Logo
শিরোনাম

হেফাজতের ২৩ মামলা তদন্তে সিআইডি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ টানা তিন দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতকর্মীরা। ওই নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ দণ্ডবিধির

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময়ে হেফাজতে ইসলামের নানা কর্মসূচির নামে চালানো নাশকতার মামলাগুলো অতি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। নাশকতায় জড়িতরা যাতে কোনো ধরনের ছাড় না পায় এবং তদন্তে যাতে ফাঁকফোকর না থাকে, সে জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ঝুলে থাকা মামলাগুলোর তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করারও চিন্তা রয়েছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে এরই মধ্যে হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়ের করা স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ ২৩টি মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিকে। গত রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এসব মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে।

সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুরের মতো ভয়াবহ নাশকতা চালিয়ে আসছিল হেফাজত। এসব ঘটনায় মামলা হলেও সেসব মামলার তদন্ত নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। ঢাকাসহ সারাদেশে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে দেড় শতাধিক। এর মধ্যে মাত্র চারটি মামলার তদন্ত শেষ করতে পেরেছে পুলিশ। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলাগুলো তদন্ত করছে। তবে অগ্নিসংযোগ, ডিভাইস ব্যবহার করে লোকজনকে জড়ো করা এবং ভাঙচুরের মতো ঘটনায় প্রয়োজনীয় ফরেনসিক আলামত সংগ্রহ ও তা পরীক্ষাসহ যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি তদন্ত কর্মকর্তাদের। এ জন্য নিবিড় তদন্ত এবং প্রযুক্তিগত ও ফরেনসিক প্রমাণের জন্য ২৩টি মামলা সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, হেফাজতের নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলাগুলো সিআইডি মূলত নাশকতার ঘটনার ফরেনসিক ও প্রযুক্তিগত বিষয়টি প্রমাণ করবে। দায়িত্ব পাওয়ার পর এরই মধ্যে আলামত সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিও সংগ্রহ ছাড়াও গণমাধ্যম থেকেও ফুটেজ নেওয়া হচ্ছে। সিআইডিপ্রধান বলেন, ফরেনসিক তদন্তে নাশকতার প্রমাণ করতে পারলে অপরাধীদের ছাড় পাওয়ার সুযোগ থাকবে না।

সিআইডি সূত্র জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ টানা তিন দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতকর্মীরা। ওই নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ থানায় ১০টি মামলা হয়। ২০১৬ সালেও হেফাজতসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠন ওই জেলায় তাণ্ডব চালায়। এসব ঘটনায়ও পাঁচটি মামলা হয়। ওই ১৫টি মামলা এত দিন জেলা পুলিশ তদন্ত করে এলেও তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। এ ছাড়া স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উৎসবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মাসের শেষের দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ সদর এবং চলিত মাসের শুরুর দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে নাশকতা চালায় হেফাজত ও তাদের সমর্থকরা। প্রায় একই সময়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ও সিরাজদীখানেও নাশকতা চালানো হয়। ওই ঘটনাগুলোতে দায়ের করা আটটি মামলার তদন্তভারও সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, সম্প্রতি হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় অন্তত ৫৫টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া আগেরও বেশ কিছু মামলা রয়েছে। এত দিন ধরে এসব মামলা জেলা পুলিশ তদন্ত করে আসছিল। তবে বাস্তবতা বিবেচনায় বেশ কিছু মামলার তদন্তের দায়িত্ব অন্যান্য তদন্ত সংস্থার মধ্যে বণ্টন হয়েছে। সিআইডি ছাড়াও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিভাগও বেশ কিছু মামলার তদন্ত দায়িত্ব পেয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তাকে নিয়োজিত করার সুযোগ রয়েছে। তাই যেসব ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ ইউনিট বা কর্মকর্তার সংশ্নিষ্টতা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।

পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হেফাজতের তাণ্ডব ও নাশকতার ঘটনায় সারাদেশে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মনিটর করছে পুলিশ সদর দপ্তর। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করাই তদন্ত সংস্থার লক্ষ্য। তাই প্রয়োজন ও গুরুত্ব বিবেচনায় বেশ কিছু মামলা এরই মধ্যে সিআইডি ও পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব মামলার প্রযুক্তিগত ও ফরেনসিক তদন্তের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর