Logo
শিরোনাম

৪-৩ গোলে ম্যানচেস্টার সিটির জয়

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পুরো ম্যাচ গোল দেখেছে ৭টা, তবে হতে পারতো কমপক্ষে আরও তিন গোল। সেসব হয়ে গেলে হয়তো ম্যাচ শেষে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার চিন্তিত চেহারার দেখাটা মিলত না। সেটা হতে হতে হয়নি সিটি আক্রমণভাগের দোষে। তাই রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে প্রথম লেগের 'থ্রিলারে' সিটির জয়টা এল মোটে এক গোলের ব্যবধানে। ৪-৩ গোলে হেরেও রিয়াল মাদ্রিদ তাই টিকে রইল ভালোভাবেই।

সাত গোলের থ্রিলারের প্রথমটা যখন এলো, সিটির মাঠ এতিহাদে তখন হয়তো দর্শকরা ধাতস্থ হয়ে ঠিকঠাক বসতেও পারেননি। ম্যাচের বয়স যখন মোটে ৯৩ সেকেন্ড, ঠিক তখন রিয়াদ মাহরেজ ডান প্রান্তে পেয়ে যান বল; গোটা দুই চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে ক্রস বাড়ান বক্সে, সেটাই রিয়াল বিপদসীমায় 'লেট রান' নেওয়া কেভিন ডি ব্রুইনা পেয়ে যান ফাঁকায়, নিচু হেডারে বলটাকে আছড়ে ফেলেন জালে। দ্বিতীয় মিনিটেই নিঁখুত শুরু পেয়ে যায় সিটি।

প্রথম গোলে ডি ব্রুইনার মুন্সিয়ানা যেমন ছিল, তেমনি ছিল রিয়াল রক্ষণের ভুলও। দানি কারভাহালের নাগালেই যে ছিল বলটা! তেমন এক ভুল ১১ মিনিটে আবার করল রিয়াল রক্ষণ, এবার খলনায়ক ডেভিড আলাবা, চোটের কারণে যার ম্যাচ খেলা নিয়েই ছিল শঙ্কা। বাম প্রান্ত থেকে করা ডি ব্রুইনার ক্রস বিপদমুক্ত করতে পারেননি সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ ডিফেন্ডার, তা গিয়ে পড়ে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের পায়ে। আগের লিগ ম্যাচে চার গোল করা ব্রাজিলিয়ান এই স্ট্রাইকার চকিতেই ঘুরে গিয়ে রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে ধোঁকা দিতে ভুল করেননি। ১২ মিনিট না যেতেই ২ গোলে এগিয়ে গিয়ে সিটি যেন তখন রীতিমতো পা রেখে ফেলেছিল স্বপ্নের জগতেই!

এ পর্যন্ত রিয়াল হজম করেছিল দুই গোল, তবে রিয়ালের রক্ষণ যেমন অস্তিত্বহীনতায় ভুগছিল, তাতে সফরকারী শিবিরে আরও বড় কিছুর শঙ্কাও উঁকি দিয়ে যাচ্ছিল ভালোমতোই। ২৬ আর ২৯ মিনিটে মাহরেজ আর ফিল ফোডেন দুটো মোক্ষম সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে হয়তো সেটা হয়েও যেত। তবে রিয়ালের সৌভাগ্য, সুযোগ দুটো বেরিয়ে গেছে কানের পাশ দিয়ে।

দুটো মিসের পরই ক্যামেরা সরে গিয়েছিল ডাগ আউটে। তীব্র আক্রোশে তখন ফেটে পড়ছিলেন কোচ গার্দিওলা। কেন ফেটে পড়ছিলেন সেটা বোঝা গেল একটু পরই। ৩৩ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে ফেরলান্দ মেন্দির ক্রসে দারুণ এক গোল করে বসেন কারিম বেনজেমা। সেই গোল স্কোরলাইন করল ২-১, আর রিয়ালকে দিলো ম্যাচে ফেরার সঞ্জীবনী সুধা।

বিরতির পরই দারুণ একটা সুযোগ এসেছিল সিটির সামনে। গোলের খোঁজে হন্যে হয়ে আক্রমণে ওঠা রিয়ালকে প্রতি আক্রমণে প্রায় বিপদে ফেলেই দিচ্ছিলেন রিয়াদ মাহরেজ৷ তবে তার শটটা গিয়ে কাঁপায় বাম প্রান্তের পোস্টটা, ফিরতি সুযোগে ফোডেনের শট গোললাইন থেকে ফেরান কারভাহাল, সে যাত্রায় বিপদ থেকে মুক্তি মেলে রিয়ালের।

সে 'মুক্তির' স্থায়িত্ব অবশ্য ছিল কেবল মিনিট পাঁচেক। আগের আক্রমণে গোলবঞ্চিত ফোডেন ফের্নান্দিনিওর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে করেন দারুণ এক গোল। রিয়ালও জবাব দিল ১২০ সেকেন্ডের কম সময়ে। রক্ষণ থেকে আসা পাস থেকে দারুণ এক ডামিতে মার্কার ফের্নান্দিনিওকে ছিটকে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, তার গতির কাছে হার মানে সিটির 'হাইলাইন' মানা রক্ষণ; সিটি বিপদসীমায় উঠে এসে ঠাণ্ডা মাথায় জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান এই স্ট্রাইকার। ৫৫ মিনিটে ৩-২ স্কোরলাইন তখন অপেক্ষায় আরও গোলের।

মিনিট বিশেকের মধ্যে সে অপেক্ষা ফুরোলোও। বক্সের বাইরে ওলেক্সান্দ্র জিনচেঙ্কো ফাউলের শিকার হয়েছিলেন; রিয়াল রক্ষণ তো বটেই, সিটির খেলোয়াড়রাও তখন ভাবছিলেন ফ্রি কিকের কথা। তবে সেই সুযোগটাই নেন বার্নার্ডো সিলভা, বক্সের বাইরে থেকে বল নিয়ে ঢুকে করে বসেন দারুণ একটা গোল, থিবো কোর্তোয়াসহ রিয়ালের রক্ষণকে তখন মনে হচ্ছিল রীতিমতো 'অস্তিত্বহীন'।

রিয়াল এর পরও হাল ছাড়েনি। ৮২ মিনিটে ফল পায় দলটি। বক্সে ভেসে আসা ক্রসে ভুলে হাত ছুঁইয়ে বসেন রুবেন ডিয়াজ। পেনাল্টি থেকে পানেনকা শটে বল জালে জড়ান বেনজেমা। যার ফলে শুরুটা যাচ্ছেতাই হলেও শেষটা ৪-৩ স্কোরলাইন নিয়ে করতে পারে রিয়াল। শেষ চারের বৈতরণী পেরোনোর আশাটাও টিকে রইলো ভালোভাবেই।

তবে ৪-৩ গোলের এই জয় সিটিকে খানিকটা কৌলিন্যের স্বাদও এনে দিয়েছে বৈকি। বায়ার্ন মিউনিখ আর জুভেন্তাসের পর ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় দল হিসেবে টানা তিন ইউরোপীয় লড়াইয়ে হারিয়েছে রিয়ালকে। ফিরতি লেগের আগে পেপ গার্দিওলার দলকে খানিকটা সুখানিভূতি দেবে যা। 


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর