Logo
শিরোনাম

আত্মসমপর্ণ না করে জীবন দিলেন ইউক্রেনের ১৩ সেনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কৃষ্ণসাগরের ছোট দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডকে রুশ সেনাদের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন ১৩ ইউক্রেনীয় সেনা। রুশ যুদ্ধ জাহাজের কাছে আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তাঁরা। পরে ওই যুদ্ধ জাহাজ থেকে ছোড়া বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁদের। ইতিমধ্যে ওই ইউক্রেনীয় সীমান্তরক্ষীদের মৃত্যুর এ ঘটনাটি অনেককে আবেগতাড়িত করেছে। রুশ সেনাদের উপেক্ষা করে তাঁদের শেষ মুহূর্তের প্রতিবাদী বক্তব্যগুলো টুইটার, টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্নেক আইল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য রুশ জাহাজের পক্ষ থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতি আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছিল। তাঁদের বলা হয়েছিল, আপনাদের অস্ত্রগুলো জমা দিন এবং আত্মসমর্পণ করুন। তা না হলে আপনাদের ওপর ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। আপনারা কি আমাদের কথা বুঝতে পারছেন?

তবে রুশ যুদ্ধ জাহাজের সে আহ্বান উপেক্ষা করে ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষীদের তখন বলতে শোনা যায়, বেশ বলেছ। এরপর তাঁরা রাশিয়ার ওই যুদ্ধ জাহাজের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন এবং সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। পরে রুশ বোমা হামলায় মারা যান তাঁরা।

নিজ দেশের নিরাপত্তা রক্ষীদের এমন সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ নিরাপত্তা রক্ষীদের সবাইকে মরণোত্তর যুদ্ধ বীর হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

জেলেনস্কি বলেন, আমাদের জিমিনি দ্বীপকে (স্নেক আইল্যান্ড) সুরক্ষিত রাখতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন সীমান্তরক্ষীরা। বীরত্বপূর্ণভাবে জীবন বাজি রেখেছেন। তারপরও হাল ছেড়ে দেননি। তাঁদের সবাইকে ইউক্রেনের বীর হিসেবে মরণোত্তর স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ইউক্রেনের জন্য যাঁরা জীবন দেন তাঁদের চিরন্তন স্মারক এ স্বীকৃতি।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩