Logo
শিরোনাম

৪ কেজি ছোলা ছাড়া ডাল-তেল-চিনি মিলছে না টিসিবিতে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ২১৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

টিসিবির পণ্য কিনতে গিয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ক্রেতাদের নিতে হচ্ছে চার কেজি ছোলা। চার কেজি চোলা না কিনলে দেওয়া হচ্ছে না ডাল, তেল ও চিনি। আর এই নিয়মের কারণে কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবির অফিসের সামনেই বিএম এন্টারপ্রাইজের ট্রাকসেলে এ চিত্র দেখা গেছে।

কম দামে টিসিবি পণ্য কিনতে আসা আনোয়ারা বেগম বলেন, লন বাবা লন, আমার ছোলা লন। এতো ছোলা কি করব। এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে দুই কেজি করে চিনি ও ডাল দিলেও চার কেজি ছোলা ধরিয়ে দিল। বেশি টাকা আটকে গেল। তেল তো বেশি দিল না। মাত্র দুই লিটার। সব মিলে ৬৬০ টাকা নিল। এভাবে শুধু আনোয়ারাই নয়, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর যারাই পণ্য পাচ্ছেন তারাই অভিযোগ করে বলছেন, চার কেজি ছোলা করব কি? শাহাদত হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পর ট্রাক থেকে চার কেজি ছোলাসহ অন্য পণ্য দিল। ৬৬০ টাকা নিল। কিন্তু এতো ছোলা কি করব? ঈদের সময় এতো তো লাগবে না। আবার তেল তো বেশি দিল না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ট্রাকের আলম বলেন, বেশি করে আনা হয়েছে। তাই চার কেজি করে দেওয়া হচ্ছে। এই চিত্র শুধু কারওয়ান বাজারেই নয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদারবসহ ১৫০ ট্রাকসেলের একই চিত্র। দুপুর ১২টার আগে থেকে অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও শঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, শেষ পর্যন্ত পাব তো। অনেকেই বলছেন, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও অনেক দিন পাওয়া যায় না। রাজধানীতে প্রতিদিন ১৫০টি ট্রাকসেলে ৫৫ টাকা কেজি চিনি, ১১০ টাকা লিটার তেল, ৬৫ টাকা কেজি ডাল ও ৫০ টাকা কেজি ছোলা বিক্রি করা হচ্ছে।

সাকিল হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, ফাকা পেয়ে প্রথম লাইনে দাঁড়িয়েছি। তারপরও ঘণ্টাখানেক পর পেলাম। কিন্তু বেশি ছোলায় মনটা খারাপ হয়ে গেল। কারণ এতো ছোলা লাগে না। তেল দিলে ভালো হতো। মোহাম্মদপুরের ট্রাক সেলেরও একই চিত্র। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর তেল, ডাল, চিনি ও ছোলা পেলেও খুশি নয় তারা। কারণ বেশি ছোলার দরকার নেই। তারপরও ট্রাক থেকে বেশি করে দেওয়া হচ্ছে।

রাজধানীতে প্রতি ট্রাকে ২৫০০ কেজি ও লিটার করে পণ্য মোট তিন লাখ ৭৫ হাজার কেজি ও লিটার পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া সারাদেশে এক কোটি পরিবারকেও কম দামে ডাল, তেল , চিনি ও ছোলা দেওয়া হচ্ছে। যা বাজারের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মুখপাত্র এবং তেজগাঁও আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. হুমায়ুন করিব বলেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রমজান মাস উপলক্ষে সারাদেশে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে ডাল, চিনি, ছোলা ও তেল দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে ৮৭ লাখ ১০ হাজার কার্ডধারীদের বিভিন্ন এলাকায়, বরিশালে ৯০ হাজার ও রাজধানীতে ১২ লাখ পরিবারকে ট্রাকসেলে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। ৬ মার্চ থেকে বিভিন্ন এলাকায় প্রথম কিন্তির পর দ্বিতীয় কিস্তিতে মালামাল দেওয়া শুরু হয়েছে। চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। এ পর্যন্ত চার কোটি লিটার তেল, ৪০ হাজার মেট্রিক টন করে ছোলা, ডাল, চিনি দেওয়া হয়েছে। রমজান উপলক্ষে আগে খেজুরও দেওয়া হয়েছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে থাকায় ট্রাকসেলে তা বন্ধ রয়েছে।

দুপুর গড়িয়ে গেলেও ট্রাক স্পটে যায় না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার পর ডিও লেটারের কাজ শুরু হয়। যারা আগে টাকা দেয় তারা আগে পায়, দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত চলে মাল দেওয়ার কাজ।

টিসিবি থেকে এত পণ্য দেওয়া হচ্ছে তারপরও চাহিদা কমছে না। লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। অনেকে তারপরও পাচ্ছে না কম দামের এসব পণ্য? এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবির বলেন, গত বছরে চাহিদার ১০ থেকে ১২ শতাংশ পূরণ করেছে টিসিবি। এবার দ্বিগুণেরও বেশি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হবে। এর ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আগে প্রতি ট্রাকে দুই হাজার কেজি ও লিটার দেওয়া হত। এবারে তা ৩৫০০ কেজি ও লিটার ছাড়িয়ে গেছে।

টিসিবির প্রধান কার্যালয়ে বিক্রয় কেন্দ্র থেকে আগে এ সব পণ্য দেওয়া হলেও বর্তমানে বন্ধ কেন? এ ব্যাপারে তিনি বলেন, লোকবলের সংকট। আগে আটটি অফিস থাকলে বর্তমানে ক্যাম্প অফিসসহ ১২টি অফিস করা হয়েছে। তারপরও লোকবল কম রয়েছে।


আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর