Logo
শিরোনাম

বাণিজ্যমেলার শেষ শুক্রবারে কানায় কানায় পরিপূর্ণ প্রাঙ্গণ

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা মানেই মেলা প্রাঙ্গণ কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকবে। দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকবে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। স্টলগুলোর সামনে থাকবে ক্রেতাদের ভিড়। সেই চিত্রই ফুটে উঠেছে বাণিজ্যমেলার শেষ শুক্রবার। পুরো মেলা প্রাঙ্গণ ছিল দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত। শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুরো মেলা প্রাঙ্গণে ছিল দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। বেশি লোকের সমাগমের কারণে মেলা থেকে এশিয়ান বাইপাস সড়ক ও গাজীপুর বাইপাস সড়কে প্রায় ১৩ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মেলায় এসে ভোগান্তিতে পড়েছে দর্শনার্থীরা। তবে ভোগান্তি পেরিয়েও মেলায় আসতে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলার শেষ শুক্রবার হওয়ায় সকাল থেকেই বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থীদের আসতে দেখা যায়। এতে করে মেলা প্রাঙ্গণ কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। এবারের আসরে বানিজ্যমেলায় ৩৩১ টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্টলের সামনেই দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। সেই চিরচেনা রূপকে পূর্ণতা দিয়েছে মেলায় দর্শনার্থীদের অবাধ আগমন। মেলায় প্রতিটি স্টলকে সাজানো হয়েছে নানা রংয়ের লাইটের মাধ্যমে। মেলায় বেশকিছু স্টলের সামনে টেডিবিয়ারের জামা পড়ে মানুষকে দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে দেখা গেছে। বিগত সময়ে দর্শনার্থীরা মেলায় বেশিরভাগ ঘুরতে আসলে মেলার সময় শেষের দিকে হওয়ায় সকলেই কিনছেন নিজের পছন্দের পণ্য।

ক্রেতা আকর্ষণের জন্য দোকান গুলো সাজানো হরেক রকমের রংবেংরংয়ের সাজ সজ্জায়। আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের সুবিধার জন্য ছাড় দিচ্ছেন। আর ছাড় পেয়ে দর্শনার্থীরাও কিনছেন মনের মতো করে। তবে অনেকেই অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা ছাড়ের নামে প্রতারণা করছেন ক্রেতাদের সঙ্গে। মেলায় গৃহস্থালি ও নিত্ত্যপ্রয়োজনীয় পন্য, কসমেটিকস ও রেস্তোরা গুলোতে ভিড় দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভিড় হওয়ায় ব্যবসায়ীরা পন্য বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মেলার প্রথমদিকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা নিজেদের পন্য সম্পর্কে দর্শনার্থীদের উপস্থাপন করলেও দর্শনার্থী বেশি হওয়ার কারণে তারা যে ক্রেতাদের সঙ্গে কথার বলার সময় পাচ্ছেন না।

তবে দর্শনার্থীদের অভিযোগ, মেলায় আসতে গিয়ে প্রচণ্ড ধুলাবালি, যানজট ও পরিবহন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নরসিংদী, ভৈরব ও নারায়ণগঞ্জ থেকে মেলায় আসার প্রধান সড়ক এশিয়ান হাইওয়ে বাইপাস প্রশস্থ্যকরণ কাজ চলায় এ ভোগান্তিতে পড়ছে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। যানজটের কারণে ১ ঘণ্টার পথে সময় লাগছে ৩ ঘণ্টা।

এদিকে, নতুন চমক হিসেবে মেলায় এ আসরে শিশুদের জন্য অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে শিশুপার্ক। শিশুপার্কটিতে ফ্লিপার, নাগরদোলা, ওয়ার বল, ট্রেনসহ প্রায় ১০ টি রাইড রয়েছে। শিশুপার্কের বিভিন্ন রাইডগুলোর সামনে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের উঠাচ্ছেন। এতে শিশু কিশোররাও খুব আনন্দের সাথে বিভিন্ন রাইড উপভোগ করছেন। তবে তুলনামূলক শিশুদের রাইডের টিকিটের অনেক বেশি বলে অভিযোগ করেন দর্শনার্থীরা। এদিকে, এশিয়ান বাইপাস সড়ক ও গাজীপুর বাইপাস সড়কে প্রায় ১৩ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মেলায় এসে ভোগান্তিতে পড়েছে দর্শনার্থীরা। তবে ভোগান্তি পেরিয়েও মেলায় আসতে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের।

মেলার ব্যবসায়ীরা জানান, মেলার শেষ শুক্রবার হওয়ার কারণে মেলায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রথমদিকে মেলায় ক্রেতার সংখ্যা বেশি না হলেও সময় শেষের দিকে হওয়ায় মেলায় বিক্রি অনেক হচ্ছে। এ কারণে ব্যবসায়ী সন্তোষ প্রকাশ করেছে। মেলার প্রথম দিকে দর্শনার্থী তেমন না হওয়ার কারণে তাদের বিক্রি তেমন হয়নি। এ কারণে তারা পন্য বিক্রি তেমন করতে পারেনি। পন্য বিক্রি কম হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মূখীন হবে এ কারণে তারা সময় বাড়ানো দাবি জানিয়েছিল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কাছে। মেলার সময় বাড়ানো হবে না বলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পক্ষ না জানানো হয়। মেলার সময় না বাড়ালে ব্যবসায়ীদের লোকজন হবে তারা জানান।

কথা হয় নাভানা ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী সুমনের সঙ্গে তিনি বলেন, মেলার শেষ শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় দর্শনার্থীদের অনেক ভিড় হয়েছে। ফার্নিচার পন্যও আমাদের অনেক বেশি বিক্রি হয়েছে।

একটি কসমেটিস দোকানের বিক্রয়কর্মী নাদিয়া আক্তার জানান, ছুটি দিন হওয়ায় দোকানে বিক্রি হচ্ছে অনেক। নারীরা নিজেদের পছন্দ মতো কসমেটিক্স সামগ্রী কিনছেন। মেলায় শেষের দিকে হওয়ায় প্রতিদিনই খুব ভিড় দেখছি। তবে শুক্রবার আরো বেশি ভিড় হচ্ছে।

ক্লাসিক হোমটেক্সের ব্যবস্থাপক ইয়ামিন জানান, আমরা মেলায় বিছানা চাদর, কম্বলসহ বেশকিছু পন্য নিয়ে হাজির হয়েছে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই মেলায় দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছে। আমাদের বিক্রি বেড়েছে মেলা শেষের দিকে হওয়ার কারণে

মেলা কথা হয় আমিন ও সুমাইয়া নামে এক দম্পতির সঙ্গে তিনি বলেন, আমরা দুজনেই একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরীজিবী। ছুটির দিন তাই মেলায় ঘুরতে এসেছি। কেনাকেটা করলাম খাওয়া দাওয়া করলাম। তবে মেলায় আসার সময় যানজটের কারণে কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে। তারপরও মেলা প্রাঙ্গণ পুরো প্রস্তুত হয়ে যাওয়ায় ভাল লাগছে।

কথা হয় সাদ্দাম নামে একটি রেস্টুরেন্টের কর্মচারীর সঙ্গে তিনি বলেন, মেলা শেষের দিকে হওয়ার কারণে মেলায় অনেক ভিড় দেখা গেছে দর্শনার্থীদের।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে আইন শৃঙ্গলা বাহিনী সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।

এ ব্যাপারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির সচিব ও বানিজ্যমেলার পরিচালক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মেলা শেষের দিকে হওয়ার কারণে মেলায় প্রচুর দর্শনার্থী আসছে। মেলায় দর্শনার্থীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। মেলায় আজ কয়েকলাখ লোকের সমাগম হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: বাণিজ্য মেলা

আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর