বিশ্বজুড়ে করোনা
মহামারিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও কমেছে।
একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ৩ হাজার মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে
শনাক্তের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় ১১ লাখে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, ফিলিপাইন ও মেক্সিকো। এতে
বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের
সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬১ লাখ।
দৈনিক প্রাণহানির
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন
৪৩৪ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩১ হাজার ৩৫ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে
এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭৫ লাখ ৮২ হাজার ৬৯৫ জন এবং মৃত্যু
হয়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯২ জনের।
সোমবার (২১ মার্চ)
সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ২ হাজার ৯০২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮০০। এতে
বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬১ লাখ ৫৫৬ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৮ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩ লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে
আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৭ লাখ ৮৮ হাজার ১১৩ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৭০৮ জন এবং মারা গেছেন ৩২৭ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬৪৬
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১২ হাজার ৪২৮ জন মারা গেছেন।
এছাড়া জার্মানিতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৫২৫ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন। করোনা
মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮৩ হাজার ২৮৭ জন
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৩২ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায়
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯৬৬ জন এবং মারা গেছেন
৮৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার
১০১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩৩ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে
রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৪ জন এবং নতুন করে করোনায়
সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ২১৮ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট
শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৯৬ লাখ ৩০ হাজার ৪৮৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৫৭ হাজার
২৬১ জনের।
করোনায় আক্রান্তের
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের
সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ৬ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৭০২ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে
এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮ হাজার ৫৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ
১৬ হাজার ৫১৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায়
তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮১ জন এবং মারা গেছেন ৮৫ জন।
একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৪১৫ জন এবং মারা গেছেন
৯৩ জন। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯২২ জন এবং মারা
গেছেন ১৩৯ জন।
গত একদিনে ফ্রান্সে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ২৮৩ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। করোনা
মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪১ লাখ ৩৭ হাজার ১৬০ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৩৩ জন মারা গেছেন। গত একদিনে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৩৩ জন এবং মারা গেছেন ১২৬ জন।
এছাড়া করোনায়
আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিপাইনে ২৪০ জন, হংকংয়ে ২৪৬ জন, আর্জেন্টিনায় ১১ জন, ইরানে
৬০ জন, মালয়েশিয়ায় ৭১ জন, চিলিতে ৭৮ জন এবং থাইল্যান্ডে ৮৪ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে
গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ১৪১ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার
এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার ৭২ জনের।
উল্লেখ্য, ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।