পেটের সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুগছি। বিশেষ
করে খাবার একটু বেশি খেলে পেট ফুলেফেপে ওঠে। আর এটির কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বা অতিরিক্ত
গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বদহজমের কারণেই পেট
ফুলে উঠতে পারে। অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের কারণে বা খাবার সঠিকভাবে হজম না হলে এ সমস্যাটি
হয়ে থাকে।
পেট ফোলাভাব মূলত খাবারের কারণেই হয়ে থাকে।
তবে এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলো খেলে দূর হতে পারে এ সমস্যা। তাই আজ রইল এমন কিছু খাবারের
তালিকা, যেগুলো খেলে কমবে পেটের ফোলাভাব—
অ্যাভোকাডো:
বাইরের
দেশে অ্যাভোকাডো অনেক পরিচিত ও জনপ্রিয় ফল। তবে এ ফলটি এখন আমাদের দেশেও বাণিজ্যিকভাবে
চাষ করা হচ্ছে। এই ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। এতে ফোলেট, ভিটামিন সি ও কের পাশাপাশি
এটি পটাশিয়ামেরও অনেক ভালো উৎস। এ ছাড়া অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
আর এ কারণে এটি পাচনতন্ত্রের মাধ্যমে ধীরে ধীরে চলাচল করে এবং পেটের ফোলাভাব দূর করার
পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও প্রতিরোধ করে।
শসা: আমরা প্রায়ই
খাওয়ার পর শসা খেয়ে থাকি। আর এটিও আপনার পেটের ফোলাভাব কমাতে পারে। শসায় প্রায় ৯৫
শতাংশ পানি থাকার কারণে এটি আমাদের হাইড্রেটেড রাখতে এবং আমাদের শরীরে তরলের চাহিদা
মেটাতেও সাহায্য করে।
দই:
দইয়ে
প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক থাকে। আর প্রোবায়োটিক হচ্ছে— একটি উপকারী
ব্যাকটেরিয়া, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু
গবেষণার মতে, প্রোবায়োটিক মলের গতিবিধি ঠিক রাখতে এবং নিয়মিতভাবে হতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এই উপাদানটি পেটের জ্বালাপোড়া এবং পেটের
ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
বেরি
জাতীয় ফল: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা ব্লাকবেরি জাতীয় ফলগুলো বাজারে পাওয়া যায় এখন।
এ ফলগুলো আপনার পেটের ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করতে পারে। এ ফলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার
থাকে, যা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেট ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
গ্রিন
টি:
গ্রিন টি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে এপিগালোক্যাটেকিন গ্যালেটের
মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ও ক্যাফেইন থাকে। আর এ কারণে এটি শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য
করে এবং পেটের ফোলাভাব কাপে পারে।
আদা:
অনেক
আগে থেকেই আদাকে হজম সমস্যার সমাধানে ভেষজ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গবেষণায়
দেখা গেছে যে, আদা পেট ফাঁপা বা ফোলাভাবের অনুভূতি দূর করতে পারে।
কলা,
পেঁপে, আনারস, আপেল : এ ফলগুলো পেটের জন্য অনেক স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। এ ছাড়া
এসব ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ পেটের জন্য উপকারী ও পেটের ফোলাভাব দূর করতে সহায়তা করে
এমনটি দেখা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়।
হলুদ: আমাদের দেশে
রান্নাতে ব্যবহার করা হয় এমন মসলার সবচেয়ে পরিচিত হচ্ছে হলুদ। আর এটির ঔষধি গুণাগুণও
অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। এতে কারকিউমিন নামে একটি যৌগ থাকে, যেটি শরীরে প্রদাহবিরোধী
হিসেবে কাজ করে। গবেষণার মতে, হলুদে থাকা কারকিউমিন, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে,
গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের ফোলাভাবের লক্ষণগুলো কমাতে পারে।