Logo
শিরোনাম

ডিসেম্বরে আসছে বাপ্পি-মিতু কাজী হায়াতের ‘জয় বাংলা’

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বাঙালি জাতির কাছে জয় বাংলা শব্দ যুগল যেমন আবেগের তেমন জনপ্রিয়। এ নিয়ে গান আছে, স্লোগান আছে। কিন্তু কোনো সিনেমা ছিল না। গুণী নির্মাতা কাজী হায়াৎ নির্মাণ করেছেন জয় বাংলা নামে সিনেমা। এতে জুটি হয়ে কাজ করেছেন বাপ্পি চৌধুরী ও জাহারা মিতু। এবার জানা গেল, জয় বাংলা সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর। তথ্যটি নিশ্চিত করে নির্মাতা কাজী হায়াৎ বলেন, জয় বাংলা সিনেমাটির সব কাজ শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হবে। সেন্সর পেলে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৬ ডিসেম্বর সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হবে। টুঙ্গিপাড়া চলচ্চিত্রের ব্যানারে নির্মিত জয় বাংলা সিনেমার প্রযোজক হিসেবে আছেন মো. মিটু শিকদার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদানও পেয়েছে ছবিটি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের কিশোর উপন্যাস জয় বাংলা। এ উপন্যাস থেকে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্রটি। উপন্যাসের নামেই এর নামকরণ।

সিনেমাটি নিয়ে নায়ক বাপ্পি বলেন, কাজী হায়াতের মতো একজন নির্মাতার ছবিতে অভিনয় করতে পারা সত্যিই গর্বের। জয় বাংলা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের সিনেমা। এতে আমি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর চরিত্রে অভিনয় করছি। এমন ঐতিহাসিক সিনেমায় অভিনয় করতে পারছি, এটা আমার জীবনের বড় পাওয়া। আমি সামনেও চেষ্টা করব আরো ভালো ভালো ছবিতে অভিনয় করতে। সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম কামাল। কামাল একজন লেখক ও কন্ট্রিবিউটর (সাংবাদিক)। মিছিল-মিটিংয়ের নিউজ কাভার করে। রিপোর্ট ছাপা হলে বিল পায়। সেই টাকা দিয়ে প্রয়োজন ও শখ মেটায়। কামালের কর্মের ভেতর দিয়ে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়টা তুলে আনা হয়েছে। এই কামাল কলম ছেড়ে অস্ত্র তুলে নেয় হাতে। যোগ দেয় মুক্তিযুদ্ধে। দেশ স্বাধীন করে ফিরে আসে। এ সিনেমায় ভিন্ন এক বাপ্পিকে দেখা যাবে জানিয়ে বলেন, দর্শক আমাকে বাণিজ্যিক সিনেমায় বেশি দেখে। নাচ, গান ও মারামারির দৃশ্যে দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু এবার দর্শক ভিন্ন এক বাপ্পিকে পাবে। একে তো কাজী হায়াৎ সাহেবের ছবি। কাজী হায়াতের চলচ্চিত্র মানেই বিশেষ কিছু । তার ওপর আমার চরিত্রটা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। সব মিলিয়ে ভালো কিছুই হবে বলে আশা করি। চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে আমাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। কামালের কথা বলা, হাঁটাচলা, পোশাক, চুলের ধরন কোনো কিছুই এখনকার মতো নয়। আমাকে সেই সময়টায় ফিরে যেতে হয়েছে। একটু সময় লেগেছিল। কিন্তু আমরা তো শিল্পী। চরিত্র বদলই আমাদের কাজ। ফলে খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি।

চিত্রনায়িকা জাহারা মিতু বলেন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের বিজয় নিয়ে সিনেমার গল্প। ওই সময়ে রাজনীতিতে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা এবং বিভিন্ন দিক পর্দায় তুলে ধরা হচ্ছে। আমি কলেজছাত্রীর চরিত্রে অভিনয় করছি। পর্দায় দেশপ্রেম ফুটে উঠবে। জয় বাংলা আমার অনেক আগেই পড়া। আমার উপন্যাসের তালিকায় এটি অন্যতম। সেই উপন্যাসে এবার আমি অভিনয় করেছি। খুবই ভালো লেগেছে। মুনতাসির মামুন স্যারও আমার প্রিয় একজন লেখক। আর নির্মাতা হিসেবে কাজী হায়াৎকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। সবার দোয়ায় চরিত্রটি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।

এর আগে জয় বাংলার গল্প নিয়ে পরিচালক কাজী হায়াৎ বলেন, জয় বাংলা সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে ১৯৬৮ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মুক্তিযুদ্ধের একটা অধ্যায় দারুণভাবে বলা হয়েছে সিনেমায়। এ সিনেমায় রাজু চৌধুরী, রাকিবুল ইসলাম রাকিবের মতো পরিচালক আমার সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। সিনেমার গল্পে মোট তিনটি রবীন্দ্রসংগীত ব্যবহার করা হয়েছে।

জয় বাংলা নির্মাণের ঘোষণা দেয়ার পর খবর রটেছিল এটাই কাজী হায়াতের শেষ সিনেমা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, জয় বাংলা আমার শেষ পরিচালিত ছবি হচ্ছে এ কথা তো আমি কোথাও বলিনি। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত অ্যাকশন-কাট বলতে চাই। তবে আমি প্রতিটি ছবির শুরুতেই বলি, হতে পারে এটা আমার শেষ ছবি। অনেকে হয়তো এটার অর্থ বুঝতে পারেন না। আমার বয়সের কথা ভেবে অনেকেই হয়তো মনগড়া কথা বলছে, কেউ লিখেছে। সিনেমা ছাড়া আমার তো কোনো অস্তিত্ব নেই। আমার বেঁচে থাকার নিঃশ্বাসই হলো চলচ্চিত্র। কেন বলব আর সিনেমা নির্মাণ করব না।

জয় বাংলা সিনেমাটিতে বাপ্পি-মিতু ছাড়াও অভিনয় করেছেন শ্রাবণ শাহ, নাদের চৌধুরী, রেবেকা, রাতুল প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: জয় বাংলা

আরও খবর