থাকলে প্রথমেই তা কমাতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে চিরুনি চালানোর ব্যাপারেও। সরু চিরুনি বা ধারালো চিরুনির পরিবর্তে কাঠের মোটা চিরুনি ব্যবহার করুন। স্ক্যাল্প ব্রাশ করার সময় খুব ধীরে করুন এবং যতটা সম্ভব কম প্রেশার দিন। বালিশে স্যাটিনের কভার পরাতে পারেন। এতে স্ক্যাল্প ও চুলে ফ্রিকশন কম হবে।

শ্যাম্পুতে সমাধান: স্ক্যাল্প অ্যাকনে কমাতে মূলত শ্যাম্পুই যথেষ্ট। তবে বাজারচলতি যেকোনো শ্যাম্পু নয়। বেছে নিতে হবে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি মেডিকেটেড শ্যাম্পু। যাতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা সালফার রয়েছে, এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। ভালোভাবে চুল এবং স্ক্যাল্পে ফেনা করতে হবে। একদিন ছাড়া ছাড়া এ ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। অন্তত পাঁচ মিনিট স্ক্যাল্পে এই শ্যাম্পু লাগিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নিন। এ ধরনের শ্যাম্পু স্ক্যাল্পনের সঙ্গে সঙ্গে খুশকির (যদি থাকে) সমস্যাও কমাবে। স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হলে সেই ধরনের চুলের জন্য বিশেষ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ ধরনের শ্যাম্পু স্ক্যাল্প শুষ্ক করে খুশকির সমস্যা বাড়াতে পারে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

গ্লাইকলিক অ্যাসিড বা টি-ট্রি অয়েলে সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া শ্যাম্পু কেনার সময় কয়েকটি জিনিস দেখে কিনতে পারেন। স্ক্যাল্পনের পক্ষে অ্যান্টি-অ্যাকনেজেনিক, অ্যান্টি-কমেডোজেনিক হেয়ার প্রোডাক্ট ভালো। শুধু শ্যাম্পুই নয়, চুলে যা-ই ব্যবহার করবেন, তা যেন পোরস ক্লগ না করে, সেটা খেয়াল রাখুন।

এ ছাড়া মাসে একবার (বেশি করলে চুল অত্যন্ত রুক্ষ হয়ে পড়বে) ক্ল্যারিফাইং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এটি স্ক্যাল্প ক্ল্যারিফাই করতে এবং বিল্ডআপ সরাতে সাহায্য করবে। তবে একবার শ্যাম্পু করলেই যে উপকার পাবেন, তা নয়। যেকোনো শ্যাম্পু কাজ করতে অন্ততপক্ষে ছয় সপ্তাহ সময় নেয়। সমস্যার পরিমাণ অনুযায়ী কারও ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।

প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর: আগে থেকেই যদি স্ক্যাল্পনে প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে চুল পড়া এবং স্ক্যাল্পের সমস্যা দুই-ই আটকানো সম্ভব। আর প্রতিরোধের পথে প্রথম পদক্ষেপ হলো স্ক্যাল্প হাইজিন মেনে চলা। কেমিক্যাল-ফ্রি, হাইপোঅ্যালার্জেনিক হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি ও ই রাখুন ডায়েটে। প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্টসও নিতে পারেন। স্ক্যাল্প ময়েশ্চারাইজড রাখুন।

প্রয়োজনে কলা, ডিম, মধুর মতো নারিশিং উপকরণ দিয়ে বানানো হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। লেবু এবং অ্যাপল সিডার ভিনিগার খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। স্ক্যাল্পনে প্রতিরোধেও সাহায্য করবে। মাঝে মাঝে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চুলে জড়িয়ে রাখতে পারেন। পানির ভাপে ইনফেকশনের সমস্যা কমবে। শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করার পর তা অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। কোনো রেসিডিউ যেন চুলে বা স্ক্যাল্পে না লেগে থাকে খেয়াল রাখুন।


আরও খবর

রাশিফল: কেমন থাকবে আপনার আর্থিক অবস্থা?

বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩

রাশিফল: দিনটি আজ কেমন যাবে!

মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর