Logo
শিরোনাম

অ্যাকনে যখন মাথার ত্বকে

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৮১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মুখের মতো স্ক্যাল্পেও হতে পারে অ্যাকনে। আর তা বাড়িয়ে দিতে পারে চুল পড়ার সমস্যা। তবে ত্বকের মতো করে তো আর স্ক্যাল্পের যত্ন নেওয়া সম্ভব নয়। থাকছে কিছু সহজ টিপস। মুখের অ্যাকনে দেখেছেন, ব্যাকনের (পিঠের অ্যাকনে) কথা শুনেছেন কিন্তু স্ক্যাল্প? আশ্চর্যের বিষয় হলো, স্ক্যাল্পনে বা স্ক্যাল্পের অ্যাকনে কিন্তু মোটেই নতুন কিছু নয়। সমীক্ষা বলে, প্রত্যেকেই কখনও না কখনও এ সমস্যায় ভুগেছেন।

কিন্তু চুলের আড়ালে থাকে বলে যেহেতু এ ধরনের পিম্পল সচরাচর নজরে পড়ে না, তাই তা নিয়ে কেউই বিশেষ ভাবেন না। ভেবে দেখুন, মাথায় চিরুনি চালাতে গিয়ে হঠাৎ কোথাও খোঁচা বা ব্যথা লাগার সমস্যা সবারই কখনও না কখনও হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে সেভাবে মাথা ঘামাননি। আর তার মূল কারণ স্ক্যাল্পনে থেকেও যে চুলের ক্ষতি হতে পারে, তা অনেকের অজানা। অনেকেই হঠাৎ চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন।

অথচ এর নেপথ্যে যে স্ক্যাল্পনের সমস্যাও থাকতে পারে, তা বুঝতে পারেন না। অ্যাকনে হোক বা পিম্পল, ত্বকের নির্দিষ্ট রন্ধ্রের মুখ আটকে গেলেই এ ধরনের সমস্যা হয়। তা থেকে ওই নির্দিষ্ট রন্ধ্রেরও বেশ ক্ষতি হয়। সুতরাং স্ক্যাল্পে এ ধরনের সমস্যা হলে হেয়ার ফলিকলের পুষ্টিতে বাধা পড়ে। যার ফলে চুল পড়ার সমস্যা, শুষ্কতা, নির্জীবতা বেড়ে যেতে পারে। অ্যাকনের প্রবণতা যার যত বেশি, তার চুলের ক্ষতির আশঙ্কাও তত বেশি।

স্ক্যাল্পনে কী: মুখের তৈলাক্ত অংশে তেল, ধুলোবালি, মৃত কোষ, ঘাম ইত্যাদি জমে অ্যাকনে হয়। স্ক্যাল্পনেও ঠিক তেমনভাবেই মাথায় অর্থাৎ স্ক্যাল্পে হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থেকেও এ ধরনের পিম্পল হতে পারে। একে ফলিকুলাইটিস বা হেয়ার ফলিকলের ইনফ্ল্যামেশনও বলতে পারেন। এমনিতে চুলে ঢাকা থাকে বলে দেখা যায় না, তবে হাত দিলে ফুসকুড়ির মতো অনুভব করা যায়। অনেকের হেয়ারলাইন বরাবর হোয়াইটহেডসের মতোও দেখা যায়। কিছু পিম্পলে ব্যথা হয়, কিছু পিম্পল থেকে শুধু ইচিং হয়। দুই ধরনের স্ক্যাল্পনেই চুলের পক্ষে ক্ষতিকর। কারণ উভয় ক্ষেত্রেই হেয়ার ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চুলের সার্বিক পুষ্টিতে বাধা দেয়। যাদের খুশকির সমস্যা রয়েছে বা ত্বক তৈলাক্ত প্রকৃতির, তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি হয়। আবার স্ক্যাল্প অতিরিক্ত শুষ্ক হলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্ক্যাল্প এবং চুল কতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছেন, তার ওপর নির্ভর করেও স্ক্যাল্পনের প্রবণতা বাড়তে বা কমতে পারে।

যে কারণে হয়: মৃত কোষ বা অতিরিক্ত তেল হেয়ার ফলিকলের গোড়ায় জমে যাওয়া, শ্যাম্পু, তেল, কন্ডিশনার, হেয়ার সেরামসহ বিভিন্ন হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টের বিল্ডআপ, চুল ভালোভাবে না ধোওয়া, ওয়ার্কআউট করার পর বা গরমে ঘাম স্ক্যাল্পে বসতে দেওয়া, টুপি বা অন্যান্য মাথা ঢাকা দেওয়ার জিনিস বেশি পরা, অতিরিক্ত স্ট্রেস, হরমোনাল ইমব্যালান্সের মতো কারণ, যা আপাতভাবে অ্যাকনের সমস্যা বাড়ায়, কেরাটিন বিল্ডআপ কিংবা খুশকির সমস্যা।

এ ছাড়া ইস্ট এবং স্ট্যাফাইলোকক্কাসের মতো বেশকিছু জীবাণু সংক্রমণ থেকে এ ধরনের পিম্পল হতে পারে। অনেক ডার্মাটোলজিস্ট মনে করেন, ডায়েটের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। যারা শর্করা জাতীয় কার্বোহাইড্রেট বেশি পরিমাণে খান, তাদের মধ্যে এ সমস্যা সবচেয়ে কমন।

যা করবেন: সমস্যার কারণ একবার বুঝে গেলে সেই মতো সমাধানের পথ খুঁজে নিতে হবে। যেমন যদি অতিরিক্ত ঘাম থেকে এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হয়, সে ক্ষেত্রে স্ক্যাল্প যতটা সম্ভব শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে। ডায়েট থেকে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে দেখতে পারেন। পাশাপাশি স্ক্যাল্প পরিষ্কার এবং খোলামেলা রাখার চেষ্টা করতে হবে। অতিরিক্ত অয়েলি স্ক্যাল্প হলে এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন, যা স্ক্যাল্পকে তেলমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি কোনো ধরনের প্রোডাক্ট বিল্ডআপ যেন না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত চুলের সংস্পর্শে যা যা আসছে, যেমন বালিশ, চিরুনি, চাদর, টুপি, হেয়ার অ্যাকসেসরিজ সবই পরিষ্কার রাখতে হবে। পারলে প্রতিদিন অ্যান্টিসেপটিক পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

যা করবেন না: কিছু অভ্যাস আবার একেবারে বন্ধ করতে হবে। মুখের অ্যাকনের মতোই স্ক্যাল্পনে খোঁটাখুঁটি করবেন না। এতে ভেতরে জমে থাকা পুঁজ (পুঁজ না থাকলেও সেরাম জাতীয় পদার্থ) বেরিয়ে অন্যত্র অ্যাকনে হতে পারে। ইনফেকশনও হয়ে যেতে পারে, যা চুল পড়া, স্ক্যাল্পে ব্যথা এবং স্ক্যাল্পনের প্রবণতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ঘন ঘন স্ক্যাল্পে হাত দেওয়ার অভ্যাস থাকলে প্রথমেই তা কমাতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে চিরুনি চালানোর ব্যাপারেও। সরু চিরুনি বা ধারালো চিরুনির পরিবর্তে কাঠের মোটা চিরুনি ব্যবহার করুন। স্ক্যাল্প ব্রাশ করার সময় খুব ধীরে করুন এবং যতটা সম্ভব কম প্রেশার দিন। বালিশে স্যাটিনের কভার পরাতে পারেন। এতে স্ক্যাল্প ও চুলে ফ্রিকশন কম হবে।

শ্যাম্পুতে সমাধান: স্ক্যাল্প অ্যাকনে কমাতে মূলত শ্যাম্পুই যথেষ্ট। তবে বাজারচলতি যেকোনো শ্যাম্পু নয়। বেছে নিতে হবে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি মেডিকেটেড শ্যাম্পু। যাতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা সালফার রয়েছে, এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। ভালোভাবে চুল এবং স্ক্যাল্পে ফেনা করতে হবে। একদিন ছাড়া ছাড়া এ ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। অন্তত পাঁচ মিনিট স্ক্যাল্পে এই শ্যাম্পু লাগিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নিন। এ ধরনের শ্যাম্পু স্ক্যাল্পনের সঙ্গে সঙ্গে খুশকির (যদি থাকে) সমস্যাও কমাবে। স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হলে সেই ধরনের চুলের জন্য বিশেষ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ ধরনের শ্যাম্পু স্ক্যাল্প শুষ্ক করে খুশকির সমস্যা বাড়াতে পারে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

গ্লাইকলিক অ্যাসিড বা টি-ট্রি অয়েলে সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া শ্যাম্পু কেনার সময় কয়েকটি জিনিস দেখে কিনতে পারেন। স্ক্যাল্পনের পক্ষে অ্যান্টি-অ্যাকনেজেনিক, অ্যান্টি-কমেডোজেনিক হেয়ার প্রোডাক্ট ভালো। শুধু শ্যাম্পুই নয়, চুলে যা-ই ব্যবহার করবেন, তা যেন পোরস ক্লগ না করে, সেটা খেয়াল রাখুন।

এ ছাড়া মাসে একবার (বেশি করলে চুল অত্যন্ত রুক্ষ হয়ে পড়বে) ক্ল্যারিফাইং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এটি স্ক্যাল্প ক্ল্যারিফাই করতে এবং বিল্ডআপ সরাতে সাহায্য করবে। তবে একবার শ্যাম্পু করলেই যে উপকার পাবেন, তা নয়। যেকোনো শ্যাম্পু কাজ করতে অন্ততপক্ষে ছয় সপ্তাহ সময় নেয়। সমস্যার পরিমাণ অনুযায়ী কারও ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।

প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর: আগে থেকেই যদি স্ক্যাল্পনে প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে চুল পড়া এবং স্ক্যাল্পের সমস্যা দুই-ই আটকানো সম্ভব। আর প্রতিরোধের পথে প্রথম পদক্ষেপ হলো স্ক্যাল্প হাইজিন মেনে চলা। কেমিক্যাল-ফ্রি, হাইপোঅ্যালার্জেনিক হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি ও ই রাখুন ডায়েটে। প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্টসও নিতে পারেন। স্ক্যাল্প ময়েশ্চারাইজড রাখুন।

প্রয়োজনে কলা, ডিম, মধুর মতো নারিশিং উপকরণ দিয়ে বানানো হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। লেবু এবং অ্যাপল সিডার ভিনিগার খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। স্ক্যাল্পনে প্রতিরোধেও সাহায্য করবে। মাঝে মাঝে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চুলে জড়িয়ে রাখতে পারেন। পানির ভাপে ইনফেকশনের সমস্যা কমবে। শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করার পর তা অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। কোনো রেসিডিউ যেন চুলে বা স্ক্যাল্পে না লেগে থাকে খেয়াল রাখুন।


আরও খবর

ত্বক ও চুলের জন্য মধুর উপকারিতা

সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23

চুলের আগা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়

সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23




বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় উত্তর জেলা বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ দুই শতাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রবিবার চান্দিনা থানার অফিসার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) তাপস দাস বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ও চান্দিনা উপজেলা বিএনপি সভাপতি আতিকুল আলম শাওন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদসহ কুমিল্লা উত্তর জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা বিএনপির ৩৬ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৭০ জনকে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার দড়ানিপাড়া এলাকায় অবস্থান নেয় কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সেখানে পুলিশি বাধায় স্থান ত্যাগ করে মহাসড়কের চান্দিনা-মুরাদনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী গোমতা এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানেও বাধা পেয়ে দেবিদ্বার ও চান্দিনা উপজেলার সীমান্তবর্তী কুটুম্বপুর-খাদঘর এলাকা থেকে প্রায় দুই সহস্রাধিক নেতা-কর্মী পদযাত্রা শুরু করলে বাধা দেয় পুলিশ।

এদিকে, দফায় দফায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ক্ষিপ্ত বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ধস্তা-ধস্তি শুরু করলে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে। এতে বিএনপির অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের কেউ রাবার বুলেটে, কেউ পুলিশের লাঠিচার্জে আবার কেউবা কালভার্ট থেকে লাফিয়ে পড়ে ও পদদলিত হয়ে আহত হন।

চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন বিষয়টি নিয়ে বলেন, সরকারি কাজে বাধা, মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ভাংচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি বহনের অপরাধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আমরা আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। ঘটনার সাথে আরও কারা জড়িত সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ, ২ শিশু গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৬৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আট নম্বর ওয়েস্ট এ -ব্লকে এই সংঘর্ষ বাধে। গোলাগুলিতে দুই রোহিঙ্গা শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

 

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আট নম্বর ওয়েস্টের এ-ব্লকে হঠাৎ করে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। আধাঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে ক্যাম্পের ওবায়দুল হকের মেয়ে উম্মে হাফসা (১১) এবং আব্দুল খালেকের ছেলে আবুল ফয়েজ গুলিবিদ্ধ হয়। প্রথমে উখিয়া এমএসএফ হাসপাতালে আহত দুই শিশুর প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা চলে। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আরও জানান, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার ঘটাতে নতুন করে দুটি গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারাই ক্যাম্পের উক্ত এলাকায় এই গোলাগুলি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ ও উখিয়া থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্হলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

 

পুলিশের দাবি, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। একইসঙ্গে এলাকায় এপিবিএন পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।


আরও খবর

গলায় ফাঁস দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




প্রযুক্তি গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করবে

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রযুক্তিই সময় ও অর্থ সাশ্রয় করে গ্রাহকদের মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ দিয়ে স্বস্তি নিশ্চিত করবে। গ্যাস বা বিদ্যুতের সংযোগ বা বিল প্রদান ঘরে বসেই দিতে পারবে। গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য দিতে মন্ত্রণালয় আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে ও আগামীতে আরও করবে। সরকারি পর্যায়ে ইআরপি বাস্তবায়ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশ  অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অর্জন করেছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বেসিস আয়োজিত ফ্রম ডিজিটাল বাংলাদেশ টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্সে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দানকালে তিনি এ কথা বলেন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট গ্রিড, অ্যাডভানস মিটারিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার (এএমআই) সিস্টেম, স্ক্যাডা, সাব-স্টেশন অটোমেশন, জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস), লোড ফরকাস্ট সিস্টেম (এলএফএস) প্রভৃতি আধুনিক প্রযুক্তি মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ ও গ্রাহকদের ক্ষমতায়ন করবে। গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়েই তাদের স্বস্তির জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ‍ পলক। বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সঞ্চালনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।


আরও খবর

বায়ুদূষণে আজ সপ্তম ঢাকা

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩




স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার রাতে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৫ ফ্লাইটযোগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পৌঁছান।

উল্লেখ্য, ওবায়দুল কাদের গত ১ মার্চ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যান।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: মৃত্যু ৪৮ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | ৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ছাড়িয়েছে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ১২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ৪২ হাজার ৩১০ এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮১৪ জন। তবে জাতিসংঘের ধারণা নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।

এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়। এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ফের ৬ দশমিক ৪ এবং ৫ দশমিক ৮ মাত্রায় দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের তথ্যমতে, গত ৬ ফেব্রুয়ারির পর তুরস্কে ৭ হাজার ২০০ এর বেশি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। ভূমিকম্পে লাখেরও বেশি ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পটিকে গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।

উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।


আরও খবর

ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’

শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩