গোলাপ প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার রেওয়াজ
খুব জনপ্রিয়। প্রেমিক যুগলের মান–অভিমানের বরফ একটি গোলাপেই গলিয়ে
দিতে পারে। তবে গোলাপ শুধু প্রেমের অনুষঙ্গ হিসেবেই যে কাজে লাগে এমনটা নয়। প্রিয়জনের
কাছ থেকে উপহার পাওয়া গোলাপফুলদানীতে রাখার কয়েকদিন পরেই নিশ্চয়ই পাপড়িগুলো ঝরে যায়।
ঝরে যাওয়া গোলাপের পাপড়ি গুলোকে ফেলে না দিয়ে সেগুলোকে ব্যবহার করুন রূপচর্চায়।
যুগ যুগ ধরেই রূপচর্চার একটি অন্যতম উপাদান
হলো গোলাপের পাপড়ি। প্রাচীন কাল থেকে রূপসচেতন নারীরা গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করে আসছেন
তাদের রূপচর্চার উপাদান হিসেবে। চলুন তাহলে গোলাপের পাপড়ির ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া
যাক।
ত্বকের
মসৃণতায়: ত্বকের মসূণাতর জন্য গোলাপের পাপড়ি খুবই কার্যকরি। গোলাপের পাপড়িতে রয়েছে
প্রাকৃতিক তেল যা ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত গোলাপের পাপড়ির রস অথবা
গোলাপের পাপড়ির তেল ত্বকে লাগালে ত্বক হয়ে ওঠে মসৃণ ও উজ্জ্বল। যা আপনার সৌন্দর্যকে
কয়েকগুণে বাড়িয়ে দিবে।
চোখের
কালো দাগ দূর করতে: গোলাপের পাপড়ি চোখের নিচের কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য
করে। প্রথমে গোলাপের পাপড়ি পানিতে সেদ্ধ করে রেখে দিন। এরপর সেটা ঠান্ডা করে নিন। এরপর
একটি তুলা গোলাপের পানিতে ভিজিয়ে চোখে দিয়ে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে রাখুন। এভাবে প্রতিদিন
ব্যবহার করলে চোখের কালি দূর হয়ে যাবে। আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে আপনার চোখ।
ব্রণ
দূর করে: যাদের অতিরিক্ত ব্রণের সমস্যা আছে তারা গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করতে
পারেন। গোলাপের পাপড়ি ব্রণ দূর করতে সহায়ক। যাদের ব্রণের উপদ্রব হয় তারা ব্রণের উপরে
গোলাপের পাপড়ি বেটে লাগিয়ে রাখতে পারেন। গোলাপের পাপড়ির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান
ব্রণকে ছোট করে দেয় এবং এর লালচে ভাব কমিয়ে আনে।
সানস্ক্রিন
হিসেবে কাজ করে: গোলাপের পাপড়ি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে উপকারী। বাইরের
কড়া রোদে বের হওয়ার আগে গোলাপের রস, গ্লিসারিন ও শসার রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন।
রোদে পোড়ার থেকে অনেকটাই রক্ষা পাবেন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করে।
টোনার
: গোলাপের
পাপড়ি টোনার হিসেবে বেশ উপকারি। গোলাপের পাপড়ি সেদ্ধ করে পানিটা একটি বোতলে ভরে ফ্রিজে
রেখে দিন। এরপর বাইরে থেকে এসে একটি তুলাতে সেই পানিটা ভিজিয়ে পুরো মুখ মুছে নিন। ত্বক
থাকবে সুন্দর ও উজ্জ্বল।