Logo
শিরোনাম

নজর নেই বস্তির বর্জ্যে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | ১৩৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আবাসিক এলাকার বর্জ্য নেয়া হয়, বস্তির বর্জ্য নেয়া হয় না- কথাটি পুরোনো হলেও বর্তমানে বেড়েছে তীব্রতা। বস্তির মানুষ নিজস্ব উদ্যোগে কিছু বর্জ্য সিটি করপোরেশনের বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে (এসটিএস) পৌঁছে দিলেও বেশিরভাগই থেকে যায় বস্তিতে। বর্জ্য না নেয়ার ফলে বস্তি পরিণত হচ্ছে বর্জ্যের স্তূপে। এ বর্জ্য পানিতে যাচ্ছে, বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং ক্ষতিকারক গ্যাস তৈরি করছে। যার প্রভাব পড়ছে বস্তিবাসীর স্বাস্থ্যের ওপর। একদিকে যেমন দুর্গন্ধ, অন্যদিকে বর্জ্য পচে পানির সঙ্গে মিলে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বস্তির আশপাশের আবাসিক এলাকা থেকে সিটি করপোরেশনের লোকজন ময়লা নিয়ে যায়, কিন্তু বস্তির ভেতরে সিটি করপোরেশনের লোক যায় না।

বস্তিবাসীর অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেন কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওরের (কাপ) নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত। তিনি বলেন, ঢাকার অধিকাংশ বস্তি থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হয় না। সিটি করপোরেশন ময়লা সংগ্রহে আলাদা ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে। তারা বস্তি এলাকা থেকে ময়লা নেয় না। চিকিৎসকরা বলছেন, বর্জ্যের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের প্রভাবে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, চর্মরোগ, ডায়রিয়া, কলেরাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশদূষণ রোধ করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বড় ভূমিকা রাখে। ঢাকার বস্তিগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র করুণ, যা পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বস্তিবাসীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিগত বছরগুলোতে বস্তি থেকে ময়লা টানা হতো। কিন্তু, বর্তমানে সেই ময়লা আর টানা হয় না। ফলে এখন সেই ময়লা বস্তিতেই থেকে যাচ্ছে। যার ফলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই তাদের বসবাস করতে হচ্ছে। এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না সিটি করপোরেশন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ বস্তিতে শুমারি ও ভাসমান লোকগণনা ২০১৪-এর তথ্যানুসারে, দেশে বস্তির সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৩৮টি। এসব বস্তিতে সাড়ে ২২ লাখ মানুষ বসবাস করে। আর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে বস্তি রয়েছে ৩ হাজার ৩৯৪টি। এতে সাড়ে ছয় লাখ মানুষ বসবাস করে। তবে বেসরকারি হিসাব বলছে, ঢাকায় পাঁচ হাজারের বেশি বস্তি রয়েছে। এতে ৪০ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে। তাদের অধিকাংশ শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

প্রায় আড়াই কোটি মানুষের বসবাসের এই শহরে প্রতিদিন উৎপাদন হয় ৪৫ হাজার মেট্রিন টন বর্জ্য। শহরে দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বর্জ্য উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আমাদের পরিবেশের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। বাংলাদেশে শহরগুলোয় গ্রামের তুলনায় জীবনযাপনের সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকায় দিন দিন মানুষ শহরমুখী হয়ে উঠছে। ফলে শহরাঞ্চলে বর্জ্য উৎপন্নের পরিমাণ গ্রামের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা ব্যতীত দেশের অন্য বড় শহরগুলোর অবস্থাও অনেকাংশে একই। অতিরিক্ত পরিমাণ জনসংখ্যার চাপ ও মানবসৃষ্ট বর্জ্যের ক্রমান্বয় বৃদ্ধি, শহরগুলোর পরিবেশকে বসবাসের অযোগ্য করতে ভূমিকা রাখছে। এই সমস্যা সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও বস্তুতে এর সফলতা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পরিবেশ সংগঠনগুলোও এই সমস্যা সমাধানে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দৃশ্যতায় সব কর্মসূচির সফলতা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে সাধারণ মানুষের মনে।

গত ১৩ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক কার্যালয়-৩ এ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা সভায় ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আজিজুন নেছা বলেন, বস্তিতে বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে হবে। না হলে বর্জ্যের কারণে পানি ও বায়ুদূষণ হবে। ময়লার কারণে বাতাসে দুর্গন্ধ এবং ক্ষতিকারক গ্যাস উৎপন্ন হয়ে নগরবাসী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। বর্জ্যের অব্যবস্থাপনার কারণে কড়াইলসহ রাজধানীর বিভিন্ন বস্তি এলাকায় স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ওই এলাকার লোকজন ডায়রিয়া, কলেরাসহ নানা রকম পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পরে এই রোগ গুলশান, বনানী, বারিধারাসহ শহরে ছড়িয়ে পড়ছে।

মো. নাজিম উদ্দিন ও মুর্শেদা বেগম দম্পতি। বসবাস করেন রাজধানীর হাজারীবাগের বউবাজার এলাকার আকবরের বস্তিতে। বস্তির পাশেই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস)। তারা বলেন, আমাদের দুই সন্তান জন্ম থেকে চর্মরোগে ভুগছে। সারা শরীর ফোসকায় ভরে গেছে। একই বস্তিতে চার বছর বয়সি সন্তান নিয়ে বসবাস করেন রিকশাচালক আব্দুল হেকিম ও ফাতেমা দম্পতি। আব্দুল হেকিম বলেন, আমার মেয়েটা ময়লার স্তূপে খেলাধুলা করে। কিছুদিন আগেও তার ডায়রিয়া হইছে। শুধু হাজারীবাগের আকবর বস্তিতেই দৃশ্যচিত্র এমন নয়। অস্বাস্থ্যকর এমন পরিবেশে বসবাস করছেন রাজধানীর অধিকাংশ বস্তিবাসী। তাদের এমন কষ্টের কথার অবমূল্যায়নে পরিবার নিয়ে হতাশ আর দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তারা।

কথা হয় মোহাম্মদপুরে কাঁটাশুরে অবস্থিত বস্তির বাসিন্দা মো. নূর উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের পাশে আবাসিক এলাকা থেকে প্রতিদিন সকালে বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু আমাদের এই বস্তিতে ময়লা সংগ্রহ করতে কেউই আসে না। ফলে আমাদের এখানে জমানো বর্জ্যগুলো আমরা জমা করে রেখে দেই। মাঝে মধ্যে বর্জ্যের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে সিটি করপোরেশনের গাড়িতে ফেলে আসি। এভাবে আর কতদিন। আমরা তো নগরীরই বাসিন্দা। তাহলে সবখান থেকে ময়লা সংগ্রহ করা হয় বস্তি থেকে কেন ময়লা সংগ্রহ করা হয় না?

জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ উল ইসলাম বলেন, বাসা-বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করার কাজটি সিটি করপোরেশন পরিচালনা করে না। এটা পরিচালনা করে ভ্যানগাড়িওয়ালা বা বিভিন্ন সংস্থা। তারা এসটিএস-এ ময়লা রাখে সিটি করপোরেশন সেই ময়লাগুলো সাভার বা মাতুয়াইলে নিয়ে যায়। তবে আমরা বাসা-বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। কোরবানি ঈদের পর ইনশাআল্লাহ এর একটা সমাধান আসবে। তিনি বলেন, বর্জ্য সংগ্রহ না করার বিষয়টি নিয়ে আপনি যে বস্তিগুলোর কথা বলেছেন আমরা সেগুলোর দিকে নজর দিচ্ছি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান  বলেন, বাসা-বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়, বস্তি থেকে নেয়া হয় না, বিষয়টি একেবারেই অযৌক্তিক। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকে তাকালে দেখা যাবে বাসা-বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের কাজটি পরিচালনা করছে বিভিন্ন সংস্থা। কিন্তু এই কাজটা করার কথা সিটি করপোরেশনের। এই বিষয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। বস্তি থেকে ময়লা সংগ্রহ না করায় বস্তিবাসী সেই ময়লা পলিতে করে বিভিন্ন ফাঁকা জায়গায় ফেলে রাখছে অথবা পুড়িয়ে ফেলছে। ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, অন্যদিকে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। আন্তর্জাতিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার তো খারাপই, দেশের যে অবস্থান ওয়েজো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরো খারাপ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি করতে হলে অবশ্যই এই বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে নানা উদ্যোগ নিতে হবে। এই বিষয়কে জোরালোভাবে দেখতে হবে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর