Logo
শিরোনাম

উৎসবে উল্লাসে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শারদীয় দুর্গাৎসব শুরু কদিন বাদেই। পুরা বছর যতই পোশাক কেনা হোক না কেন, পূজায় নতুন পোশাক চাই চাই। আর পূজার পোশাক মানেই একটু নতুন স্টাইল, নতুন ডিজাইনের হতে হবে। উৎসবের পোশাকে বাঙালিয়ানার ধারা বজায় রাখার চেষ্টা থাকে সব সময়ই। অর্থাৎ, পোশাকের কাটছাঁট ও নকশায় থাকে বাঙালিয়ানার ছাপ। এবারের পোশাকের নকশা, কাটছাঁটগুলোতেও তাই থাকছে নিরীক্ষাধর্মী মুন্সিয়ানা। পোশাকের কাটে বা নকশায় ঐতিহ্য যেমন আছে, তেমনি রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়াও।

উৎসব, তাই ফ্যাশনেবল পোশাক কেনাকাটার বিষয়টা তো থাকেই। সে জন্য দোকান, শপিংমলগুলোও এখন মুখরিত ক্রেতাদের আনাগোনায়। কিছুটা সাবেকি হলেও আমাদের দেশে উৎসবের পোশাক মানেই পুরুষদের জন্য পাঞ্জাবি আর নারীদের জন্য শাড়ি। পূজাও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে পূজার পাঞ্জাবি আর শাড়ি হতে হবে হাল ফ্যাশনের, মনের মত রঙের, নজরকাড়া নকশার। কী কী বিষয়ে নজর থাকা চাই এবারের উৎসবের পোশাকে তা থাকছে এবার রং নকশায় ঐতিহ্য যেমন আছে, তেমনি রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া; পরীক্ষা-নিরীক্ষাও দেখা যায় কোথাও কোথাও।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশীয় প্রায় সব ফ্যাশন ব্র্যান্ডই নতুন থিম ও মোটিফের পোশাক নিয়ে আসে। উৎসব ঘিরে শাড়ি, ধুতি- পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ ও শার্টের কালেকশন আনা হয়। পূজার পোশাকে উৎসবের আবহ ফুটিয়ে তুলতে রঙের বিচিত্র ব্যবহার করেন ডিজাইনাররা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। রঙ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৌমিক দাস জানান, স্বস্তিদায়ক ফেব্রিকে সমকালীন প্যাটার্ন ও ডিজাইন অনুসরণ করে ট্রেডিশনাল পোশাক তৈরির চেষ্টা এবারও ছিল। থিমভিত্তিক এ পোশাকগুলো সমসাময়িক ট্রেন্ড প্রাধান্য দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। এবারের থিম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে পূজার ফুল

কারণ, যেকোনো পূজার প্রধান উপকরণ হচ্ছে ফুল। পূজার কাজে ব্যবহৃত জবা, নীলকণ্ঠ, পদ্ম, শিউলিসহ নানান ফুল উপজীব্য করে সাজানো হয়েছে রঙ বাংলাদেশ শারদ সংগ্রহ। শাড়িতে প্রতিবারের মত আমরা নানা বৈচিত্র্য এনেছি নকশাতে। এ ছাড়া সালোয়ার-কামিজেও উজ্জ্বল রঙের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এবার। সালোয়ার-কামিজ ও পাঞ্জাবি তৈরি করা হয়েছে সময়োপযোগী ম্যাটেরিয়ালে। সুতি ছাড়াও আছে টিস্যু, হাফসিল্ক, অ্যান্ডি সিল্কের মত কাপড়। আবার ক্রেতাদের সামর্থ্য ও রুচির বিষয়গুলোও মাথায় রাখা হয়েছে ম্যাটেরিয়াল ব্যবহারে। যাতে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় ঘটে।

অন্যান্য ফ্যাশন ব্র্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে গরমে আরামের কথা মাথায় রেখেই টিস্যু জাতীয় কাপড়ের কালেকশন বাড়ানো হয়েছে। সুতি কাপড়ের পোশাক ছাড়াও লিনেন ও হালকা সিল্কের পোশাক বেশি দেখা যাচ্ছে এবার। মসলিনও রয়েছে সামনের সারিতেই। এর বাইরেও সেমি কটন, জামদানি ও তাঁতের পোশাক তৈরি করেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। এতে সব ধরনের ক্রেতা রুচি ও পছন্দমত পোশাক বেছে নিতে পারেন।

পূজার থিম: দুর্গাপূজায় শুধু পোশাক বিকিকিনি নয়, পোশাকের মধ্য দিয়েও মায়ের আশীর্বাদ, বাংলা ও বাঙালির শত বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরার প্রয়াস চালায় হাউসগুলো। পূজার পোশাকে নকশায় ফুটে ওঠে বাঙালির রূপকথা ও হাজার বছরের গল্প। একেকবার একেক থিমের পূজার পোশাক নিয়ে হাজির হয় হাউসগুলো। ব্যতিক্রম নেই এবারও। পূজা উৎসব আরও বর্ণিল করার প্রয়াসে দেশি ক্লদিং ব্র্যান্ড কে ক্র্যাফট নিয়ে এসেছে বৈচিত্র্যময় নতুন পোশাক। ব্র্যান্ডটি এ বছর পূজার জন্য মানডালা, ট্রাইবাল ও ফ্লোরাল মোটিফের অনুপ্রেরণায় এবং বিচিত্র রঙের বিন্যাসে চলমান ট্রেন্ড অনুযায়ী ডিজাইন করেছে শারদ কালেকশন। এদিকে রঙ বাংলাদেশের এবারের থিম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে পূজার ফুল। পূজার কাজে ব্যবহৃত জবা, নীলকণ্ঠ, পদ্ম, শিউলিসহ নানান ফুল উপজীব্য করে সাজানো হয়েছে তাদের এ শারদ সংগ্রহ।

তবে আড়ং এনেছে খানিকটা বর্ণিল ফিউশনে পূজার সংগ্রহ। এই মৌসুমে স্টাইল এবং আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দিন এবং নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ডে আবিষ্কার করুন নিজেকে এভাবেই নিজেদের পূজার পোশাকগুলোর উপস্থাপনা করছে আড়ং। বাটিক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট ছাড়াও প্রাধান্য পেয়েছে এমব্রয়ডারির কাজও। পূজা আর শরৎ একসাথে এবার ধরা দিয়েছে ফ্যাশন ব্র্যান্ড হাউজের শাড়িতে। এসব শাড়ি এ আবহাওয়ায় মানানসই, আরামদায়ক আর ব্যবহার উপযোগীও। পূজায় পিছিয়ে নেই পুরুষের পোশাকও। ধুতি ও পাঞ্জাবির নকশায় নতুনত্ব যোগ করেছেন ডিজাইনাররা। গরমে আরামের বিষয়টি মাথায় রেখে সুতি কাপড়ে তৈরি ধুতি-পাঞ্জাবির সংগ্রহেই বেশি মনোযোগ দিয়েছে তারা। পূজার পাঞ্জাবিতে দেখা যাচ্ছে দেবী মোটিফ। ধুতি সাদা রঙের হলেও পাঞ্জাবিতে রঙের খেলা খেলেছে হাউসগুলো। সাদা, লাল, নীল, আকাশি, মেরুন, খয়েরিসহ বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের পাঞ্জাবির দেখা মিলবে শোরুমগুলোতে। শর্ট ও লং দুই ধরনের পাঞ্জাবিই চলছে।

এবারকার ট্রেন্ড ঘেরের কাজ, ফ্রিল বা কুচি, অরগাঞ্জা, চুড়িদার সালোয়ার, রঙে ভাইব্র্যান্ট শেডএবার ট্রেন্ডে এগিয়ে। ম্যাটেরিয়ালে টিস্যু, মসলিন কাপড়ের পোশাক এগিয়ে। তবে পোশাকে যত ভিন্নতাই আসুক লাল-সাদা পারের গরদের আবেদন চিরন্তন। থাকছে তাও। লোয়ার মানে সালোয়ারে দেখা যাচ্ছে নানা কাট। চাপা ও খানিকটা খাটো সালোয়ার চলছে এবার বেশ। কেউ কেউ কামিজের সাথে বেশ ঢিলেঢালা পালাজ্জোও এনেছে। ছেলেদের পাঞ্জাবি, মেয়েদের লং কুর্তি ও থ্রিপিসের নকশা করা হয়েছে নানা লোকজ উপাদানে। পোশাকে উৎসবের আবহ ফুটিয়ে তুলতে উজ্জ্বল রঙের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে টাই-ডাই, সিকুইন,মিনিমাল কারচুপি ও স্ক্রিন প্রিন্ট।

এদিকে কিছু ফ্যাশন ব্র্যান্ডের শারদ সংগ্রহে মেয়েদের কোটিসহ জামা, ফ্রক স্টাইলের জামা, থ্রি-পিস, সিঙ্গেল কামিজ, টপস আর শাড়ি রয়েছে। স্লাব সিল্কের কোটির সঙ্গে রাখা হয়েছে জ্যাকার্ড সিল্কের ইনার। সুতি থ্রি-পিসগুলোতে দেখা যাচ্ছে ব্লক, কারচুপি ও ডলার বসানো কাজ। রয়েছে ফ্লোরাল মোটিফে এমব্রয়ডারি ও চুমকির কাজ। টপসগুলো উজ্জ্বল রঙের ডিজাইনে স্ক্রিনপ্রিন্ট করা বেশির ভাগই। সব বয়সীর জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় সব ডিজাইনের পোশাক। রয়েছে পরিবারের সবার জন্য একই ধরনের ম্যাচিং পোশাকের কালেকশন।


আরও খবর

রাশিফল: কেমন থাকবে আপনার আর্থিক অবস্থা?

বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩

রাশিফল: দিনটি আজ কেমন যাবে!

মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর