ওপারের সিনেমা নিয়ে যেমন আগ্রহ আছে বাংলাদেশে, তেমনি কলকাতার দর্শকও চান বাংলাদেশের সিনেমা দেখতে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জনপ্রিয় হওয়ার পর এ আগ্রহ বেড়েছে আরও। গত এক দশকে অনেক আলোচনার পরও দুই বাংলার সিনেমা মুক্তির ক্ষেত্রে জটিলতা কাটেনি। তবে এ দেশের সিনেমা ভারতের দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’। গত তিন বছর কলকাতায় উৎসবটি আয়োজিত হচ্ছে। এবার উৎসবের চতুর্থ আয়োজন।
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন শেষে ২৯ অক্টোবর থেকে কলকাতার রবীন্দ্র সদনে অনুষ্ঠিত হবে ‘চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’। চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও থাকবেন অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত হয়েছে উৎসবটি।
এতে বাংলাদেশের ২৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ৪টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র এবং ৮টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র থাকবে। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের তালিকায় রয়েছে ‘হাওয়া’, ‘বিউটি সার্কাস’, ‘গুণিন’, ‘হৃদিতা’, ‘পরাণ’, ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’, ‘কালবেলা’, ‘চন্দ্রাবতী কথা’, ‘চিরঞ্জীব মুজিব’, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, ‘নোনা জলের কাব্য’, ‘রাত জাগা ফুল’, ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’, ‘গলুই’, ‘গণ্ডি’, ‘বিশ্বসুন্দরী’, ‘রূপসা নদীর বাঁকে’, ‘শাটল ট্রেন’, ‘মনের মত মানুষ পাইলাম না’, ‘রকেট’, ‘ন ডরাই’, ‘কমলা রকেট’, ‘গোর’ ও ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’।
প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের তালিকায় রয়েছে ‘হাসিনা: আ ডটারস টেল’, ‘বধ্যভূমিতে একদিন’, ‘একটি দেশের জন্য গান’ এবং ‘মধুমতী পারের মানুষটি: শেখ মুজিবুর রহমান’। আর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের তালিকায় আছে ‘ধড়’, ‘ময়না’, ‘ট্রানজিট’, ‘কোথায় পাব তারে’, ‘ফেরা’, ‘নারী জীবন’, ‘কাগজ খেলা’ ও ‘আড়ং’। এ ছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও রয়েছে উদ্যোক্তাদের। এ উৎসবে অংশ নিতে কলকাতায় যাবেন অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরীসহ বাংলাদেশের অনেক নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও প্রযোজক।