Logo
শিরোনাম

স্নিগ্ধ সাজপোশাক বেছে নিন পূজার পাঁচ দিন

প্রকাশিত:সোমবার ১১ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ২২৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
মেয়েদের পূজার পোশাকে এবার শুধু সিঙ্গেল বা থ্রি-পিস নয়, ফোর পিসও নজর কাড়বে। ভারি কাজের লং ফোর পিসগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনেকটা কামিজের আদলে তৈরি নতুন প্যাটার্নের গাউনও নজর কাড়ছে

দিনগুণে পূজার পোশাক

এবার পূজার সময়টা যেহেতু দিনে গরম আর রাতে হালকা শীতের আমেজে, তাই এ সময় পূজার পোশাক নির্বাচনে আরামের দিকটাতে নজর দিতে হবে। শারদীয় দুর্গাপূজা বেশ কয়েকদিন ধরে চললেও ষষ্ঠী থেকে দশমী এ পাঁচ দিন সাজপোশাকের আয়োজনটা থাকে জোড়ালো। ষষ্ঠী এবং সপ্তমী পূজা শুরুর দিকে হওয়ায় এ দুই দিন সাধারণত সবাই হালকা স্নিগ্ধ সাজপোশাক বেছে নেন। সকালে মণ্ডপে অঞ্জলি দিতে যাওয়ার সময় শাড়ি, সালোয়ার কামিজ যে কোনোটাই পরতে পারেন। সন্ধ্যায় ভালো লাগবে সিল্কের হালকা নকশার মিষ্টি রঙা পোশাক। ছেলেরা পরতে পারেন সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবি-পায়জামা কিংবা ট্রাউজার, ফতুয়া। অষ্টমী পূজায় অঞ্জলি বিশেষভাবে পালন হয় এবং এদিন কুমারী পূজা হওয়ায়। তাই সবাই চায় এদিন একটু জমকালো সাজপোশাক পরতে। অষ্টমীতে বেনারসি, কাতানের মতো ভারি শাড়ি পরতে পারেন। সালোয়ার-কামিজ পরলেও একটু ভারি কাজের নকশা বেছে নিন। ছেলেদের এদিন তসর, বলাকা সিল্ক, অ্যান্ডি সিল্ক, অ্যান্ডি সুতি পাঞ্জাবি বেশ মানায়। নবমীতে মেয়েরা পরতে পারেন সালোয়ার-কামিজ, গাউন, লং স্কার্ট প্রভৃতি। ছেলেদের ভালো লাগবে পাঞ্জাবি। তবে এ দিনটিতে পায়জামার বদলে ধুতি কিংবা প্যান্ট পরলে লুক চেঞ্জ হবে। দশমীতে সবাই সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে। তাই গাঢ় রঙের সাজপোশাক বেছে নিন। দশমীতে লাল শাড়ি, সাদা শাড়ি লাল পাড়ের ঐতিহ্য লক্ষ করা যায়। তবে সাদা শাড়ি লাল পাড়ই যে পরতে হবে এমনও কোনো কথা নেই। জমিনে হালকা কাজ, ভারি আঁচলের কাতান, বেনারসিও চলতে পারে। রঙের ক্ষেত্রে কালচে মেরুন, ম্যাজেন্টা, সোনালি ভালো লাগবে। ছেলেরা এদিন ধুতি পরে বৈচিত্র্য আনতে পারেন। ধুতির সঙ্গে মিলিয়ে পরতে পারেন রাজকীয় মোটিফের পাঞ্জাবি। রাতে ফরমাল শার্ট-প্যান্ট, একরঙা পাঞ্জাবির সঙ্গে প্রিন্স কোট পরে বাজিমাত করতে পারেন।

আজও স্বতন্ত্র, অমলিন শাড়ি

আধুনিকা হাজারো নকশার পোশাকের ভিড়ে শাড়ি আজও স্বতন্ত্র, অমলিন। আর দুর্গোৎসবে শাড়ির সাজ চিরন্তন। ঐতিহ্যবাহী গরদের সাদা জমিনে লাল পাড়ের শাড়ির পাশাপাশি ভিন্নতা আনতে পূজার শাড়িতে এখন ডিজাইনাররা শরতের নীল, সবুজ, লাল, কমলাসহ বিভিন্ন রং ব্যবহার করছেন। জনপ্রিয় এখন দেশি সিল্ক, সুতি, মসলিন, জামদানি, কাতান শাড়ি। শঙ্খ, দুর্গা মায়ের গহনা, পদ্ম, ওম, অস্ত্র প্রভৃতি মোটিভ ব্যবহার হয়েছে পূজার শাড়িতে। নকশা ফুটিয়ে তুলতে এবার স্ক্রিন প্রিন্ট এবং হ্যান্ড অ্যাম্ব্র্র্রয়ডারির ব্যবহার বেশি হয়েছে। এ ছাড়া টাই-ডাই, অ্যাপলিক, মেশিন অ্যাম্ব্রয়ডারি, আড়িও নান্দনিক রূপে এসেছে শাড়ির নকশায়। পূজার শাড়ির সঙ্গে বেশ মানায় থ্রি-কোয়ার্টার হাতা, ঘটি হাতা, টিউলিপ হাতা, লম্বা হাতায় কুঁচি দেওয়া নকশার ব্লাউজ।

পূজার পাঞ্জাবি

পাঞ্জাবি ছাড়া পূজা যেন ভাবাই যায় না। প্রতি বারের মতো এবার পূজাতেও পাঞ্জাবির কাটছাঁট, ডিজাইন আর কলারে এসেছে পরিবর্তন। লং প্যাটার্নের পাশাপাশি সেমি লংও চলছে। রেগুলার ফিটের পাশাপাশি স্লিমফিট এখন ফ্যাশনেবল। পাঞ্জাবির গলায় এবার ব্যান্ড কলার, শার্টের কলার ছাড়াও সাদামাটা কাট চোখে পড়বে।

শেরওয়ানি গলার পাঞ্জাবি এখন অনেকেরই পছন্দ। সুতার কাজ ছাড়াও ভিন্ন কাপড়ের প্যাঁচওয়ার্ক, মেশিন অ্যাম্ব্রয়ডারি, ব্লক বেশ চলছে। স্ট্রাইপ ও প্রিন্ট পাঞ্জাবিও রয়েছে। পূজা কিছুটা গরম আর বৃষ্টির সময়টাতে হওয়ায় পাঞ্জাবির কাপড় যাতে আরামদায়ক হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

কুর্তি-কামিজে নতুনত্ব

মেয়েদের পূজার পোশাকে এবার শুধু সিঙ্গেল বা থ্রি-পিস নয়, ফোর পিসও নজর কাড়বে। ভারি কাজের লং ফোর পিসগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনেকটা কামিজের আদলে তৈরি নতুন প্যাটার্নের গাউনও নজর কাড়ছে। নতুন নকশার এ গাউনগুলোর ওপরে আলাদাভাবে কলার দেওয়া শর্ট কোটি ব্যবহার করা হয়েছে। জর্জেটের টিউনিকও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গোল গলা, ল্যান্টার্ন হাতা, উঁচু-নিচু ছাঁটে কাটা হেম আর পিনটাকের কাজের এ টিউনিকগুলোতে ফ্লোরাল মোটিফের পাশাপাশি আল্পনা ধাঁচের নকশা করা হয়েছে। প্যাঁচওয়ার্কের কাজ করা লম্বা ধাঁচের কোটিতে নতুনত্ব পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে বেল্ট দিয়ে স্টাইল করে পরলে গর্জিয়াস লুক আসবে। মিডি কামিজ কিংবা ফ্রক কুর্তির প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে তরুণীদের। পূজার কালেকশনে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের পোশাকে লাইন, সিমেট্রিক, অ্যাসিমেট্রিক প্যাটার্নে তৈরি হয়েছে। বরাবরের মতো অধিকাংশ হাতা ঢোলা এবং ছড়ানো স্টাইলে করা হয়েছে। ফেব্রিক হিসাবে ব্যবহার হয়েছে সুতি, ভয়েল, লিনেন, জর্জেট, সফট সিল্ক ছাড়াও বিভিন্ন রকম অর্নামেন্টেড কাপড়। পূজায় শুধু যে দেশীয় ঘরানার সাজপোশাকই পরতে হবে, সেই ধারা ভেঙেছে অনেক আগেই। দুর্গোৎসবে অনেকেই এখন প্রতিদিন শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ না পরে দু’একদিন ফিউশন পোশাক পরেন।

ক্যাজুয়ালে নজরকাড়া

ছেলেরা ষষ্ঠী থেকে নবমীতে পরতে পারেন ক্যাজুয়াল পোশাক। ক্যাজুয়াল পোশাকের মধ্যে গোল গলা ও কলার দুই ধরনের টি-শার্টই এখন চলছে। একরঙা ও চেকের টি-শার্টেরও কদর বেশ। চাইলে যে কোনো পূজায় দুপুরে বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় কিংবা পূজামণ্ডপে ঘোরার সময় টি-শার্ট, শার্ট, ফতুয়া পরা যায়। এখন ব্লক, বাটিক, স্কিনপ্রিন্টসহ নানা ধরনের কাজ হচ্ছে টি-শার্টগুলোতে।

বয়স্কদের পূজার পোশাক

বয়স্কদের জন্য হালকা রং নকশার আরামদায়ক ফেব্রিকে তৈরি করা হয়েছে পূজার পোশাক। বিভিন্ন ধরনের সুতি শাড়ি, তাঁতের শাড়ি, সিল্ক শাড়িতে চিকন পাড়ে হালকা রং নকশা যেমন চোখে পড়বে তেমনি চওড়া পাড়ের শাড়িও আছে। তবে বয়স্কদের শাড়ির পাড় হালকা রাখা হয়েছে। নকশায় তুলে আনা হয়েছে পূজার পটভূমিতে তৈরি বিভিন্ন মোটিভ। পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে আরামদায়ক ফেব্রিক এবং লুজ ফিটিংয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কলারে চিকন কাজ হালকা রং ব্যবহার হয়েছে। শার্টে ব্যবহার হয়েছে পূজার বিভিন্ন মোটিভ।

 

শিশুর পোশাকে স্টাইলিশ লুক

শিশুদের জন্য নানা ধরনের স্টাইলিশ পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। আরাম পেতে সুতি কাপড়ে তৈরি হয়েছে অধিকাংশ পোশাক। রঙের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রংকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। শিশুদের জন্য অ্যালাইন কাট, হাতাকাটা পোশাক ছাড়াও ঘটি হাতার ফ্রক, টপসের কালেকশন বেড়েছে। পার্টির জন্য কিনতে পারেন অ্যান্ডি সিল্ক, জর্জেট, লিনেনের ফ্রক, স্কার্ট, গাউন। ছেলে শিশুদের শার্ট, টি-শার্ট, ফতুয়া, কাতুয়ায় প্রাধান্য পেয়েছে শর্ট ও ফুল স্লিভ। সাদা পাঞ্জাবির পাশাপাশি ভাইব্রেন্ট কালারের পাঞ্জাবি রাখা হয়েছে।

 

আছে ফ্যামিলি পোশাক

বিভিন্ন উৎসবে এখন একই নকশার পোশাকে পরিবারের সবাই সাজার সুযোগ রয়েছে। বরাবরের মতো বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ এবারও পূজা উপলক্ষ্যে নিয়ে এসেছে দারুণ সব ডিজাইনের পূজার পোশাক। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি, বাচ্চাদের পোশাক সব ড্রেসেই একই মোটিভে নকশা করা হয়েছে এসব পোশাকে। গতবারের মতো এবারও পূজা উদযাপিত হতে যাচ্ছে করোনা মহামারির মধ্যেই। তাই কেনাকাটার ক্ষেত্রে এবং পরে পূজামণ্ডপে ঘুরে বেড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। জমকালো পোশাক আর ভরপুর সাজগোজ করলেও অবশ্যই মাস্ক পরুন।

নিউজ ট্যাগ: দুর্গাপূজা

আরও খবর

রাশিফল: কেমন থাকবে আপনার আর্থিক অবস্থা?

বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩

রাশিফল: দিনটি আজ কেমন যাবে!

মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর