Logo
শিরোনাম

একক দেশনির্ভরতা দাম নিয়ন্ত্রণে বড় ঝুঁকি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নিত্যপণ্য আমদানিতে একক দেশ নির্ভরতায় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে। কোনো পণ্য শুধু একটি দেশ থেকে আমদানি করে দেশের চাহিদা মেটানো এখন চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে এখন নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কোনো দেশ তাদের অভ্যন্তরীণ কারণে রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বা উৎপাদন কম হলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বাজারে। সংশ্লিষ্ট পণ্যের বাজার বেসামাল হয়ে পড়ছে। এতে পণ্যের দাম চলে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তখন পরিস্থিতি সরকারের পক্ষেও সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

শনিবার ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলে আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম দুদিনে ৩৮ শতাংশ বেড়ে যায়। দেশের বাজারেও ভোজ্যতেলে দাম বাড়তে থাকে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে একই অবস্থা দেখা দেয়। পেঁয়াজের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এ ঝুঁকি কমাতে আমদানি নির্ভর পণ্যগুলো কোনো একক দেশের ওপর নির্ভর না করে বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তারা বলেছেন, নানা কারণে কোনো একটি দেশের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। একই সঙ্গে বিভিন্ন কারণে রপ্তানিও বন্ধ করতে পারে। এতে করে দেশের বাজারে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেজন্য বিভিন্ন দেশ থেকে একই পণ্য আমদানির উদ্যোগ নিতে হবে। এতে কোনো দেশ থেকে আমদানিতে সমস্যা হলে বিকল্প দেশগুলো থেকে কিছু কিছু করে আমদানি বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে খরচ বেশি হলেও তবুও নিত্যপণ্য আমদানিতে এ ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়াটা জরুরি।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে একক দেশ নির্ভরতা পরিহার করেও একাধিক দেশ থেকে পণ্য আমদানির উদ্যোগ নিতে হবে। এতে কোনো দেশে সমস্যা হলে অন্য দেশ থেকে আমদানি বাড়ানো সম্ভব হবে। সংকটে হঠাৎ করে নতুন করে কোনো দেশ থেকে আমদানি কঠিন হয়ে পড়তে পারে। এজন্য আগে থেকেই আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব করেছে সংস্থাটি।

সূত্র জানায়, শনিবার ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রপ্তানি বন্ধ করে দিলে দেশের বাজারে সয়াবিন তেলসহ পাম অয়েলের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। সরকারের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা ও পাম অয়েল ১৩০ টাকা করে বিক্রি করার কথা। কিন্তু মঙ্গলবার প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ২০০ টাকা ও পাম অয়েল ১৭৫ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার ওই ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক বাজারেও এর দাম বেড়ে যায়। এক বছর আগে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম ছিল ৯৬০ ডলার। বৃহস্পতিবার ছিল ১ হাজার ১৮০ ডলার। এখন তা বেড়ে ১ হাজার ৮০০ ডলারে উঠেছে। সয়াবিন তেলের দামও বেড়ে ১ হাজার ৭০০ ডলার থেকে ১ হাজার ৯২০ ডলার হয়েছে। বিশ্বব্যাপী পাম অয়েলের ৩৯ শতাংশই রপ্তানি করে ইন্দোনেশিয়া। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার কারণে ইন্দোনেশিয়ার বাজারে ভোজ্যতেলের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। তাদের দেশের বাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে পাম অয়েল রপ্তানি বন্ধ করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক যখন রপ্তানি বন্ধ করল তখন বিশ্ববাজারেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

দেশে বছরে শিল্প ও খাদ্য মিলে সাড়ে ২৪ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখ টন ব্যবহৃত হয় খাদ্য হিসাবে। বাকি সাড়ে ৪ লাখ টন ব্যবহৃত হয় শিল্প খাতে। দেশে মোট চাহিদার ৬৭ শতাংশই পাম অয়েল দিয়ে মেটানো হয়। বাংলাদেশ প্রতিবছর গড়ে ১৬ লাখ টন পাম অয়েল ও সাড়ে ৮ লাখ টন সয়াবিন তেল আমদানি করে। অর্থাৎ সয়াবিনের প্রায় দ্বিগুণ পাম অয়েল আমদানি হয়। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৯ লাখ টন এবং মালয়েশিয়া ২ লাখ টন, সিঙ্গাপুর থেকে ৭ হাজার টন ও চীন থেকে ২৭০ টন পাম অয়েল আমদানি করে। ইন্দোনেশিয়া থেকে দেড় হাজার টন পাম অয়েল আমদানি এখনও অনিষ্পন্ন রয়েছে। এগুলো এখন আর আমদানি করা যাবে না। এদিকে বাণিজ্যি মন্ত্রণালয় থেকে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে পাম অয়েল আমদানিরও প্রচেষ্টা চলছে। তবে সিঙ্গাপুরেও এর দাম বেড়ে গেছে। আগে সিঙ্গাপুরের বাণিজ্যিক রপ্তানিকারকরা (মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়া থেকে কিনে সিঙ্গাপুরে পাইকারিভাবে বিক্রি করে) প্রতি টনে ৪০ ডলার ছাড় দিতেন। রোববার থেকে এ ছাড় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পেঁয়াজ আমদানিতে বাংলাদেশ এককভাবে ভারতের ওপর নির্ভরশীল। দেশে পেঁয়াজের নিট উৎপাদন হয় ২৮ লাখ টন। এর বাইরে আরও ৬-৮ লাখ টন আমদানি করা হয়। এর মধ্যে ভারত থেকেই আমদানি করা হয় ৫-৭ লাখ টন। বাকি ১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করে মিয়ানমার, মিসর, তুরস্ক থেকে। কিন্তু ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন কমে গেলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। তখনই দেশে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বাড়তে থাকে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে এর দাম কেজিতে ৩০০ টাকায় উঠে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরেও ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করছিল। ওই সময়েও দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠে। দুই বছরই ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে মিয়ানমার, তুরস্ক থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু তাৎক্ষনিকভাবে ওইসব দেশ থেকে আমদানি করা জটিল হয়ে উঠে। আমদানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ২-৩ মাস লেগে যায়। তত দিনে দেশি পেঁয়াজ বাজারে চলে আসে। ভারত প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় এ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির খরচ কম। মিয়ানমার থেকেও আমদানি খরচ কম। কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য খুবই কম। এছাড়া রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের শীতলতা থাকায় স্থল বাণিজ্য বন্ধ। খুবই সীমিত আকারে নৌপথে কিছু বাণিজ্য হচ্ছে। তুরস্ক থেকে আমদানিতে খরচ বেশি পড়ে।

গমের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বেশিরভাগ গম আমদানি করে রাশিয়া ও উইক্রেন থেকে। ওইসব দেশে গমের উৎপাদন কম হলেই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক রাশিয়া ও উইক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধায় আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে বেড়েছে দেশের আটার দাম। ৩২ টাকা দামের আটা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা কেজি। অথচ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, আজেন্টিনাতেও গমের উৎপাদন ভালো। ওইসব দেশ থেকে গম আমদানিতে খরচ বেশি হওয়ায় সেসব দেশ থেকে পণ্যটি আমদানি করে না উদ্যোক্তারা।


আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর