Logo
শিরোনাম

৭৫০০ কোটি ডলারের অবকাঠামো তহবিলের পরিকল্পনা চীনের

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মহামারীর শুরু থেকেই জিরো কোভিড নীতি অব্যাহত রেখেছে চীন। প্রায় আড়াই বছর ধরে বারবার লকডাউনসহ কভিডজনিত বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে দেশটি। ফলে দুর্বল হয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে ভোক্তা ব্যয়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সরবরাহ ব্যবস্থা। মন্দা দেখা দিয়েছে ঋণে জর্জরিত দেশটির আবাসন খাতেও। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে শ্লথগতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অবকাঠামো ব্যয়কে উৎসাহিত করতে ৫০ হাজার কোটি ইউয়ান (৭ হাজার ৪৬৯ কোটি ডলার) অবকাঠামো বিনিয়োগ তহবিল গঠন করবে চীন। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তহবিলটি গঠন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও সূত্র দুটি বিস্তারিত কোনো বিবরণ প্রকাশ করেনি। আবার অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্ম কমিশনও রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেয়নি।

সম্প্রতি কোভিডজনিত লকডাউন শেষে নানা ধরনের অর্থনৈতিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করছে চীন। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটি এখনো জিরো কভিড নীতি থেকে সরে আসেনি। ফলে চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পাওয়া দেশটির জন্য কঠিন হবে।

এদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে বেশির ভাগ সহায়তামূলক পদক্ষেপ চলতি বছর কোভিডের প্রভাব মোকাবেলার জন্য আর্থিক প্রণোদনা থেকে এসেছে। অর্থায়নের খরচ কমাতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি সহজ করে চলেছে। চাকরি হারানো ও আয় কমে যাওয়ার মধ্যে চীনা ভোক্তারা ব্যয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। কারণ রফতানিকারকরা সম্ভাব্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়ে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ, উচ্চ কাঁচামালের ব্যয় এবং সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতাগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস পূরণে ঝুঁকি তৈরি করেছে।

যদিও এখন পর্যন্ত চীনের ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি কর্তৃপক্ষকে অর্থনীতি চাঙ্গা করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। যদিও কিছু বিশ্লেষক সতর্ক করেছেন, বিশ্বজুড়ে উচ্চ ব্যয়ের ধাক্কা চলতি বছরের শেষ দিকে চীনেও দেখা যেতে পারে। বড় অবকাঠামো প্রকল্পগুলোয় বিনিয়োগ বেইজিংয়ের সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে আবাসন খাতের ব্যয় দুর্বল হওয়ার কারণে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এ পদক্ষেপ যথেষ্ট নাও হতে পারে। হাইওয়ে, রেলওয়ে ও বিমানবন্দরের মতো বিপুল ব্যয়ের প্রকল্পগুলোয় রিটার্ন এখন অনেক কম। চীন ফাইভজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডাটার ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে নতুন অবকাঠামো প্রসারিত করতে চাইছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে চীনা সরকার বিশেষ বন্ডের জন্য ২০২৩ সালের অগ্রিম কোটা ইস্যু করবে। নতুন কোটা ২০২২ সালের জন্য ১ লাখ ৪৬ হাজার কোটি ইউয়ানের চেয়েও বড় হতে পারে। দেশটির মন্ত্রিসভা স্থানীয় সরকারগুলোকে অবকাঠামো খাতের জন্য বিশেষ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি ইউয়ান নিশ্চিত করতে বলেছে। এটি জুনে সম্পূর্ণ হওয়া ২০২২ সালের ৩ লাখ ৬৫ হাজার কোটি ইউয়ানের বিশেষ বন্ড কোটার অংশ। সরকারি কিছু উপদেষ্টা বড় প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য চলতি বছরের শেষদিকে বিশেষ ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত মাসের শেষ দিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ওয়াং ইমিং বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে চীন। এ অবস্থায় বাজেট ঘাটতি বাড়ানো কিংবা বিশেষ ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করার বিষয়ে বিবেচনার করার আহ্বান জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: চীন

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩