Logo
শিরোনাম

দূষণ ও দখলে বিপন্ন পরিবেশ কোনাবাড়ী-কাশিমপুর

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ঢাকায় কারখানা স্থাপনের সুযোগ সীমিত হয়ে আসায় ২০০০ সালের পর থেকে তা স্থানান্তরিত হতে শুরু করে আশপাশের এলাকাগুলোয়। বিশেষ করে গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলায় বিস্তৃত হতে থাকে পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শিল্প-কারখানা। জেলার কোনাবাড়ী-কাশিমপুর এলাকায় গড়ে উঠেছে অধিকাংশ পোশাক কারখানা। সেসব কারখানা ঘিরে গড়ে উঠেছে আনুষঙ্গিক অন্য নানা স্থাপনাও। তথ্য বলছে, অর্থনৈতিক তত্পরতা বাড়ায় এ অঞ্চলের মানুষের আয় বেড়েছে। তবে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে দূষণ-দখলে মলিন হয়েছে এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সালে গাজীপুরের কোনাবাড়ী-কাশিমপুর এলাকায় জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৮৩ হাজার। আর তিন দশকের ব্যবধানে এ এলাকার জনসংখ্যা বর্তমানে পাঁচ লাখের কাছাকাছি। শিল্পায়ন, বিশেষ করে পোশাক কারখানা ঘিরে এ অঞ্চলের কর্মতত্পরতা বাড়লেও বাড়েনি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। জানা গেছে, ২০১৩ সালে গাজীপুরকে সিটি করপোরেশন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ওই বছরের জানুয়ারিতে সাবেক টঙ্গী ও গাজীপুর পৌরসভা এবং গাজীপুর সদর উপজেলার কাশিমপুর, কোনাবাড়ী, বাসন, পুবাইল, গাছা ও কাউলতিয়া ইউনিয়ন ভেঙে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। তবে সিটি করপোরেশন হিসেবে গড়ে উঠলেও সে অনুযায়ী নিশ্চিত করা হয়নি নাগরিক সুবিধা। শিল্পায়ন বাড়লেও গড়ে ওঠেনি দূষণ রোধের কার্যকর ব্যবস্থা। স্থানীয়রা বলছেন, গাজীপুরের প্রধান নদ-নদী তুরাগ, লবলং, মকশ বিল, বেলাই বিল শিল্পদূষণের ব্যাপক শিকার। এ এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলে তেমন কিছু গড়ে ওঠেনি।

বিষয়টি উঠে এসেছে দ্য এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড সোশ্যাল ইমপ্যাক্টস অব আনপ্ল্যান্ড অ্যান্ড র্যাপিড ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন ইন সাবআরবান এরিয়াস: দ্য কেস অব দ্য গ্রেটার ঢাকা রিজিয়ন, বাংলাদেশ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদনেও। প্রতিবেদনটি এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড আরবানাইজেশন এশিয়ার ২০২১ সালের সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ইংল্যান্ডের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন গবেষক।

গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, নীতি ও পরিকল্পনার অভাবে দ্রুত শিল্পায়নের ফলে শহরতলি এলাকা বলে পরিচিত কোনাবাড়ী-কাশিমপুরে অপরিকল্পিত নগরায়ণ হয়েছে। বৃহত্তর ঢাকার দ্রুতবর্ধনশীল শহরতলি এলাকার মধ্যে অন্যতম কোনাবাড়ী-কাশিমপুর। এ এলাকার ৩৫৯টি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, তৈরি পোশাক শিল্প এ এলাকার প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মূলত স্বল্পমূল্যের জমি, সুলভ শ্রম এবং মূল শহরের সঙ্গে ভালো পরিবহন যোগাযোগের সুযোগ থাকায় এ অঞ্চলে শিল্পায়ন বেড়েছে দ্রুত। আবার এ অঞ্চল ঘিরে শিল্পায়ন এবং উন্নয়নের বেশির ভাগই হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। শ্রমঘন এ শিল্পকে ঘিরে আনুষঙ্গিক অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও গড়ে উঠেছে। ফলে স্থানীয়দের আয়ের সুযোগ বেড়েছে, জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। তবে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়ণ এ শহরতলির প্রাকৃতিক পরিবেশ, অবকাঠামো এবং সমাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিল্পের জন্য জমি এবং শ্রমিকদের আবাসনের জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করা হয়েছে। মৌলিক পরিষেবা অবকাঠামো এবং নগর সুযোগ-সুবিধা জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনুপাতে বৃদ্ধি পায়নি।

গবেষণা প্রতিবেদনটি নিয়ে কথা হয় গবেষকদের একজন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি  বলেন, দেশে নব্বইয়ের দশকের পর শিল্প খাতে, বিশেষ করে পোশাক খাতে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ঢাকায় যখন এ শ্রমঘন কারখানা করার জন্য জায়গা মিলছিল না, ২০০০ সালের পর থেকে তা পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর হতে থাকে ঢাকা শহরের বাইরের দিকে। বিশেষ করে গাজীপুর এরিয়ায় পোশাক খাতের বড় সম্প্রসারণ হয়েছে। স্থানীয় কোনো নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ না থাকায় পোশাক খাত ঘিরে আবাসনসহ অন্যান্য যেসব সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে, তাতে নিয়ম-কানুন মানা হয়নি। কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই এ অঞ্চলকে ঘিরে শিল্পায়নের ফলে এ এলাকা প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন হারিয়েছে, তেমনি বসবাসের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আবার এখানকার শ্রমঘন এ শিল্পকে ঘিরে আনুষঙ্গিক বিভিন্ন খাত ও শিল্প এত দ্রুত গড়ে উঠেছে তার কোনোটিই সেভাবে নিয়ম-কানুন মেনে গড়ে ওঠেনি। ফলে এখানে অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য বাড়লেও জীবনযাত্রার মান হয়ে পড়েছে নিম্নমুখী। আবার অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনা পরিবেশের জন্যও বিরূপ প্রভাব বয়ে নিয়ে আসছে।

প্রতিবেদনে একজন প্রাইমারি স্কুলশিক্ষকের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ বছর ধরে তিনি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। ওই এলাকায় যখন পোশাক কারখানা স্থাপন করা শুরু হলো, তখন তিনি তার অর্ধেক জমি একটি কারখানা মালিকের কাছে বিক্রি করে দেন। সেই টাকায় বাকি অর্ধেক জমিতে ১২০টি সেমিপাকা ঘর তুলে ভাড়া দেন। প্রতি মাসে সেখান থেকে তিনি দেড় লাখ টাকা আয় করেন। তবে শিক্ষকতা তার আবেগের জায়গায় থাকায় এখনো পেশাটি ধরে রেখেছেন। এ স্কুলশিক্ষকের মতো স্থানীয় প্রায় সবারই আয় বেড়েছে। ফলে এ অঞ্চল ঘিরে অর্থনৈতিক কর্মতত্পরতা আগের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারা দেশের যত শ্রমঘন শিল্প-কারখানা রয়েছে তার একটি বড় অংশই ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এসব এলাকাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে তুলনামূলক ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় গাজীপুরের আশপাশে পোশাক শিল্পের বিস্তৃতি হয়েছে দ্রুত। তবে শ্রমঘন এ শিল্প এলাকাটি গড়ে উঠেছে একেবারেই অপরিকল্পিতভাবে। গুরুত্ব দেয়া হয়নি এ খাতটিতে কর্মরতদের আবাসনের বিষয়ে। কারখানা সম্প্রসারণের বিষয়টিতে যতটা উদ্যোগী ছিলেন উদ্যোক্তরা সেই খাতে কর্মরতদের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়টি এড়িয়ে গেছে তাদের। স্বল্প মজুরিতে এসব শিল্পের কর্মীদের জন্য গড়ে উঠেছে ব্যক্তিপর্যায়ে বিভিন্ন আবাসন। ঘিঞ্জি পরিবেশে অল্প জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা এসব বসতিতে নেই জীবনধারণের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা।

বিষয়টি নিয়ে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী সভাপতি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জএ তিন জেলায় সবচেয়ে বেশি শিল্পায়ন হয়েছে। শিল্পায়নের সঙ্গে সঙ্গে এসব শিল্পে যারা কাজ করবেন, তাদের যে ধরনের আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন ছিল সেটি গড়ে ওঠেনি। এসব জেলায় আবাসনের ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে ব্যক্তি উদ্যোগে। বেশির ভাগ আবাসনের অবস্থা খুবই খারাপ। খুবই নিম্নমানের এসব আবাসনে একত্রে অনেকে থাকছেন, পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর। শিল্পায়নের সঙ্গে সঙ্গে যদি এসব জেলার আবাসনে মনোযোগ দেয়া হতো, তাহলে এখানে কর্মরতদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কিছুটা হলেও কম হতো। সামনের দিনে আমাদের শিল্পায়নের বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন। শহরের জনসংখ্যা এবং ঘনত্ব নিয়ে পুনর্ভাবনা প্রয়োজন। একই সঙ্গে শহর এলাকাতে নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তাদের মানসম্মত আবাসন পরিকল্পনা করা দরকার।

নিউজ ট্যাগ: গাজীপুর

আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর