Logo
শিরোনাম

কান উৎসবে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম পাচ্ছেন ফরেস্ট হুইটেকার

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৫তম আসরে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম পাচ্ছেন অস্কারজয়ী অভিনেতা ফরেস্ট হুইটেকার। আগামী ১৭ মে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন ৬০ বছর বয়সী এই আমেরিকান তারকা। ফরেস্ট হুইটেকারের শিল্পীসুলভ চমৎকার পরিভ্রমণ, সহজাত সৃজনশীল দক্ষতা, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব এবং গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সংকটে বিচক্ষণ ও বলিষ্ঠ প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান জানাতে তাকে দেওয়া হবে স্বর্ণপাম।

কান উৎসবের জেনারেল ডেলিগেট থিয়েরি ফ্রেমোঁ বলেন, ফরেস্ট হুইটেকার অনন্যসাধারণ প্রতিভাবান ও আলোকিত একজন শিল্পী। চলচ্চিত্র জগতে তার কাজের তালিকা একইসঙ্গে দৃষ্টিনন্দন ও মার্জিত। মানুষ হিসেবে তার প্রত্যয় এবং নতুন প্রজন্মের প্রতি মনোযোগ আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। উন্নত বিশ্বে নিজের বিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে তিনি একটি ভালো জায়গা তৈরিতে অবদান রাখছেন। এত সুন্দর ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন অসাধারণ শিল্পীরা, ফরেস্ট হুইটেকার সেটি অর্জনের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

কান উৎসবের সভাপতি পিয়েরে লেসকিউরের কথায়, যারা ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তাদের সম্মান জানানো কান উৎসবের ঐতিহ্য, ফরেস্ট হুইটেকার তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি বিশ্বের নিপীড়িত ও প্রতিকূলতার সঙ্গে মোকাবিলা করা মানুষের তরে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এবারের স্বর্ণপাম হলো চলচ্চিত্র জগতের তরফ থেকে একটি কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ।

এক বিবৃতিতে ফরেস্ট হুইটেকার বলেন, ৩৪ বছর আগে প্রথমবারে কান উৎসবে অংশগ্রহণ করে আমার জীবন বদলে যায়। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মানবতার মাঝে সংযোগ খুঁজে পেতে নিজেকে নিয়োজিত করার সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আত্মবিশ্বাস পেয়েছি তখনই। সুন্দর এই উৎসবে নিজের কাজ নিয়ে ফিরে আসা এবং বিশ্বের সেরা শিল্পীদের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হওয়া বরাবরই বিশেষ ব্যাপার। কানের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ৭৫তম আসরের অংশ হতে পারছি বলে আমি দারুণ সম্মানিত।

১৯৮৮ সালের কান উৎসবে ক্লিন্ট ইস্টউডের বার্ড ছবির সুবাদে মাত্র ২৭ বছর বয়সে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জেতেন ফরেস্ট হুইটেকার। এটি ছিল জ্যাজ স্যাক্সোফোনিস্ট চার্লি পার্কারের বায়োপিক। এর মাধ্যমে অভূতপূর্ব একজন অভিনেতাকে আবিষ্কার করে বিশ্ব। কানের স্পেশাল স্ক্রিনিং শাখায় আগামী ১৮ মে দেখানো হবে ফরেস্ট হুইটেকার প্রযোজিত নতুন ছবি ফর দ্য সেক অব পিস। এটি পরিচালনা করেছেন ক্রিস্তফ ক্যাস্তানে ও থমাস সামেটিন। এর প্রেক্ষাপট বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ দেশ দক্ষিণ সুদান। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত গৃহযুদ্ধে সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এমন অন্ধকারেও শান্তির আশার আলো খুঁজে বেড়ায় তরুণ-তরুণীরা। জুবার একটি শরণার্থী শিবিরের রেফারি গাটজং উপজাতি শিশু-কিশোর ও তরুণদের মধ্যে শান্তির সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে খেলাধুলাকে ব্যবহার করে। অন্যদিকে কিদেপো উপত্যকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রাণঘাতী দ্বন্দ্ব মোকাবিলায় সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সফল মধ্যস্থতাকারী হয়ে ওঠেন অল্পবয়সী মা নান্দেগে। তাদের গল্পের মাধ্যমে মানবতার উন্মুক্ত পথের দেখা মেলে।

কান উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে এ নিয়ে ষষ্ঠবার জায়গা পেলেন ফরেস্ট হুইটেকার। এছাড়া প্রতিযোগিতা শাখায় নির্বাচিত হয় তার অভিনীত বার্ড, বিল ডিউকের অ্যা রেজ ইন হারলেম (১৯৯১), আবেল ফেরারার বডি স্ন্যাচার্স (১৯৯৩) এবং জিম জারমাশের গোস্ট ডগ: দ্য ওয়ে অব দ্য সামুরাই (১৯৯৯)। ২০১৩ সালে কান উৎসবের সমাপনী ছবি জুলুতে অভিনয় করেছেন তিনি।

দ্য লাস্ট কিং অব স্কটল্যান্ড (২০০৬) ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য অস্কারে ও গোল্ডেন গ্লোবসে সেরা অভিনেতা হন ফরেস্ট হুইটেকার। তার ঝুলিতে আরও আছে মার্টিন স্করসেজির দ্য কালার অব মানি (১৯৮৬), অলিভার স্টোনের প্লাটুন (১৯৮৬), ব্যারি লেভিনসনের গুড মর্নিং, ভিয়েতনাম (১৯৮৭), দ্য ক্রাইং গেম (১৯৯২), স্মোক (১৯৯৫), প্যানিক রুম (২০০২), ফোন বুথ (২০০২), স্ট্রিট কিংস (২০০৮), ভানটেজ পয়েন্ট (২০০৮), দ্য বাটলার (২০১৩), সাউথপাউ (২০১৫), রোগ ওয়ান: অ্যা স্টার ওয়ারস স্টোরি (২০১৬), ব্ল্যাক প্যান্থার (২০১৮), রেসপেক্ট (২০২১)। অভিনয়ের বাইরে চারটি ছবি পরিচালনা করেছেন ফরেস্ট হুইটেকার। এগুলো হলো স্ট্র্যাপড (১৯৯৩), ওয়েটিং টু এক্সহেল (১৯৯৫), হোপ ফ্লোটস (১৯৯৮) এবং ফার্স্ট ডটার (২০০৪)। ২০১৩ সালে কানের আঁ সাঁর্তে রিগা শাখায় নির্বাচিত রায়ান কুগলারের ফ্রুটভেল স্টেশন, ২০১৫ সালে কানের প্যারালাল শাখা ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটে প্রদর্শিত ক্লোয়ি জাও পরিচালিত সংস মাই ব্রাদারস টট মি এবং সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো ডোপ (২০১৫) প্রযোজনা করেছেন ফরেস্ট হুইটেকার।

ফরেস্ট হুইটেকার ২০১২ সালে গড়ে তোলেন হুইটেকার পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (ডব্লিউপিডিআই)। উগান্ডা, দক্ষিণ সুদান, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, ক্যামেরুন, চাদ, গ্যাবন এমনকি লস অ্যাঞ্জেলসে কাজ করে থাকে এই এনজিও। সশস্ত্র সংঘাত এবং সহিংসতাপ্রবণ দেশগুলোতে শান্তি ও অর্থনৈতিক সহনশীলতার জন্য সহায়তা দেয় ডব্লিউপিডিআই। ইতোমধ্যে ১৫ লাখেরও বেশি মানুষকে সাহায্য করেছে এনজিওটি। ডব্লিউপিডিআইকে সহায়তা দিয়েছে আড়াই হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী এবং ১৪টি শিক্ষাকেন্দ্রের সমন্বয়ে গঠিত একটি নেটওয়ার্ক। ফরেস্ট হুইটেকার ইউনেস্কোর শান্তি ও সৌহার্দ্যের বিশেষ দূত এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অ্যাডভোকেসি গ্রুপের সদস্য।

২০০২ সাল থেকে কানে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম দেওয়া হচ্ছে, যারা কখনো প্রতিযোগিতা শাখায় স্বর্ণপাম জেতেননি। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য ইতালির বের্নার্দো বের্তোলুচ্চি, ফ্রান্সের নারী পরিচালক আনিয়েস ভারদা, আমেরিকান নির্মাতা উডি অ্যালেন, ক্লিন্ট ইস্টউড, অভিনেত্রী জেন ফন্ডা, জোডি ফস্টার।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর