Logo
শিরোনাম

ঘুরে আসুন হাসন রাজার দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

লোকে বলে বলেরে, ঘরবাড়ি ভালা নায় আমার

কী ঘর বানাইমু আমি, শূন্যের-ই মাঝার

ভালা করি ঘর বানাইয়া, কয় দিন থাকমু আর

অয়না দিয়া চাইয় দেখি, পাকনা চুল আমার।

পরিচিত গানের কথাগুলো মরমি সাধক কবি দেওয়ান হাসন রাজার। গানের এ কথাগুলোর সঙ্গে হাসন রাজার জীবনবোধ যে একেবারে মিলেমিশে একাকার। বেশ মিল রয়েছে তাঁর সর্বশেষ স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির। যেখানে একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত হচ্ছে তাঁর স্মৃতিচিহ্নগুলো। এখনো বাংলার লোকগানে ফিরে আসেন হাসন রাজা তাঁর লেখা অসাধারণ জীবনবোধের কবিতা ও গান নিয়ে। আজ থেকে বহু বছর আগে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর ধারে প্রতাপশালী দাপুটে এ জমিদার বৈরাগ্য সাধনে মুক্তির পথ বেছে নিয়েছিলেন। প্রজাদের ওপর বিনা কারণে অত্যাচারী এবং ভোগবিলাসে মত্ত ছিলেন জমিদার হাসন রাজা। পরে এক আধ্যাত্মিক স্বপ্ন-দর্শন তাঁর জীবনকে আমূল পাল্টে দেয়। মন হয়ে ওঠে প্রসারিত, জীবন হয়ে ওঠে সহজ, সরল ও সাদাসিধে। বিলাসপ্রিয় জীবন ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাড়লেন জমকালো পোশাক। চরিত্রে এলো এক সৌম্যভাব; পরনে এলো সুফি পোশাক। জীবনের যত ভুলত্রুটি, শোধরাতে শুরু করলেন একে একে।

এতক্ষণে নিশ্চয় ভাবছেন, একদিন ঘুরে এলেই তো হয় হাসন রাজার বাড়ি। কেমন ছিলেন তিনি জানার প্রয়োজন। সাধারণ এক বাড়িতে সাধক এ রাজার যে স্মৃতিচিহ্ন এখনো অবশিষ্ট আছে, তা দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সুনামগঞ্জ শহরের আরফিন নগরে। খুব সাদামাটা এক বাড়িতে সংরক্ষিত শেষ স্মৃতিচিহ্নগুলো নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি জাদুঘর, যা আপনাকে নিয়ে যাবে উনিশ শতকের শুরুর দিকের সেই সময়টাতে। ছোটখাটো কিন্তু সংরক্ষণের জন্য অনন্য সব জিনিস আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত। রাজার আয়েসি জীবন থেকে শুরু করে আপনি দেখতে পাবেন কবি জীবনের সব সংগ্রহ। বাদক যন্ত্র থেকে রাজার জমিদারি ম্যাপকী নেই সেই সংগ্রহে! আছে রাজার খড়মসহ ব্যবহার্য জিনিসপত্র। ঘরের এবং ঘরের বাইরের সব সংগ্রহের পাশাপাশি অবস্থান পেয়েছে বিশিষ্টজনের সঙ্গে রাজার সাক্ষাৎ ও দর্শনার্থীদের ভ্রমণের বিশেষ কিছু ছবি। এসব দেখতে দেখতে আপনি রাজার সেই আমলে ফিরে যাবেন; কল্পনার তুলিতে আঁকতে চাইবেন রাজার জীবন দর্শন। কীভাবে একজন রাজা একাধারে এত বড় রাজ্য শাসনের পাশাপাশি কবিতা ও গানের সঙ্গে নিজের জীবনবোধকে সাধনার রাজ্যে নিবিষ্ট করেছিলেন। কী ছিল তাঁর জীবন দর্শন?

এই মরমি সাধককে নিয়ে আজ দেশ-বিদেশে চলছে বিস্তর গবেষণা, তাঁর জীবনের বোধ কি এত সহজেই আবিষ্কার করা সম্ভব? না, তবে যেটুকু দেখে ফিরলেন তাতে হাসন রাজা সম্পর্কে জানার আগ্রহটা আরো বাড়িয়ে দেবে আপনার। সুনামগঞ্জের এই জাদুঘরের পাশাপাশি আপনি হাসন রাজা সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে অন্য একটা মিউজিয়ামও ঘুরে আসতে পারেন। সিলেট শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই মিউজিয়ামের নাম রাজাস মিউজিয়াম। এটা শহরের জিন্দাবাজার এলাকায় অবস্থিত।

সুনামগঞ্জে এসেছেন আর কী দেখবেন? রাজার বাড়ি দেখার পর শহরটা ঘুরে দেখতে চাইলে বিকেলের শেষ দিকে আপনি ঘুরে আসতে পারেন অনিন্দ্য সুরমা নদীর ওপর নবনির্মিত আবদুজ জহুর সেতু থেকে। সুনামগঞ্জের যোগাযোগব্যবস্থার বিপ্লব বললেও ভুল হবে এই সেতুকে। সুরমা নদীর দুই পাড়ের জনপদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপনকারী এই সেতুতে বিকেলের নিরিবিলি সময়টা কাটাতে পারলে আপনার অন্যতম একটি বিকেল হবে সেটি। বিশম্ভরপুর, তাহিরপুর আর জামালগঞ্জের সঙ্গে যোগ হওয়া এই সেতু থেকে পানিবেষ্টিত সুনামগঞ্জ শহর আর এর আশপাশের সবুজ প্রকৃতি আপনাকে বিমোহিত করবে। এর পর সন্ধ্যার আগে আগে রিকশা নিয়ে চলে যান শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সরকারি জুবিলী স্কুল দেখতে। অনেক জ্ঞানী-গুণীর বিদ্যাপীঠ এটি। জুবিলী স্কুলের পাশে রিভারভিউ পর্যটন কেন্দ্রটি আপনাকে দেবে অন্যরকম ভালোলাগা। সন্ধ্যার পর এখানে বসে কাটিয়ে দিতে পারেন কিছুটা সময়। বোনাস হিসেবে পাবেন দূরের পাহাড়ে মিটমিট আলো জ্বালানো ভারতের বেশ কিছু শহরের জেগে থাকার মনোরম দৃশ্য। নিশ্চিতভাবে আপনার ভ্রমণান্দ বাড়িয়ে দেবে অলস বসে থাকা এই সময়টা।

একদিনের জন্য সুনামগঞ্জ এলে এর বাইরে শহরের এদিক-সেদিক একটু ঘুরতেই আপনার দিন শেষ হবে। ভ্রমণ লম্বা করতে চাইলে দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান টাঙ্গুয়া দেখতে পারেন। দেখতে যেতে পারেন নারায়ণ তলা বর্ডার হাট। তবে হাট বসে মাত্র মঙ্গলবার। যেতে হলে লাগবে জেলা প্রশাসনের অনুমতি। টাঙ্গুয়া দেখতে শীত আর বর্ষা মৌসুম সবচেয়ে ভালো সময়। এর পাশাপাশি সময় থাকলে যাদুকাটা আর টেংরাটিলাও ঘোরা যেতে পারে। তবে সব কটি স্থানে যেতে আপনাকে ব্যয় করতে হবে বেশ সময়। সঙ্গে গুনতে হবে বেশকিছু খরচাপাতি। শহরের বাইরে যেখানেই যেতে চান, আপনাকে সময় জেনে আসতে হবে। তবে পানি ঘেরা সবুজে আচ্ছাদিত সুনামগঞ্জ শহর ঘুরতে চাইলে সময়ের বাধা নেই। তবে বর্ষা মৌসুমে সুনামগঞ্জ গেলে আপনি বোনাস হিসেবে পাবেন যাওয়ার পথে দুই পাশে পানিবেষ্টিত গ্রাম আর মাতাল হাওয়ার মতো ঢলানো স্মৃতি। যেতে যেতেই আপনার কাছে অনেকটাই আবিষ্কৃত হয়ে যাবে এখানের সৌন্দর্য। দূরের পথ পাড়ি দেওয়ার ক্লান্তিটা ঝেড়ে ফেলেই আপনি প্রবেশ করবেন ছোট ছোট দালানকোঠা আর জাঁকজমকহীন এ শহরে।

কীভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে সুনামগঞ্জ যেতে হবে। মাঝপথে সিলেটে নেমে ক্লান্তি দূর আর খাওয়া-দাওয়া সেরে নিতে পারেন রেস্তোরাঁসমৃদ্ধ সিলেট নগরীতে। এখান থেকে সুনামগঞ্জ যেতে বাস ও কার দুটোই পাবেন। বাসের জন্য যেতে হবে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে আর কারে চড়তে চাইলে শাহজালাল (রহ.) মাজার গেটের পাশ থেকে যেতে পারবেন সুনামগঞ্জ শহরে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবহার করতে পারেন। রাস্তা বেশ ভালো। বাসে গেলে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা, আর কারে যেতে লাগবে এক ঘণ্টার কমবেশ। শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নামিয়ে দিলে রিকশা কিংবা বিদ্যুৎ চালিত অটোরিকশা মিলবে সহজেই। শহরের অন্য যেকোনো জায়গায় যেতেও মিলবে এসব যানবাহন।

থাকা-খাওয়া: সার্কিট হাউস বা সরকারি ডাকবাংলোর পাশাপাশি আপনি থাকার জন্য হোটেল পাবেন বটে, তবে রাজার দেশে নেই কোনো রাজকীয় হোটেল-মোটেল! দেখেশুনে থাকতে পারবেন। তবে আয়েশ করে থাকাটা হবে না। তাই বলে একেবারে বাসের অযোগ্য নয়। ছোট-বড় হোটেলে দিন কয়েক অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারবেন। তেমন অসুবিধা হবে না। খাবারের জন্য আছে নদীর পাড়ে মাছে ভরা খাবারের দোকান। চাইলে তাজা মাছের স্বাদ পাবেন এখানে। থাকা আর খাওয়ার জন্য দামি হোটেল না থাকলেও বিলাসহীন পরিশুদ্ধ সব আতিথেয়তা আপনাকে মুগ্ধ করবে।


আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর