ইউক্রেন ইস্যুতে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে রবিবার কথা বলবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব
তাইয়্যেব এরদোয়ান। শনিবার তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইব্রাহিম কালিন বলেন, বিদ্যমান সংকটের সমাধানে সহায়তা দিতে আঙ্কারা প্রস্তুত রয়েছে। ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংলাপ আয়োজনে তুরস্কের প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি করেন এরদোয়ানের মুখপাত্র।
অবিলম্বে যুদ্ধ
বন্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আঙ্কারার পক্ষে মস্কো বা কিয়েভ কারও সঙ্গেই
সম্পর্ক ছিন্ন করা সম্ভব নয়।
ইউক্রেন ও রাশিয়া
দুই দেশেরই মিত্র হিসেবে পরিচিত তুরস্ক। তবে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়েছে ন্যাটো
জোটের সদস্য তুরস্ক। সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে কৃষ্ণ সাগরের সংযোগ স্থাপনকারী দুই
তুর্কি প্রণালীতে যুদ্ধজাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ করে আঙ্কারা।
তুরস্কের দুই
প্রণালী বসফরাস ও দার্দানেলিস কৃষ্ণ সাগরকে ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ১৯৩৬
সালের মন্ট্রেক্স কনভেনশনের অধীনে এই দুই প্রণালীর ওপর আঙ্কারার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
যুদ্ধের সময় বা হুমকির সম্মুখীন হলে প্রণালী দুটিতে যুদ্ধজাহাজের চলাচল সীমিত করার
ক্ষমতা রয়েছে তুরস্কের। বহুল আলোচিত এই মন্ট্রেক্স কনভেনশন বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে
আঙ্কারা।
রয়টার্স জানিয়েছে,
তুরস্কের নতুন পদক্ষেপের অর্থ হলো, দেশটি তার পানিসীমা ব্যবহার করে রুশ যুদ্ধজাহাজকে
কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশের অনুমতি দেবে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও সম্প্রতি
কৃষ্ণ সাগরে রুশ যুদ্ধজাহাজের চলাচল নিষিদ্ধ করতে আঙ্কারার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
চলমান যুদ্ধাবস্থার
মধ্যেও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ জানিয়েছেন, তার দেশকে আরও ড্রোন
দেবে তুরস্ক। এমন পরিস্থিতিতেই পুতিনের সঙ্গে এরদোয়ানের আলোচনার কথা জানালেন তুর্কি
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র।