শনিবার (৬ আগস্ট)
সকাল থেকে নগরীতে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত সোয়া ১২টার দিকে এ
তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের
সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শুক্রবার (৫ আগস্ট)
রাত ১০টার দিকে তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশ্ববাজারের
সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতে ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা
এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জ্বালানি
তেলের দাম বাড়িয়ে দেওর কারণে রাতে পেট্রোল পাম্পগুলো তেল দেয়নি। এত দাম দিয়ে জ্বালানি
কিনে একই ভাড়ায় আমাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব না। তেলের দাম বাড়লে যা ভাড়া আসবে তার
সব টাকা পেট্রোল পাম্পে দিয়ে আসতে হবে। এতে করে শ্রমিকের বেতনও হবে না, গাড়ির কিস্তি
দেব কি করে? তাই শনিবার সকাল থেকে আমাদের বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববাজারে
জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য
সমন্বয় করে থাকে। ভারত গত ২২ মে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং
পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে যা অদ্যাবধি বিদ্যমান। এই মূল্য বাংলাদেশি
টাকায় যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা। (১ রুপি = গড় ১.২৩ টাকা)। অর্থাৎ বাংলাদেশে
কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা
কমে বিক্রয় হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা ছিল।
বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম
কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে
(সকল পণ্য) ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির
কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখাতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য
হয়ে পড়েছিল।