দেশে ই-কমার্স
প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে খুঁজে বের করতে
নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে কী পরিমাণ টাকা বিদেশে
পাচার করা হয়েছে তা নিরূপণ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে। আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়বদ্ধতা নির্ধারণে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি
ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
ই-কমার্স নিয়ে
একাধিক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৩ মে) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি
আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব, অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও আনোয়ারুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। এর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে তিনটি পৃথক রিট দায়ের করা হয়।
প্রথমে ই-কমার্সের
গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে
একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে ২০ সেপ্টেম্বর
রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর
ই-অরেঞ্জে কোটি কোটি টাকা আটকে থাকা ৩৩ গ্রাহক ডিজিটাল বা ই–প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের অধিকার
ও স্বার্থ সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তৈরির জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তিবিদ,
ব্যবসায়ী ও অন্য অংশীজনদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেন।
আর ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, ইভ্যালি ও
ই-ওরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির আরেকটি
রিট দায়ের করেন।