Logo
শিরোনাম

অবশেষে শান্তি চুক্তি, ইথিওপিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসান

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ইথিওপিয়ার সরকার ও তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) নেতারা অবশেষে সমঝোতায় পৌঁছালো। প্রায় দুই বছর ধরে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছিল। সেই ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় গত ২ নভেম্বর। বোমা, বুলেটের আঘাতে বহু মানুষের প্রাণ গেছে এই গৃহযুদ্ধে। তাছাড়া যুদ্ধজনিত কারণে ক্ষুধা ও রোগের কারণে আরও বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। উদ্বাস্তু হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। ইথিওপিয়ার সরকার ও উত্তরের একটি অঞ্চল তাইগ্রের নেতারা এই যুদ্ধে তেমন কিছুই অর্জন করেনি। এরইমধ্যে তাইগ্রে, আফার এবং আমহারার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং বহু ফসল পুড়ে যেতে দেখেছে। বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলে জাতিগত নিধন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অসংখ্য নারী।

আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকায় আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা শুরুর এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় পর সমঝোতার ঘোষণা এলো। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সংঘাতে লিপ্ত পক্ষগুলো অবশেষে শান্তি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এর আগে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবে আহমেদের অনুগত সেনাবাহিনী এবং তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টকে (টিপিএলএফ) সমর্থনকারী বাহিনীর মধ্যে লড়াই অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানায় আফ্রিকান ইউনিয়ন। উভয়ই নিরীহ মানুষদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। এই সমঝোতার ফলে তাইগ্রেতে বেসামরিক নাগরিকদের ত্রাণ দেবে টিপিএলএফ যাদের বেশিরভাগই যুদ্ধের জন্য সরকারি বাহিনীর দ্বারা অবরুদ্ধ ছিল। আগস্টে আবারও যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে কোনো ত্রাণ প্রবেশ করেনি। ফলে অনাহারে থাকা লাখ লাখ তাইগ্রিয়ান চরম দুর্ভোগে পড়ে।

দেশটির সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যাংকিং সুবিধা আবারও চালু করা হবে ওই অঞ্চলে। ২০২১ সালের জুন মাস থেকে এসব সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে সময় ইথিওপিয়ান সেনাবাহিনী ও প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার মিত্রদের কাছ থেকে বেশিরভাগ অঞ্চল দখলে নিয়েছিল টিপিএলএফ। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এই শান্তি চুক্তিকে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই চুক্তি ইথিওপিয়ার লাখ লাখ বেসামরিক লোককে কিছুটা স্বস্তি দেবে।

সমঝোতা অনেক ভালো উপায়। এটি তাইগ্রে ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে ভবিষ্যত সম্পর্কের জন্য একটি নীলনকশা তৈরি করলো। ফলে এই অঞ্চলের ওপর সাংবিধানিক কর্তৃত্ব দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে। ফেডারেল সরকারের সেনাদের এই অঞ্চলের রাজধানী মেকেলে প্রবেশ করতে হবে এবং বিমানবন্দর, হাইওয়েসহ অন্যান্য ফেডারেল সার্ভিসগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন অঞ্চলটি পরিচালনা করবে। বাস্তবে এর অর্থ হবে টিপিএলএফ-এর নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সরকারের বিলুপ্তি। যা ফেডারেল সরকারের আদেশ অমান্য করে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে নির্বাচিত হয়েছিল। এই নির্বাচনই তিন মাস পরে দেশটিকে গৃহযুদ্ধের পথে নিয়ে যায়। যখন আবে, ফেডারেল কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে তাইগ্রের ব্যাপারে ক্ষিপ্ত হয়ে এই অঞ্চলের সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করেন। ফলে টিপিএলএফ কেন্দ্রীয় সরকারের বাহিনীর ওপর হামলা শুরু করে।

অনেক তাইগ্রিয়ান মনে করেন চুক্তিটি আত্মসমর্পণের সমান। তাইগ্রের বাইরের লোকদের মধ্যে, যারা শেষ বার ফেডারেল সৈন্যরা দখল করার সময় তাদের মাতৃভূমিতে কয়েক মাস ধরে হত্যা, ধর্ষণ ও অনাহার প্রত্যক্ষ করেছিল তারা এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না। টিপিএলএফের কাছে চুক্তিটি প্রকাশ্যে ব্যাখ্যা করার জন্য দাবিও রয়েছে। দলটির নেতারা কঠোরভাবে দাবি করছেন যে তারা ইথিওপিয়ার সাংবিধানিক আদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সফলভাবে লড়াই করেছেন। কয়েক মাস ধরে টিপিএলএফ-এর শীর্ষস্থানীয় নেতারা জোর দিয়েছিল যে তাদের বাহিনী লড়াইয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এটি স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে তারা পতনের দ্বারপ্রান্তে। টিপিএলএফ নেতারা যারা দাবি না মানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার মধ্যে তাইগ্রে থেকে ইরিত্রিয়ান সৈন্যদের প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের শুরুতে প্রতিবেশী আমহারা অঞ্চল দ্বারা সংযুক্ত অঞ্চলগুলোর প্রত্যাবর্তন। শেষ পর্যন্ত ইরিত্রিয়া স্বাক্ষরিত চুক্তিতে একটিও উল্লেখ করার অনুমতি দেয়নি।

এদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এলাকা নিয়ে সমাধান কি? কেউ কেউ মনে করেন যে সংবিধান অনুযায়ী, এটিতে গণভোট হতে পারে। এটি যে এতো ছাড় দিয়েছে তা সম্ভবত যুদ্ধক্ষেত্রে টিপিএলএফের দুর্বলতা ও অবরোধের অধীনে বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগের কারণে। কিন্তু কেউ কেউ এখনও মনে করেন যে এটি খুব শিগগির বন্ধ হয়ে যাবে। একজন সাবেক ইথিওপিয়ান কূটনীতিক মনে করেন যে এটি অনেক ছাড় দিয়েছে, সম্ভবত আমেরিকার চাপের মধ্যে ছিল। ৩ নভেম্বর দক্ষিণ ইথিওপিয়াতে এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, আবে জয় ঘোষণা করেন এবং বলেন তার পক্ষের প্রস্তাবগুলোর শতভাগ চূড়ান্ত চুক্তিতে পরিণত হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আশা করছেন যে এই চুক্তি ইথিওপিয়ার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে বাঁচাতে এবং পুনর্গঠনের জন্য আরও দাতা গোষ্ঠী যেমন আইএমএফের প্রোগ্রাম দ্রুত পুনঃপ্রবর্তনের দিকে পরিচালিত করবে। তবুও এটি চুক্তির সাফল্যের ওপর নির্ভর করবে যা এরইমধ্যে ভঙ্গুর বলে মনে হয়। যদিও এর মধ্যে কয়েকটি যুদ্ধবিরতি আগেও হয়েছে। বাস্তবে আফ্রিকান ইউনিয়ন, যারা আলোচনার আয়োজন করেছিল, তাকে গ্যারান্টর হিসাবে কাজ করতে হবে। কিন্তু এর চেয়ারপারসন মুসা ফাকিরের আবের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। মিকিয়েলে তেকুল, একজন তাইগ্রিয়ান যিনি দেশের বাইরে রয়েছেন, বলেন আমাদের দেখতে হবে কি ঘটে। কিন্তু আমি আবে আহমেদকে বিশ্বাস করি না। যদি এই চুক্তিটি তাইগ্রের সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তিকে চিহ্নিত করে, তবুও ইথিওপিয়ায় অন্যান্য দ্বন্দ্ব-সংঘাত এখনও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আবে আমহারার অনেকের বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, যারা বলে যে তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিনিধিত্ব করেনি এবং উদ্বিগ্ন যে সরকার অবশেষে তাদের দখলকৃত বিতর্কিত অঞ্চলগুলো তাইগ্রেকে ফিরিয়ে দেবে। আমহারার সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোও আবের নিজ অঞ্চল ওরোমিয়ার কিছু অংশের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। আবের সরকার সেখানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে বলে মনে করার কম কারণ নেই।

ইথিওপিয়ার ইতিহাস সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার আরেকটি কারণ আছে। ইরিত্রিয়ার বিরুদ্ধে এটি যে যুদ্ধ করেছিল, যা ১৯৯৮ সালে শুরু হয় এবং দুই বছরের মধ্যে অন্তত ১ লাখ মানুষের প্রাণ যায়। ২০০০ সালে আবার সমঝোতা হয়। ছয় মাস পর একটি পূর্ণ শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল দেশ দুটির মধ্যে। দুই দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তা সঠিকভাবে এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: ইথিওপিয়া

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর