Logo
শিরোনাম

‘দাও ফিরে সে অরণ্য’

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ব্যস্ততাহীন জীবন কাটাবেন বলে পানামার এক দ্বীপে ৯ একর জমি কেনেন হাভিয়ের লিহো। মন চাইলে ঘরে থাকবেন। মন চাইলে সার্ফ বোর্ডে সমুদ্রের ঢেউ কেটে এগিয়ে যাবেন। আর্জেন্টিনায় জন্ম হাভিয়েরের। চেয়েছিলেন লাতিন আমেরিকার যানজট থেকে দূরে আরাম-আয়েশে বাকি জীবন কাটিয়ে দেবেন। সে কারণেই দ্বীপে নির্বাসন। তবে টেকসই বনায়নের প্রতি ভালোবাসা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল।

বিবিসি বলছে, হাভিয়েরের কেনা জমিটি পানামার ক্যারিবীয় উপকূলের বাস্তিমেন্তোস দ্বীপে। আগে বন ছিল। উজাড় করেই তার কাছে বিক্রি করা হয়। হাভিয়ের চাইলেন বন ফিরিয়ে আনতে। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে এক টুকরো জমিকে সমৃদ্ধ অরণ্যে পরিণত করেন। নাম দেন আপ ইন দ্য হিল ইকো-ফার্ম। পঞ্চাশোর্ধ্ব হাভিয়ের চান তার এই উদ্যোগ যেন উদাহরণ হয়ে থাকে। যেন অন্যরাও তার মতো বনানী ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হন।

হাভিয়ের তার জমির এক পাশে আসবাব তৈরির জন্য কাষ্ঠল উদ্ভিদ লাগিয়েছেন। আরেক অংশে চকলেটের জন্য আছে কোকোয়া গাছ। ওপরের দিকে ঔষধি গাছের বাগান আছে। বাকিটা ফলদ বৃক্ষ, শাকসবজি আর ফুলের গাছে পূর্ণ। এখানে যে পণ্য ও ফসল হয়, তা স্থানীয়ভাবেই বিক্রি করেন তিনি।

১৯৯৬ সালে কেনা জমির চেহারাই বদলে দিয়েছেন হাভিয়ের। সে সময় পারমাকালচার সম্পর্কে ধারণা ছিল তার। চাষাবাদের টেকসই এই পদ্ধতিতে রিসাইক্লিংয়ে জোর দেয়া হয়, যেন পৃথিবীর ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। একে তো কীটনাশকমুক্ত, তা ছাড়া সবকিছুই পুনর্ব্যবহারযোগ্য। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য আগে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে মূল বিষয়গুলো জানতে হয়েছে হাভিয়েরকে। কাছেই দ্বীপের আদিবাসী এনগাবে বুগলে জনগোষ্ঠীর বেশ কিছু স্থাপনা রয়েছে।

৫৩ বছর বয়সী বেঞ্জামিন আগুইলারের সঙ্গে ২০০০ সালে দেখা হয় হাভিয়েরের। তাকে খামারে গাছ কাটার কাজে সাহায্য করতে অনুরোধ জানান হাভিয়ের। কীভাবে চাষবাস করতে হবে, কী কাজে কোন গাছ লাগাতে হবে- এসব বিষয়ে বেঞ্জামিনই পরামর্শ দেন হাভিয়েরকে। কেবল হাভিয়ের নন, বন রক্ষায় আদিবাসীদের জ্ঞান কাজে লাগাচ্ছে পানামার স্মিথসোনিয়ান ট্রপিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটও (এসটিআরআই)। গবেষণা ইনস্টিটিউটটির গবেষণা সহযোগী অধ্যাপক ক্যাথেরিন পটভিন পানামার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। এভাবে কাজের বড় সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, আদিবাসীরা ধনী হতে কিংবা বড় প্রতিষ্ঠান গড়ার আশায় চাষবাস করে না। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রচলিত ধারণাও তাদের নেই। তারা স্থিতিশীলতা চায়। নিজ এলাকায় দীর্ঘকাল ধরে টিকে থাকতে চায়।

আদিবাসীদের জমি ব্যবস্থাপনার পদ্ধতিও পরিবেশবান্ধব। যেমন- বনাঞ্চল অক্ষুণ্ণ রাখলে সেখানকার মাটি পানি শুষে নিতে পারে। এতে একদিকে বন্যার আশঙ্কা কমে। আবার শুষ্ক মৌসুমে খরা প্রতিরোধেও কাজ করে। হাভিয়ের দেখলেন, নতুন করে বৃক্ষরোপণ শুরুর পর থেকে তার জমির উর্বরতা বেড়েছে। বেড়েছে জীববৈচিত্র্যও। তার জমিতে বানর, পাখি, মৌমাছি, আর্মাডিলোসহ বেশ কয়েক প্রজাতির প্রাণী ফিরেছে।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো স্ট্রবেরি ডার্ট প্রজাতির ব্যাঙ। নিকটবর্তী একটি দ্বীপের নামকরণ এই প্রাণীর নামেই করা হয়। তবে পর্যটন ও বন নিধন বৃদ্ধি পাওয়ায় এই প্রজাতির ব্যাঙ পরিমাণে কমেছে। হাভিয়ের বলেন, তিন বছরের বেশি সময় ধরে আমরা কখনোই ব্যাঙ দেখিনি। অথচ এখন তারা সব জায়গায়।

হাভিয়েরের কাজটি ছোট পরিসরে হলেও তাকে অনুসরণ করে পানামার অন্য অঞ্চলে একই ধরনের প্রকল্প চালু আছে। যেমন বন্যার কবল থেকে পানাম খাল রক্ষায় পুনর্বনায়ন প্রকল্পে নেতৃত্ব দেন এসটিআরআইয়ের বিজ্ঞানী জেফারসন হল। আবার গত অক্টোবরে এনগাবে-বুগলে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে একটি চুক্তি করে এসটিআরআই। তাদের সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় পুনর্বনায়ন প্রকল্প পরিচালনা এর উদ্দেশ্য।

জেফারসন হল বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের শুরুতে আমরা। আমাদের শেখার কেবল শুরু। বৃক্ষরোপণে মানুষ কতটা উদ্যমী হতে পারে, তা দেখে আমরা অভিভূত হয়েছি, তবে অবাক হইনি। হাভিয়েরের প্রকল্পটি ছোট হতে পারে। তবে পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে ছোট উদ্যোগও যে সহায়ক, তার বড় প্রমাণ।

 

নিউজ ট্যাগ: হাভিয়ের লিহো

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর