Logo
শিরোনাম

লোকসান কাটাতে রাকাবের পরিশোধিত মূলধন বাড়াবে সরকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | ৭৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের (বিকেবি) রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের শাখাগুলো নিয়ে ১৯৮৭ সালে গঠন করা হয় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। লক্ষ্য ছিল, কৃষি খাতে অর্থায়নের মাধ্যমে ওই অঞ্চলের ১৬টি জেলার উন্নয়ন। সেই লক্ষ্য কম-বেশি কিছুটা পূরণ হলেও ৩৪ বছরের অধিকাংশ সময়ই লোকসানে বছর পার করেছে ব্যাংকটি। সম্প্রতি রাকাবকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ৮২৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন থেকেই পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর অনুরোধ করে আসছিল রাকাব কর্তৃপক্ষ। এবার সে অনুরোধে সাড়া দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সম্প্রতি মূলধন বাড়ানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে। অর্থ বিভাগও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে যাচাই-বাছাই করছে।

অর্থ বিভাগে পাঠানো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংকটির রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের শাখাগুলোয় কৃষি ও কৃষিভিত্তিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক কাঠামো সুদৃঢ়করণ এবং সার্বিকভাবে রাকাবের ঋণপ্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে লাভজনক ব্যাংকে উন্নীত করার লক্ষ্যে গৃহীত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য পরিশোধিত মূলধন ৮২৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার সুপারিশ করা হচ্ছে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও জানানো হয়।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও আঞ্চলিক প্রভাবের অভিযোগ রয়েছে রাকাবের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে এসবের সত্যতাও পাওয়া গেছে। এছাড়া খেলাপি ঋণ বেশি হওয়ার কারণে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর অধিকাংশ সময় লোকসান গুনছে। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে সংস্কার আনার কথা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকটিকে লাভজনক করার বিভিন্ন কার্যক্রমের একটি হিসেবে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর অনুরোধ করে আসছিল রাকাব। তাদের অনুরোধের ভিত্তিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ অর্থ প্রতিষ্ঠান বিভাগ পাঠিয়েছে।

অর্থ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সুপারিশটি তারা বেশ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করছে। খুব শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকটির বিরুদ্ধে যেসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোয় সংস্কার আনতে হবে। একই সঙ্গে মূলধন বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাংকটির ওপর তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন। রাকাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকটি লোকসানে রয়েছে। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যাংকটি চরম তহবিল সংকটে ভুগছে। আমানতের বিপরীতে ব্যাংকের ঋণ বিতরণের হার প্রায় ১০০ শতাংশ, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মের বাইরে। কিন্তু এ ঋণগুলো কৃষকদের স্বল্প সুদে দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন সময়ে সরকারের নির্দেশে কৃষকদের প্রায় ৮১৫ কোটি টাকার সুদ মওকুফও করা হয়েছে। এর বিপরীতে সরকারের কাছ থেকে তেমন কোনো ভর্তুকি পাওয়া যায়নি।

এ কারণে তহবিল সংকট আরো তীব্র হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদি বাড়তি মূলধন পাই, তাহলে আমরা আমানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণের যে অসমতা রয়েছে সেটা কমিয়ে আনতে পারব। পাশাপাশি ব্যাংক কর্তৃপক্ষও আমানত বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে সব ব্যাংক অনলাইনে চলে গেছে কিন্তু রাকাবে অনলাইন ব্যাংকিং না থাকার কারণে ভালো ভালো গ্রাহক অন্য ব্যাংকে চলে গেছে। তাই রাকাবও গত ২৩ মার্চ মোবাইল অ্যাপস ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং উদ্বোধন করেছে। অনলাইন ব্যাংকিং চালুর পর আমরা গ্রাহকদের বেশ সাড়া পাচ্ছি। আমরা যদি বাড়তি পরিশোধিত মূলধন পাই একই সঙ্গে আমরা যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, তাতে আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে রাকাব ঘুরে দাঁড়াবে।

এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটিকে ১৯৯২-৯৩ সাল থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বিভিন্ন সময়ে প্রভিশন ঘাটতি বাবদ ৪১৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা দিয়েছে সরকার। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে রাকাবকে সুদ ভর্তুকি বাবদ ২৯৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। এদিকে ব্যাংকের অটোমেশন বাস্তবায়নের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সরকার মূলধন পুনর্গঠন বাবদ ৮০ কোটি টাকা দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর শেষে রাকাবের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৬ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৯ দশমিক ২৯ শতাংশ বা ১ হাজার ২১২ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ। পাশাপাশি ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি রয়েছে ১ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, রাকাবের মোট ৩৮৩টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে শহরে রয়েছে ৫০টি, পল্লী শাখা ৩৩৩টি। এসব শাখার মধ্যে ১৫১টি লোকসানে রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা লাভ করে ব্যাংকটি। এরপর টানা চার বছর লোকসান গুনছে রাকাব। সর্বশেষে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৮১ কোটি ৪১ লাখ টাকা আয় করে ব্যাংকটি। এর বিপরীতে ব্যয় হয় ৫৮৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ফলে লোকসান গুনতে হয় ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হচ্ছে সেটা ভালো। তবে সংস্থাটির পরিচালনা জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। ঋণও দেয়া হচ্ছে নিয়ম-কানুন ভেঙে। আবার অর্থ আদায়ে আইনি কাঠামোও বেশ দুর্বল। তাই ব্যাংকটির খেলপি ঋণ বেশি। এসব নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকটির ওপর তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন। এছাড়া ব্যাংকটি যে মডেলে চলছে, এটাও টেকসই নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর