যমুনা নদীর পানি
কমার সাথে সাথে সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও শাহজাদপুরের নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে
তীব্র নদী ভাঙ্গন। ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ২০টি বসতভিটাসহ বিস্তীর্ণ
ফসলি জমি। ভাঙ্গন রোধে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা কাজে আসছে না।
সরেজমিন জেলার
চৌহালী ও শাহজাদপুরের ভাঙন এলাকা ঘুরে, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে
জানা যায়, যমুনা নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হওয়া জেলার চৌহালী উপজেলার নদী ভাঙন
পানি কমার সময়ে তীব্র আকার ধারণ করেছে। উপজেলার খাসপুকুরিয়া থেকে বাগুটিয়া পর্যন্ত
তিন কিলোমিটার নদী তীরবর্তী এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
গত ৩ দিনের ভাঙনে
অন্তত ১৫টি বসতভিটা ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে
রয়েছে বিনাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরবিনাইন কমিউনিটি ক্লিনিক, চরবিনাইন বাজার,
হাফেজিয়া মাদরাসা ও চরণাকালিয়া তাঁত কারখানা। ভাঙন এলাকার মানুষেরা তাদের ঘড়-বাড়ি ভেঙ্গে
অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
এদিকে ভাঙন রোধে
শনিবার (১০ জুলাই) ভাঙন এলাকায় বালি-ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করে পানি উন্নয়ন
বোর্ড। কিন্তু জিওব্যাগ ডাম্পিংয়েও থামছে না ভাঙন।
স্থানীয় রমজান
আলী জানান, একমাস হল শুরু হওয়া নদী ভাঙ্গন কিছুতেই থামছে না, বসতবাড়ি ভেঙ্গে অন্যত্র
সরিয়ে নিয়েছি। ভিটাটুকু ভাঙতে ভাঙতে নদীতে বিলীন হয়েছে। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড এখনো
কাজ শুরু করেনি। গত ৩ দিন আগে জিও বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে। কিন্তু এতে কাজ হচ্ছে না।
চৌহালী উপজেলা
চেয়ারম্যান মো. ফারুখ সরকার জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরুতে শুরু হওয়া নদী ভাঙনে বিস্তীর্ণ
এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। দেরিতে হলেও ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এরই মধ্যেই ভাঙন কবলিত মিটুয়ানি উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় নদী তীরবর্তী ২০০ মিটার ও চরবিনাইনে
১০০ মিটার এলাকায় জিও-ব্যাগ নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, পাচিলসহ ওই অঞ্চলে
ভাঙন রোধে জরুরি কিছু কাজ করা হয়েছে। তারপরেও আবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা আবারও জরুরী
কাজ শুরু করবো ভাঙন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, ভাঙ্গন রোধে স্থায়ীভাবে কাজ শুরু হবে অক্টোবর-নভেম্বরে। ওই কাজটি করা গেলে আর ভাঙন থাকবে না। এর আগে ভাঙন রোধ করা কষ্টকর। এর পরেও চেষ্টা করা হচ্ছে।