Logo
শিরোনাম

আগের চেয়েও প্রাণবন্ত রমনা পার্ক

প্রকাশিত:শনিবার ০২ জুলাই 2০২2 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীতে ভোরে ভ্রমণের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র রমনা পার্ক। ঢাকার ফুসফুস হিসেবেও পরিচিত এটি। প্রতিদিন সকালের পাশাপাশি বিকালেও এখানে হাঁটতে ও ব্যায়াম করতে আসেন কয়েক হাজার মানুষ। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ধাক্কার পর ঐতিহাসিক পার্কটিতে হাঁটা ও ব্যায়ামের ক্ষেত্রে বড় রকমের পরিবর্তন এসেছে। আগের দৃশ্য অনেকটাই বদলে গেছে। বহুমাত্রিকতা পেয়েছে পার্কটি। সাম্প্রতিক সময়ে রমনা পার্কের পরিবেশ যেমন অনেকটাই পাল্টে গেছে, তেমনই বদলে গেছে এখানকার সকাল-বিকালের দৃশ্যপট। হাজার প্রজাতির গাছের এই পার্কে দুই বেলায় হাঁটা ও ব্যায়াম করতে আসা মানুষের মাঝে বৈচিত্র্য এসেছে। নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে স্বাস্থ্য সচেতন এসব মানুষের ক্ষেত্রে। ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে ব্যায়ামের ক্ষেত্রেও। অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে এবং অনেকে দলগতভাবে হাঁটছেন বা ব্যায়াম করছেন।

বর্তমানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছেন। এই তালিকায় যুবক, তরুণ, তরুণীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়েও পার্কে হাঁটতে ও ব্যায়াম করতে আসছেন। এ দৃশ্য বলছে, শহরবাসীর মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ছে। বেশ কয়েকজন প্রাতঃভ্রমণকারী জানান, করোনার সময় পার্ক বন্ধ থাকায় মাসের পর মাস ঘরবন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে। তাতে অনেকে মুটিয়ে গেছেন, অনেকে স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে সচেতন হয়েছেন। সব মিলিয়ে রমনা পার্কে সকাল-বিকালের হাঁটা ও ব্যায়ামের ক্ষেত্রে একটি পরিবর্তন এসেছে।

যেমন আলী আজগর ও তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বলছিলেন, নিয়মিত সকাল-বিকালে একটি নির্ধারিত স্থান পর্যন্ত হাঁটি আমরা। তারপর অন্যান্য ব্যায়াম করি। এটি রোজকার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। করোনার সময়ে এ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। সেই বাধা কেটে যাওয়ার পর ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতিরাও নিয়মিত হাঁটা ও ব্যায়ামের প্রতি উৎসাহিত হয়েছে। আমরা একসঙ্গে পার্কে আসি। কয়েকদিনের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সব বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিদিন সকালে রমনা পার্কে হাঁটতে ও ব্যায়াম করতে আসছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ বেশি থাকলেও নারী ও শিশু-কিশোরকেও দেখা যাচ্ছে সমান তালে এগোতে। বিশেষ করে প্রতি শুক্র ও শনিবার সকালে রমনায় বিভিন্ন বয়সী নারী ও শিশু-কিশোরের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এমনকি জুডো ও কারাতে প্রশিক্ষণে শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারীকে সমান তালে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। অভিভাবকরা বলছেন, সন্তানদের সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য এই মাধ্যমটি বেছে নিয়েছেন তারা। তাদের ক্ষেত্রে ক্যালোরিগত দিক দিয়ে এটি বেশ ভালো।

আফরোজা নাহার নামের একজন সরকারি চাকরিজীবী বলেন, করোনার আগে আমি এবং আমার স্বামী প্রতিদিন সকালে হাঁটতে ও ব্যায়াম করতে রমনা পার্কে আসতাম। এখন ছেলে-মেয়েদেরও নিয়ে আসছি। ওরা দুজনেই জুডো-কারাতে করে, আমরা ব্যায়াম করি। পরে একসঙ্গে বাসায় ফিরি। বয়স্ক নারী-পুরুষরা পার্কে এসে প্রথমে কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করেন। পরে বিভিন্ন পাকা ঘরে এবং বড় গাছের গোড়ায় তৈরি বেস্টুনিতে বসে ব্যায়াম করেন। পার্কে স্থাপিত গুচ্ছ বেঞ্চে অথবা ঘাসের ওপর বসেও ব্যায়াম করে থাকেন অনেকে। দলবেঁধে হাঁটা ছাড়াও একাকি কিংবা অন্যের সহায়তায় ব্যায়াম করতে দেখা যায় সিনিয়র সিটিজেনদের। ব্যায়াম শেষে অনেককে খোশগল্পেও মেতে উঠতে দেখা যায়।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের বয়স হয়েছে। অলস সময় কাটাতে হয়। সন্তানরা কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর বের হওয়া হয় না। সে জন্য ব্যায়াম শেষে কিছুটা সময় বন্ধুদের সঙ্গে কাটিয়ে বাসায় ফিরি।

ডায়াবেটিস-প্রেসারে সচেতনতা

পার্কে প্রবেশের প্রতিটি গেটে একাধিক টেবিলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা এবং প্রেসার মাপার ব্যবস্থা রয়েছে। এখান থেকে অল্প খরচে অনেকে নিয়মিত সেবা নিয়ে থাকেন। বয়স্করা ছাড়াও তুলনামূলক কম বয়সী বা যুবক-তরুণীরাও ডায়াবেটিস পরীক্ষা এবং প্রেসার মাপার বিষয়ে উৎসাহ দেখাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সেবাদানকারীরা। তারা জানান, ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা ১০ টাকা, ব্লাড সুগার পরীক্ষা ৩০, ইউরিন এসিড পরীক্ষা ৪০ টাকা, হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা ১০০ টাকা এবং কোলেস্টরল পরীক্ষা ১৪০ টাকা নেওয়া হয়। করোনা মহামারির পরে অনেকের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার হারও আগের চেয়ে বেড়েছে।

গড়ে উঠেছে সংগঠন

রমনা পার্ককে কেন্দ্র করে দুই ডজনের বেশি বিভিন্ন সংগঠন গড়ে উঠেছে। যার সঙ্গে যুক্ত দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। পার্কে হাঁটতে বা ব্যায়াম করতে আসা লোকজনের দলগত উদ্যোগে এগুলো প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রয়েছে ইয়োগা, জুডো ও কারাতের মতো সংগঠনও। সংগঠনগুলোর মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষায় একটি কেন্দ্রীয় সংগঠনও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নাম-রমনা পার্ক ফেডারেশন অব ওয়ার্কার্স। বর্তমানে এটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন শহিদুর রহমান লাল।

তিনি বলেন, ৪০ বছর ধরে রমনা পার্কে হাঁটা ও ব্যায়াম করে আসছি। সব বয়সী বেশ কয়েকজনকে নিয়ে শতায়ু অঙ্গন নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা আগে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করলেও এখন ইয়োগা করছি। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া আশীষ কুমার আমাদের ইয়োগার কলা-কৌশল শিখিয়েছেন। এখন নিজেরাই করছি।

যেসব সংগঠন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, তার মধ্যে রয়েছে শতায়ু অঙ্গন, রমনা ঊষা, কিছুক্ষণ, ব্যতিক্রম, শুভক্ষণ, কণিকা, সুপ্রভাত বিক্রমপুর, উৎস, ক্ষণিকের মিলন, বকুলতলা, রমনা সূর্যোদয়, প্রভাতী, ভোরের সাথী, মাউন্টেন কেকাস, উজ্জীবন, এভার গ্রিন, নাগেশ্বর চাপা, অনুরাগ ও মহিলাঙ্গন। এখানে কাজ করছে আলফা ইয়োগা সোসাইটিসহ অনেকগুলো সংঘ, নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছে রমনা জুডো ও কারাতে এবং সিতোরিউ কারাতে-দো বাংলাদেশ।

মিলছে বাজারও

রমনা থেকে বের হওয়ার প্রতিটি গেটের বাইরের অংশে রীতিমতো অস্থায়ী বাজার বসছে প্রতিদিন সকাল-বিকাল। তবে বিকালের তুলনায় সকালের বাজারে বিক্রি বেশি হয়। দোকানিরা মৌসুমি ফল, ডাব, মাঠা, বেকারি পণ্য ও মাছের ডালার পসরা সাজিয়ে বসছেন। অনেকে চাহিদামতো জিনিস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এই বাজারের বিক্রি নিয়ে দোকানিরাও বেশ খুশি। দফায় দফায় করোনার সংক্রমণ বাড়লে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের আওতায় পড়ে রমনা পার্কও। বেশ কিছুদিন স্থবির থাকার পর পার্কটি চিরচেনা রূপে ফিরে এসেছে। আগের চেয়েও বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। তবে রমনা পার্কের শিশু কর্নারটির সংস্কার কাজের ধীরগতি নিয়ে অনেককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।


আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর