বাংলাদেশ প্রকৌশল
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আমাতুল্লাহ বুশরার
জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ এ আদেশ দেন।
সিএমএম আদালতের
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হেমায়েত উদ্দিন খান হীরন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত
করেছেন।
তিনি জানান, পাঁচ
দিনের রিমান্ড শেষে বুশরাকে বুধবার আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া
পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মজিবুর
রহমান। অন্যদিকে আসামির জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন
নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, ১০ নভেম্বর
বুশরাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ডে
নিতে আবেদন করে রামপুরা থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী
হাসান ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুশরা একটি বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। নিহত ফারদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
গত ৪ নভেম্বর
রাজধানীর ডেমরা থেকে নিখোঁজ হন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন। পরে সন্তানের খোঁজ চেয়ে ফেসবুকে
একটি পোস্টও করেন নূরউদ্দিন রানা। সেখানে তিনি বলেন, ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
শুক্রবার রাতে
নিখোঁজ হওয়ার আগে তাকে শেষবার রামপুরা ব্রিজ এলাকায় দেখা যায়। ওই দিন রাত পৌনে ১১টা
থেকে ১১টার মধ্যে ফারদিন সেখানে অবস্থান করছিলেন। এরপর তার বুয়েটের হল কিংবা বাসায়
ফেরার কথা ছিল। কিন্তু সে ফেরেনি।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদরের সিদ্ধিরগঞ্জ বনানী ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।