Logo
শিরোনাম

এস কে সুর ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | ১৪৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও এস এম মুনিরুজ্জামানকে ডেকে কথা বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে গঠিত তদন্ত কমিটি

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও তার স্ত্রী সুপর্ণা রায় চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ফলে তারা নিজেদের বা নিজেদের কোম্পানির নামে থাকা ব্যাংক হিসাব থেকে কোনো টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। এমনকি কোনো ধরনের সুবিধাও নিতে পারবেন না। এসব হিসাবের বিপরীতে এটিএম কার্ড থাকলেও তা ব্যবহার করা যাবে না।

এনবিআরের চিঠিতে তাদের নামের সঙ্গে ঢাকার দুটি ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি ঢাকার সেগুনবাগিচার, অপরটি রামপুরার। যদিও সুর চৌধুরী এখন ধানমন্ডির বাসিন্দা।

এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের হিসাব স্থগিত করে স্থিতির তথ্য জরুরি ভিত্তিতে পাঠাতে হবে।

গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও এস এম মুনিরুজ্জামানকে ডেকে কথা বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে গঠিত তদন্ত কমিটি। আদালতের নির্দেশে গঠিত এ কমিটি ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান, পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকেই এই কমিটির কার্যালয়।

আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের নেতৃত্বে কমপক্ষে চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখল করা হয়েছে। তাঁকে সহায়তা করার অভিযোগ আছে এস কে সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম চাপা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের পাঁচ থেকে সাত লাখ করে টাকা দিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহ আলমকে প্রতি মাসে দেওয়া হতো দুই লাখ টাকা করে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি ম্যানেজ করতেন সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। রাশেদুল হকের জবানবন্দি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমের বিভাগ বদল করা হয়। প্রায় সাত বছর তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ ব্যাংক

আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3