নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের
ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় এক শিশুসহ ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২০ মার্চ)
সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরফিন এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন। এর আগে একই দিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে এম
এল আফসার উদ্দিন নামক লঞ্চটি ডুবে যায়। তবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ
আল আরেফিন জানান, এখন পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসের
হেফাজতেই আছে। তবে উদ্ধারকাজ শেষে হতাহতের সংখ্যা বলা যাবে।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো জাহাজ একে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়। এর আগেও শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবে প্রাণহানি হয়েছে। নৌ-পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা ঠিকমতো তদারকি না করায় শীতলক্ষ্যা অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানা পুলিশের ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আজ রোববার দুপুরের দিকে আমরা খবর পাই শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী মুন্সীগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সংবাদ পাওয়ার পর আমাদের নৌ-পুলিশের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গেছে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটও উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তানজীর জানান, বেলা দুইটা কিংবা আড়াইটার দিকে বন্দর থানার আল আমিন নগর ও সৈয়দপুরের মাঝামাঝি কয়লাঘাট এলাকায় নির্মিতব্য নাসিম ওসমান ব্রিজের কাছে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এরপর উদ্ধার অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, মরদেহ আমাদের হেফাজতে রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ জুলাই শীতলক্ষ্যা নদীর একই স্থানে এক কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটে৷ এতে নারী ও শিশুসহ ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।