Logo
শিরোনাম

বিশ্বকাপের পর যাঁদের নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করেছে ক্লাবগুলি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ ডিসেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রতি বারই বিশ্বকাপ জন্ম দেয় কোনও না কোনও নতুন তারকার। কাতার বিশ্বকাপও তার ব্যতিক্রম নয়। এই বিশ্বকাপেও দেখা গিয়েছে কিছু উদীয়মান ফুটবলারকে। তেমনই নজর কেড়েছেন অভিজ্ঞ ফুটবলাররা, যাঁদের বিশ্বকাপের আগে কেউ চিনতেন না।

কাতার বিশ্বকাপে বেশ কিছু অঘটন দেখা গিয়েছে। সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনার হার, জাপানের কাছে স্পেন এবং জার্মানির হার বা মরক্কোর সেমিফাইনালে ওঠা, অনেক কিছুই রয়েছে সেই তালিকায়।

প্রতিটি ম্যাচই তুলে এনেছে কোনও না কোনও তারকাকে। সে রকমই দশ ফুটবলারের সন্ধান করল আনন্দবাজার অনলাইন, যাঁদের নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে বিভিন্ন ক্লাবের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়তে পারে।

ইয়াসিন বুনু (মরক্কো এবং সেভিয়া): গোলকিপার হিসাবে তিনি এ বারের বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা। মরক্কো সেমিফাইনালের আগে আত্মঘাতী বাদে একটিও গোল খায়নি। তাঁর অনেকাংশে দায়ী বুনু। অবিশ্বাস্য কিছু সেভ করেছেন। স্প্যানিশ লিগে দীর্ঘ দিন খেলছেন সেভিয়ায়। এ বার তাঁকে বড় ক্লাবগুলি কিনতে পারে।

ডমিনিক লিভাকোভিচ (ক্রোয়েশিয়া এবং ডায়নামো জাগ্রেব): দেশের বাইরে আজ পর্যন্ত খেলেননি। ফলে কেউ তাঁকে এত দিন চিনতেও পারেননি। বিশ্বকাপে টাইব্রেকারে একার হাতে ব্রাজিলকে হারান। তার আগের ম্যাচে জাপানের বিরুদ্ধে তিনটি সেভ। লিভাকোভিচকে নিয়ে ইউরোপে কাড়াকাড়ি হলে অবাক হওয়ার নেই।

রিৎসু দোয়ান (জাপান এবং ফ্রেইবুর্গ): জাপানি ফুটবলারদের গতি এ বার নজর কেড়েছে। প্রতিটি ম্যাচে বলের পিছনে অনবরত দৌড়ে গিয়েছেন তাঁরা। তাঁদেরই একজন দোয়ান। জার্মানির ঘরোয়া লিগে খেলেন। জার্মানি এবং স্পেনকে হারাতে তাঁর ভূমিকা অস্বীকার করার জায়গা নেই। জার্মান লিগ থেকে কি স্পেন বা ইংল্যান্ড পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে?

আজ্জেদিন ওউনাহি (মরক্কো এবং অ্যাঙ্গার্স): মেসি, এমবাপে, নেইমার যে লিগে খেলেন, সেই ফরাসি লিগে এই মুহূর্তে সবচেয়ে নীচে থাকা ক্লাবের ফুটবলার ওউনাহি। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স দেখে কে সেটা বলবে? স্পেন এবং পর্তুগালকে থামিয়ে দিয়েছেন দুরন্ত ফুটবল খেলে। বিপক্ষের মিডফিল্ড তছনছ করেছেন। ভবিষ্যতে তাঁর গন্তব্য পিএসজি কি না, সময়ই বলবে।

গনসালো রামোস (পর্তুগাল এবং বেনফিকা): সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে নেমে আবির্ভাবেই হ্যাটট্রিক! তা-ও আবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের মতো ম্যাচে। পর্তুগাল পরের ম্যাচে বিদায় নিলেও নজর কেড়েছেন রামোস। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতোই ধারাবাহিক ভাবে গোল করার ক্ষমতা রাখেন। ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলি তাঁকে নিতে চাইছে।

সোফিয়ান আমরাবাত (মরক্কো এবং ফিয়োরেন্টিনা): ইটালীয় লিগে খেলেন বটে, তবে ফিয়োরেন্টিনার মতো মধ্যমানের ক্লাবের খেলা আর কে-ই বা দেখে? আমরাবাত বিশ্বকাপে নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন। বিপক্ষের ডিফেন্স চিরে তাঁর দৌড়, কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা এবং অনবরত আক্রমণ করে যাওয়া নজর কেড়েছে। জুভেন্টাস বা এসি মিলান তাঁকে নিতে পারে। আসতে পারেন স্পেনেও।

হ্যারি সাউটার (অস্ট্রেলিয়া এবং স্টোক সিটি): বিশ্বকাপের আগেই হাঁটুর বড় চোট সারিয়ে ফিরেছিলেন। গত ১২ মাসে স্টোক সিটির হয়ে মাত্র একটি ম্যাচে খেলেছেন। কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য নিজের সেরাটা তুলে রেখেছিলেন। রক্ষণে অসাধারণ খেলে দলকে শেষ ষোলোয় তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। ইপিএলের বড় কোনও ক্লাবে যেতেই পারেন।

এনজো ফের্নান্দেস (আর্জেন্টিনা এবং বেনফিকা): এ বারের বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান তারকা। তাঁকে ঘিরে যে সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে ট্রান্সফার উইন্ডোতে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত একটি গোল করেছেন। সাতটি ম্যাচেই ভাল খেলেছেন। নজর কেড়েছেন প্রতি ম্যাচে। লিয়ো মেসির পছন্দের ফুটবলার। তাঁকে ইপিএলের কোনও ক্লাব নিতে পারে।

মোহাম্মাদ কুদ্দুস (ঘানা এবং আয়াক্স): আফ্রিকা থেকে তরুণ প্রতিভা তুলে আনার ব্যাপারে আয়াক্সের জুড়ি নেই। নেদারল্যান্ডসের ক্লাবটি এ বারও বিশ্বকাপে উপহার দিয়েছে মোহাম্মাদ কুদ্দুসকে। তিন ম্যাচে দুগোল করেছেন। গ্রুপ থেকে ঘানা বিদায় নিলেও নিজের ছাপ রেখে গিয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাব তাঁকে নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছে।

সোফিয়ান বৌফাল (মরক্কো এবং অ্যাঙ্গার্স): স্বদেশি ওউনাহির মতো তিনিও খেলেন ফরাসি লিগের অ্যাঙ্গার্সে। তবে স্পেন এবং পর্তুগালের বিরুদ্ধে যে খেলা দেখিয়েছেন, তাতে আগামী দিনে ইউরোপের বড় কোনও ক্লাব তাঁকে তুলে নিতে পারে। পায়ে অসম্ভব ভাল কাজ রয়েছে। অনায়াসে ড্রিবলিং করতে পারেন।

সালেম আলদাওসারি (সৌদি আরব এবং আল হিলাল): দেশের ক্লাবেই খেলেন তিনি। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে দুরন্ত বাঁকানো শটে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন। এশিয়ার বাইরে পা রাখতে চাইলে অনেক ক্লাবই তাঁকে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকতে পারে। মাঝমাঠের অন্যতম স্তম্ভ তিনি। অনায়াসে তৈরি করতে পারেন আক্রমণ।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর