Logo
শিরোনাম

‘ইন্ডিয়া:দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’নিয়ে কতটা চাপে নরেন্দ্র মোদী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | ৬১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গুজরাটে ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং ২০২০ সালে দিল্লিতে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার ওপর বিবিসির দুই পর্বের একটি তথ্যচিত্র নিয়ে তোলপাড় চলছে ভারতে। ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন নামে ওই অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রের প্রথম পর্বটি তৈরি হয়েছে গুজরাট দাঙ্গায় রাজ্যটির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে। আর বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা নিয়ে তৈরি হয়েছে এর দ্বিতীয় পর্ব।

ভারতে যেন এই তথ্যচিত্রটি দেখা না যায় তা নিশ্চিত করতে বিজেপি সরকার যেভাবে নজিরবিহীন তৎপরতা শুরু করেছে, তাতে বিস্মিত অনেকেই। এ নিয়ে সারা বিশ্বে হইচই হচ্ছে। কিন্তু একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমের তথ্যচিত্র নিয়ে ভারতের মতো একটি বিশাল দেশের সরকারের মধ্যে এমন তীব্র স্পর্শকাতরতা কেন? এত উদ্বেগ ঠিক কীসের জন্য?

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা উড্রো উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করছেন, নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তির প্রশ্নে তার দল, অনুসারী ও সমর্থকদের অনমনীয় দৃষ্টিভঙ্গির আরেকটি প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ভারতে। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, সন্দেহ নেই ভারতে নরেন্দ্র মোদী খুবই জনপ্রিয়। তার ভাবমূর্তি অনেকটা কাল্ট-এ (অতিমানবীয়) রূপ নিয়েছে। নেতার এই জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ণ থাকার বিষয়টি তার সমর্থকদের কাছে, সরকারের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন নতুন কিছু নয়। বিবিসির তথ্যচিত্রে যা যা বলা হয়েছে তার বেশিরভাগই পুরোনো এবং ভারতীয়দের জানা।

তবে একটি বিষয় কিছুটা নতুন। তা হলো, দাঙ্গার পর সেটি নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের নিজস্ব একটি তদন্তের ফলাফলের কিছু অংশ প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছে বিবিসির তথ্যচিত্রে। ব্রিটিশ তদন্ত রিপোর্টটিতে গুজরাটে জাতিগত হত্যাকাণ্ডর মতো শব্দ ছিল। বলা হয়েছে, ওই হত্যাযজ্ঞের জন্য তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদী সরাসরি দায়ী ছিলেন। অবশ্য এমন সন্দেহ-অভিযোগও নতুন নয়। যদিও ২০১২ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ তদন্ত কমিটি দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ খারিজ করে দেয়। তারপরও বিতর্ক থামেনি।

বিশ্বনেতা হতে চান মোদী: এসব বিতর্কে ভারতের রাজনীতিতে মোদীর কোনো ক্ষতি হয়েছে, তেমন কোনো প্রমাণ নেই। তাহলে এই তথ্যচিত্র ভারতের মানুষ দেখতে পেলেও কি খুব ক্ষতি হয়ে যেতো নরেন্দ্র মোদী বা তার দল বিজেপির? বিরোধী অনেক দল, বিশেষ করে বামপন্থিরা ভারত সরকারের এই রাখ-ঢাক নিয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে। তবে মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন না, বিবিসির এই তথ্যচিত্র অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মোদীকে আদৌ কোনো বিপদে ফেলবে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, তার বরং সুবিধা হতে পারে। তার (মোদী) সমর্থকরা দেখছে, বাইরে থেকে তাদের দেশের দুর্নাম করা হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী শক্তভাবে তার জবাব দিচ্ছেন। এসব দেখে তার সমর্থকরা খুশি হবে এবং তাতে জনপ্রিয়তা আরও বাড়তে পারে। তারপরও বিবিসির তথ্যচিত্রটি নিয়ে বিজেপি সরকার যা করছে, তাতে অবাক হচ্ছেন অনেক পর্যবেক্ষক। কুগেলম্যানের কথায়, আমার মনে হয়, বিজেপি সরকার নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছে। যারা হয়তো এই তথ্যচিত্র নিয়ে আগে মাথাই ঘামাতো না, এত বাড়াবাড়ি দেখে এখন তারাও সেটি দেখার চেষ্টা করবে।

ভারত সরকারের এ ধরনের প্রতিক্রিয়ার সম্ভাব্য কারণ কী হতে পারে? কুগেলম্যান মনে করেন, বহির্বিশ্বে নিজের ভাবমূর্তি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী খুবই উদ্বিগ্ন। তিনি ভারতকে বিশ্বের দরবারে উঁচু জায়গায় বসাতে উদগ্রীব। ফলে, কীভাবে বাকি বিশ্ব তাকে দেখে তা নিয়ে মোদী উদ্বিগ্ন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই পর তিনি গুজরাট দাঙ্গার কারণে সৃষ্ট দুর্নাম ঘুচিয়ে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরির চেষ্টা করছেন। এখানে নতুন যেকোনো হুমকি নিয়েই তিনি উদ্বিগ্ন।

অবশ্য গুজরাট দাঙ্গার দুর্নাম ঘোচানোর চেষ্টায় মোদী যে অনেকটাই সফল হয়েছেন, তাতে সন্দেহ নেই। পশ্চিমা যেসব দেশ দাঙ্গার পর সবচেয়ে সরব ছিল, তারা কার্যত ওই পর্ব ভুলে গেছে। সেসব দেশের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছেন। এমনকি তার সময়ে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গেও ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন, ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের মর্যাদায় বসানোর চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী নিজেও একজন শীর্ষ সারির বিশ্বনেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তিনি এই উচ্চাভিলাষের সুফলও পাচ্ছেন।

২০১৪ সালে ক্ষমতাগ্রহণের পর বারবার বিদেশ সফর করেছেন মোদী। আন্তর্জাতিক যেকোনো ফোরামে যোগ দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন না তিনি। কুগেলম্যান বলেন, সন্দেহ নেই নরেন্দ্র মোদী চান বিশ্ব পরিসরে ভারতের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ুক। কিন্তু সেই সঙ্গে নিজের মর্যাদা নিয়েও তিনি একইভাবে উদ্বিগ্ন। মোদী বিশ্বনেতা হতে চান।

তথ্যচিত্রের পেছনে মতলব: কিন্তু এর মধ্যেই গুজরাট দাঙ্গার মতো স্পর্শকাতর ঘটনা নিয়ে আবার কথা শুরু হয়েছে। তাছাড়া এমন সময় বিবিসির এই তথ্যচিত্র প্রচার হলো যখন কয়েক বছর ধরে ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার, গণমাধ্যমের অধিকারের প্রশ্নে বিজেপি সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে কম-বেশি সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার উদ্বেগ জানাচ্ছে। দিল্লিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের শ্রীরাধা দত্ত মনে করেন, এসময় বিবিসির এই তথ্যচিত্র প্রচারের পেছনে শুধু সরকার নয়, ভারতের অনেক মানুষও মতলব দেখছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব মানচিত্রে যখন ভারতের মর্যাদা দিন দিন বাড়ছে, তখন পুরোনো একটি বিতর্ক নতুন করে তোলা বহু মানুষ ভালো চোখে দেখছে না। তারা সন্দিহান। তারা ভাবছে, এর পেছনে অবশ্যই কোনো মতলব রয়েছে। এ অবস্থায় গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকা নিয়ে নতুন করে যে শোরগোল তৈরি হয়েছে, তা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার সম্ভাবনা খুবই কম। কার্যত, যে দুটি দেশ ২০০২ সালে দাঙ্গার পর মোদীর ওপর সবচেয়ে বেশি খড়গহস্ত ছিল, তারাও মোদীর পক্ষে নরম সুরে কথা বলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা আর এই বিতর্কে মাথা ঘামাতে চায় না। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইসকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অংশীদার। গত সপ্তাহে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক এমপি ওই তথ্যচিত্রের কথা তুললে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, সেখানে নরেন্দ্র মোদীকে যেভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে, তার সঙ্গে তিনি একমত নন।

শ্রীরাধা দত্ত বলেন, এমনিতেই করোনা-পরবর্তী অর্থনীতি, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সবাই চাপের মধ্যে রয়েছে। এখন এই বিষয়টি কারোরই অগ্রাধিকারের মধ্যে নেই বলে আমি মনে করি। আর কুগেলম্যানের মন্তব্য, অধিকাংশ দেশ অনেক আগেই গুজরাটের ঘটনা পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। তারপরও গুজরাট দাঙ্গা যে নরেন্দ্র মোদীর কাছে আজও কতটা স্পর্শকাতর বিষয়, বিবিসির এই তথ্যচিত্রের প্রচারের পর সেটি আরও একবার বোঝা গেলো।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর