Logo
শিরোনাম

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কওছার

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ২৭৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বেনাপোল থেকে আনোয়ার হোসেন

বেনাপোলে পৌরসভার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কওছার আলী। বেনাপোল পৌরসভার ৫নং দিঘিরপাড় ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা কওছার আলী(৭২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এক এক করে আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন দেশের সূর্যসন্তান। যে মানুষগুলো আমাদের একটি স্বাধীন মানচিত্র উপহার দিয়েছেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো আর তাদের মুখ থেকে বীরত্বগাঁথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শুনতে পারবে না। সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা কওছার আলী যশোর সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল ১৭ (জানুয়ারি) রবিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ স্ত্রী তিন ছেলে তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন।

আজ (সোমবার ১৮ই জানুয়ারি) বেলা  এগারটার পর তার নমাজে জানাজা শেষে তাকে ভবারবেড় কবরস্থানে দাফন করা হয়।দাফনের আগে শার্শা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে তার মৃতদেহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার দেয়া হয়।

এসময় জানাযায় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুখ হোসেন উজ্জ্বল, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। গার্ড অব অনারের পর তার মৃতদেহে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এদিকে মুক্তিযোদ্ধা কওছার আলীর মৃত্যুতে শার্শা-বেনাপোলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য পরিষদ ছাড়াও শার্শা বেনাপোলের বিভিন্ন সামাজিক ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


আরও খবর

জামায়াত-শিবিরের ২৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার

রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




রাজনীতি করুন, তবে বিচার বিভাগকে জড়াবেন না: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজনৈতিকভাবে বিচার বিভাগ ব্যবহার হচ্ছে না উল্লেখ করে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, রাজনীতিবিদদের বলব রাজনীতি করুন, তবে বিচার বিভাগকে জড়াবেন না, পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখুন। আজ বুধবার দুপুরে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগসহ দেশের সব বিভাগে দুর্নীতি ক্যান্সারের মতো ছেয়ে গেছে। আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি মিলে যদি একসঙ্গে উদ্যোগ নেই তাহলে এসব দুর্নীতি অপসারণ করা সহজ হবে।

এ সময় তিনি আদালতকে রাজনীতির সঙ্গে না জড়ানোর জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগের ওপর আস্থার যে কমতি হয়েছে তা শুধু বিচারকদের কারণে নয়, এ বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের জন্য এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যা কাজের মাধ্যমে দূর হবে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণকে ন্যায়বিচার দিতে কাজ করে যাব, সামাজিক পরিবর্তন না আসলে শুধু মামলা করে অপরাধ দূর করা যাবে না।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পান।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন। শপথগ্রহণের তারিখ থেকে তা কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।


আরও খবর



চীনের কাছে চিপ রপ্তানিতে আসছে আরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চীনে চিপ রপ্তানির ক্ষেত্রে আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসন চীনকে এই বলে সতর্ক করেছে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চিপ বা এআই চিপ ও চিপ নির্মাণের উপকরণ রপ্তানি সীমিতকরণ বিধিমালা শিগগিরই হালনাগাদ করা হবে। চলতি মাসেই তা করা হতে পারে।

 বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মূলত এ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার বিষয় দেখভাল করে। তারা এখন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বিধি হালনাগাদ করতে কাজ করছে। এর মধ্য দিয়ে নেদারল্যান্ডস ও জাপানের অনুসরণে যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে চিপ রপ্তানি আরও সীমিত করবে। সেই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চিপ রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব ফাঁকফোকর আছে, সেগুলো বন্ধ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, চিপ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার এক বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। এ সময় যে তালিকা হালনাগাদ করা হতে পারে, চীন নিজেই তা ধারণা করছিল। এর আগে ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর মূল নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি চীনের সরকারি কর্মকর্তাদের এ তথ্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা। তবে এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

নিষেধাজ্ঞা হালনাগাদের তথ্য আগাম জানানোর মধ্য দিয়ে বাইডেন প্রশাসন অবশ্য চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের আকাশে চীনের গোয়েন্দা বেলুন ভূপাতিত করার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে চীন সফরে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে আছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমোন্ডো। গত আগস্ট মাসেই তিনি চীন সফর করে ফিরেছেন। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

গত বছরের অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তার মূল্য উদ্দেশ্য ছিল এ রকম: চীন যেন মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে না পারে এবং তারা যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে উন্নত চিপ নির্মাণের উপকরণ আমদানি করতে না পারে। এ বিষয়ে রয়টার্স মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হয়নি।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চীন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ওয়াশিংটনের দেওয়ার মতো কিছু নেই। মুখপাত্র লিউ পেংগুই বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে জাতীয় নিরাপত্তার ধারণা সম্প্রসারণ করছে এবং রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চীনের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে, আমরা তার জোর বিরোধিতা করি।

হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা পিটার হ্যারেল অবশ্য জানেন না যে মার্কিন প্রশাসন চীনকে এই নতুন নিয়মের বিষয়ে অবগত করেছে। তবে যদি তারা সেটা করে থাকে, তাহলে তাকে বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে মানতে হবে। এতে ভুলবোঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না।

রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, বিশ্বের চিপ তৈরির উপকরণের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস ও জাপান। তারা চলতি বছরের শুরুর দিকে চীনের কাছে এসব উপকরণ রপ্তানি সীমিত করতে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার ৪ কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ৩২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। দাম বাড়ার চারটি কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। গত আগস্টে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে পৌঁছেছে। মূল্যস্ফীতি এখন প্রধান মাথাব্যাথার কারণ হয়েছে দেশবাসীর কাছে।

নিত্যপণ্যের চড়া দামে দিশেহারা ক্রেতারা। দেশে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য চারটি বিষয়কে দায়ী করেছে বিশ্বব্যাংক। যেসব কারণে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে সেগুলো হলো, অভ্যন্তরীণ জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়া, দুর্বল মুদ্রানীতি, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রা কমে যাওয়ায় আমদানি কমে যাওয়া।

একই প্রতিবেদনে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়ে এনেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির নতুন এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অর্থবছর জিডিপি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সংস্থাটির ঢাকা অফিসে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক প্রতিবেদনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশে ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতে ৬ দশমিক ৩ ও মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক, মাইনাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে দেশটি ঘুরে দাঁড়াবে প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।

এর আগে বাংলাদেশে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৭ দশমিক ১ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে দারিদ্র্য কমে ৫ শতাংশ হয়েছে ২০১৬ সালে যা ছিল ৯ শতাংশ।


আরও খবর



‘তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে তার পক্ষ থেকে আর কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আইন অনুযায়ী যা করতে পারেন খালেদা জিয়ার জন্য তাই করেছেন। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে।

লন্ডনের মেথোডিস্ট সেন্ট্রাল হল ওয়েস্টমিনস্টারে তার সম্মানে আয়োজিত একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই এখন যুক্তি দিচ্ছেন, আইন নিজের গতিতে চললেও খালেদা জিয়ার প্রতি আমি বেশি সহানুভূতি দেখাতে পারি।

শেখ হাসিনা এসময় ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড, ২১ আগস্ট, ২০০৪ গ্রেনেড হামলা, শেখ রেহানার বাড়িটিকে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে পরিণত করা, যা তিনি জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রণীত আইনের অধীনে পেয়েছিলেন এবং তা বিএনপি সরকারের লংঘনের ঘটনা উল্লেখ করেন। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর তাকে (শেখ হাসিনা) বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কীভাবে খালেদা জিয়ার জন্য আমার কাছ থেকে আরও সহানুভূতি আশা করে।

সরকার প্রধান প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পটভূমিতে, অনুমোদন এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, তিনি খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে না দেওয়ার জন্য সবাইকে বলেন।

বাংলাদেশ স্মার্ট হবে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে এটিকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ডিসিদের পক্ষপাতমূলক আচরণ চাই না: সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ১২৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণ পক্ষপাতমূলক হোক নির্বাচন কমিশন সেটা চায় না। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা কোনোভাবেই চাইব না কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জামালপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করার চিঠি দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিলের আগে চিঠি দিতে কোথাও বাধা নেই। পাঁচ বছর পুরো সময়টাই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কর্তব্য, এখতিয়ার রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর স্পেসিফিক কিছু দায়িত্ব বাধ্যতামূলকভাবে আমাদের করতেই হবে। তফসিলের আগেও এমনটি করা যায়, যদি এমন কোনো কিছু হয় যেটা নির্বাচনের আস্থাভাজনতা, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজনতা বা যারা নির্বাচন করবেন তাঁদের পক্ষপাতহীন আচরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। তাহলে নির্বাচন কমিশন অবশ্য়ই সরকারের নজরে সেটা আনতে পারে। এটা নির্বাচনের স্বার্থে, মানুষের আস্থার স্বার্থে, সরকারের স্বার্থে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটের পরিবেশ আমরা নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। আমাদের যে পর্যবেক্ষণ এবং প্রক্ষেপণটা অবশ্যই সজাগ রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদেরকেই রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য প্রয়োজনীয় আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি তাঁদেরকেই দেখতে হবে। তাই কোনোভাবেই আমরা চাইব নাকোনো জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রতিফলিত হোক। 

জামালপুরের ডিসি প্রত্যাহারের মতো আরও কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি আমাদের কাছে এ রকম কিছু প্রতীয়মান হয়, আমরা নিশ্চয়ই তখন এই ধরনের উদ্যোগ নেব।

আপনারা রোডম্যাপে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেছিলেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করাএমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, নো কমেন্টস, থ্যাংক ইউ। ওইটার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।

এখন কেউ ভোট চাইতে পারবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি এখন দিচ্ছি না। 

আপনি বলছেন যে তফসিলের আগেও নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের কিছু করার সুযোগ আছে। সে ক্ষেত্রে যখন প্রধানমন্ত্রীর সফরে বা সরকারি বা রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে যাচ্ছেন। ওখানে সরকারি কাজে যাওয়ার পরও যখন ভোট চাইছেন। সেখানে কি কমিশনের কথা বলার এখতিয়ার রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্তে চট করে আপনাকে দিতে পারব না। এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেনবিএনপি কথা বলছে, আওয়ামী লীগ কথা বলছে, জাতীয় পার্টি কথা বলছে। সবাই কথা বলছে তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন, আপনারা আমাকে ছাড়া আর কাউকে ভোট দেবেন না। তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ইন্টারফেয়ার করতে পারব। কিন্তু উনি ভোট চাইছেন, বিএনপি ভোট চাইছে, জাতীয় পার্টি ভোট চাইছে, সবাই ভোট চাইছে। এ বিষয়টি আমরা ওইভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি।

সরকারি সফরে গিয়ে যদি কেউ ভোট চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি কেউ উত্থাপন করেননি। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখিনি। যখন তফসিল ঘোষণা হয় এরপর যে নির্বাচনী আচরণ...কারণ উনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন কি দাঁড়াবেন না, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি করবেন না, সেটি আমরা এখনো জানি না। কাজেই সময় হলে তখন আমরা দেখব।


আরও খবর

আবারও বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩