Logo
শিরোনাম

দেশ থেকে পতিতাবৃত্তি বিলুপ্তির অঙ্গীকার স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ২৯৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পতিতাবৃত্তি নারীদের দাসে পরিণত করে উল্লেখ করে দেশ থেকে পতিতাবৃত্তি বিলুপ্তির অঙ্গীকার করেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ। রোববার স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় নিজ দলের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে রাখা এক বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর বিবিসির।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেনে ১৯৯৫ সালে পতিতাবৃত্তিকে আইনি বৈধতা দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে জাতিসংঘের এক হিসেবে দেখা যায়, দেশটির সেক্স ইন্ডাস্ট্রি বা পতিতাবৃত্তি পেশার আকার প্রায় ৪২০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, স্পেনের প্রতি তিনজন পুরুষের একজন পুরুষ টাকা দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকেন। একই বছর প্রকাশিত অন্য আরেকটি জরিপে দেখা গেছে, শারীরিক সম্পর্কের জন্য কোনো নারীকে টাকা পরিশোধ করা পুরুষের সংখ্যা ৩৯ শতাংশ। ২০১১ সালে জাতিসংঘের গবেষণায় স্পেনকে বিশ্বের পতিতাবৃত্তির তৃতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়। থাইল্যান্ড এবং পুয়ের্তো রিকোর পরেই স্পেনের অবস্থান।

বিবিসি বলছে, স্পেনে বর্তমানে পতিতাবৃত্তি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। টাকার বিনিময়ে যেকেউ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। স্বেচ্ছায় যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হন তাঁদের কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নেই। তবে পাবলিক প্লেসে এ ধরনের কাজে জড়িয়ে পড়লে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। পতিতাবৃত্তিকে আইনি বৈধতা দেওয়ার পর থেকে দেশটিতে পতিতাবৃত্তি ব্যাপকহারে বেড়েছে। ধারণা করা হয়, দেশটিতে তিন লাখ নারী পতিতাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে পেড্রো সানচেজ পতিতাবৃত্তি বিলুপ্তির অঙ্গীকার করেছিলেন। যা নারী ভোটারকে আকৃষ্ট করেছিল। তবে নির্বাচনের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এ বিষয়ে কোনো আইন উত্থাপন করা হয়নি।

যারা পতিতাবৃত্তিকে সমর্থন করছেন তাঁরা বলছেন, এটি নারীদের জন্য বিশাল সুবিধা নিয়ে এসেছে। তাঁদের জীবনকে নিরাপদ করেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারীদের যৌন কাজে পাচার হওয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দেশটিতে উদ্বেগ বেড়েছে।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩