Logo
শিরোনাম

পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতের পোশাকের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে শীতের তীব্রতা ব্যাপক বেড়েছে। ফলে শীতের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষায় প্রয়োজন পোশাকের। এ জন্য চাহিদাও বেড়েছে এই পোশাকের। কিন্তু চাহিদা যতই বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতের পোশাকের দামও। শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাত সবখানে বেড়েছে প্রয়োজনীয় পোশাকটির।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ-সংলগ্ন ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয় শীতের পোশাক কেনার জন্য ভিড় জমেছে। কাছে যেতেই দেখা যায়, দর-কষাকষি করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। কেউ নিচ্ছেন, কেউ ফিরে যাচ্ছেন।

লক্ষ্মীবাজারে ফুটপাত থেকে ছেলেমেয়ের জন্য শীতের পোশাক কিনতে আসেন রাবেয়া বেগম। জানতে চাইলে বলেন, ‌‌‌শীতের শুরুতে একবার শীতের পোশাক দেখে এসেছিলাম। তখন বাচ্চাদের একটা সোয়েটারের দাম ছিল ৩০০ টাকা। ভেবেছিলাম কদিন গেলে দাম আরও কমবে। কিন্তু আজ এসে দেখি সেই সোয়েটারের দাম আরও ১০০ টাকা বাড়িয়েছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানদাররা পাল্লা দিয়ে শীতের পোশাকের দামও বাড়িয়েছে। আমাদের মতো মানুষের একটা নতুন জিনিস কিনতে তিনবার ভাবতে হয়। উপায় না দেখে অন্য একটা দোকান থেকে কম দামি একটা সোয়েটার কিনে দিয়েছি ছেলেকে। দাম কমলে অন্য আরেক দিন এসে মেয়েটার জন্য নেবো।

গ্রেট ওয়াল শপিংমলে ছেলেমেয়ের জন্য শীতের পোশাক কিনতে আসা শরিফা নামের এক ক্রেতা বলেন, শপিংমলের লোকাল ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোয় এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম দ্বিগুণ হয়েছে। তার চেয়ে ব্র্যান্ডের পণ্য ভালো। শুরুতে যেই দাম, এখনও একই দাম। কিন্তু তা-ও আমাদের সাধ্যের বাইরে। দোকানদাররা কিছু পণ্যে মূল্য লাগিয়ে রেখেছে। শীত বেশি পড়ার কারণে এখন দামও বেড়ে গেছে। নাগালের বাইরে দাম চলে যাওয়া সত্ত্বেও বাচ্চাদের আবদার পূরণ করতে একটু দামি পোশাক কিনতে হচ্ছে। বছরে একবারই তো শীতের পোশাক কেনা হয়, এ জন্য সবাই ওত দামের কথা চিন্তা না করে সন্তানের খুশির জন্য কেনাকাটা করছে।

দাম বাড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করে ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রেতা মো. শাকিল বলেন, চাহিদা বাড়ায় পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। আমরা তো খুচরা বিক্রেতা। কেনার ওপর বিক্রি নির্ভর করে। কম দামে কিনতে পারলে আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারি। বেশি দামে কিনে তো আমরা লস দিয়ে বিক্রি করতে পারি না। তাই দাম না বাড়িয়ে আমাদের উপায় নেই। প্রতি লটে আগের চেয়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। আগে যে কাপড় গড়ে ১০০ টাকা করে কেনা পড়তো, সেটা এখন ১৩০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। আমাদের দোষ দিয়ে লাভ নাই। আমরা নিরুপায়।

মনোয়ার নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, আমাদের তো আর দোকান ভাড়া দেওয়া লাগে না। লাইনম্যান আর পুলিশরে এদিক-সেদিক যা দিয়ে সারা যায়, সবকিছু মিলিয়ে আমরা পোশাক বিক্রি করি। আমাদের এখানকার একই পোশাক দোকানে গেলে আপনি আরও বেশি দামে কিনতে হবে। আমরা সব সময় সীমিত লাভে বিক্রি করি। কারণ, এখানে যারা আসে তারা অনেকেই রেগুলার কাস্টমার। একটা প্রোডাক্টে ২০ থেকে ৩০ টাকার বেশি লাভ করি না। আমরা যেই সোয়েটার ২০০ টাকা বিক্রি করি, সেটা দোকানে গেলে ৩০০ টাকার কমে কিনতে পারবেন না। সে হিসাবে আমরা বেশি বিক্রি করি না।

নিউজ ট্যাগ: শীতের পোশাক

আরও খবর



স্বল্পোন্নত দেশগুলো কারও করুণা চায় না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কাতার সম্মেলনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেছি। স্বল্পোন্নত দেশগুলো কারও করুণা বা দাক্ষিণ্য চায় না। বরং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ন্যায্য পাওনা চায়, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়।

প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শুরু হওয়া সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কাতার সফরের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে সহযোগিতা করতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৪ মার্চ কাতারে যান শেখ হাসিনা। এলডিসি-৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্টে যোগ দেন তিনি। গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী কাতার সফর শেষে দেশে ফেরেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্জনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমরা একটি কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে কাজ করছি। এ জন্য কাতারসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি।


আরও খবর



মানুষ খুশি হলে বিএনপি অখুশি হয় : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল ভালো থাকতে দিবে না। আপনারা খুশি থাকলে উনারা বেজার। বিএনপি খুশি নয়, কিন্তু মানুষ খুশি। মানুষ খুশি হলে বিএনপি অখুশি হয়। আজ শনিবার ( ১১ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহের বিভাগীয় জনসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, লোকে বলে, ময়মনসিংহ হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য দুর্গ। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে একনজর দেখানোর জন্য গ্রেটার ময়মনসিংহ থেকে অগণিত মানুষ ময়মনসিংহে ছুতে এসেছে। আজকে প্রমাণিত হলো ময়মনসিংহ শেখ হাসিনার।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি এখন ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে। একদিকে লন্ডনের ফরমাইশ। অন্যদিতে টাকা ওয়ালারা দিশেহারা। বিএনপিতে আর এই দেশের মানুষ ফিরে যেতে চায় না। ধানের শীষ, পেটের বিষ। মানুষ বলে সাপের বিষ। ময়মনসিংহের গ্রাম শহর হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। একসঙ্গে ৭৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন, শুনেছেন কখনও? আপনারা ভোট দিয়েছেন বলেই এত উন্নয়ন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ময়মনসিংহের ঘরে ঘরে আগে ছিল অন্ধকার, এখন বিদ্যুতের আলো। হাতে হাতে মোবাইলফোন, ডিজিটাল কেন্দ্র, এই সেবা অতীতে কখনো পেয়েছেন? আজকে মায়েদের কাছে সন্তানদের উপবৃত্তির টাকা যায়। আজকে যে মা মোবাইলফোন কিনতে পারে না, তার মোবাইলফোন সরকার থেকে কিনে দেওয়া হয়। আজকে মায়েরা বড় সম্মানিত। শেখ হাসিনা বাবার পাশে মায়ের নাম রেখেছেন। এত বড় সম্মান, নারী জাতিকে আর কেউ দিয়েছে? তাদের (বিএনপি) বড় জ্বালা, অন্তর জ্বালায় বিএনপি, দিনের আরাম রাতের ঘুম নষ্ট। আন্দোলনে মনে হয়, আর খেলতে হবে না। আন্দোলন করার শক্তি আর তাদের নেই। দৌড়াতে দৌড়াতে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে গেছে। তাদের শক্তি কমে গেছে, কিন্তু মুখের বিষ কমেনি। প্রতিদিন বিএনপির নেতারা গালিগালাজ করে।


আরও খবর



ভোলা-৩ আসনে আ.লীগের হয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১২৩জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এখন থেকেই ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসন চষে বেড়াচ্ছেন বিবিএস গ্রুপ ও নাহী গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছেন নির্বাচনের পথে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে করছেন গণসংযোগ। নির্বাচনী এলাকা লালমোহন-তজুমদ্দিনের সর্বত্র আলোচনায়  ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার।

জানা যায়, ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার লালমোহন-তজুমদ্দিনের নানা সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এলাকার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান প্রদানসহ গরিব ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের ত্রাণ প্রদান, বেকারত্ব দূরীকরণে সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন প্রদান, দরিদ্রদের মধ্যে টিউবওয়েল ও টিন বিতরণ, ঘর নির্মাণ করে দেওয়াসহ নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রেখেছেন।

আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার লালমোহন-তজুমদ্দিনকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চান। এ দুই উপজেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি ও খেলাধুলার উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও উদ্যোক্তা তৈরী, নদীভাঙন রোধ, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তৃতি প্রভৃতি নিয়ে তার রয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। 

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার (সিআইপি) লালমোহন-তজুমদ্দিনে তার ব্যবসায়িক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার প্রার্থিতা ঘোষণা দেয়ার পর থেকে লালমোহন-তজুমদ্দিন উপজেলার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সাবেক ভিপি, ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের গণমানুষের নেতা। আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জরিপের মাধ্যমে ভোলা-৩ আসনে মনোনয়ন দিলে নিশ্চিতভাবে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের বিকল্প নেই বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ। এ আসনে তার বিকল্প নেই। তিনি এমপি নির্বাচিত হলে কোনো দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, টিআর কাবিখা বিক্রি ও নিয়োগ বাণিজ্যের করবেন না বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের সততার মূল্যায়ন করবেন।

তারা আরও বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার ভোলা-৩ আসনে (লালমোহন-তজুমদ্দিন) একমাত্র নৌকার উপযুক্ত মাঝি। আমরা তাকেই নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।

এ প্রসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার (সিআইপি) বলেন, আমি যতদিন বেঁচে থাকবো জনগণের সেবা করবো। মানুষের জন্য কাজ করাই আমার উদ্দেশ্য। আমি মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। তিনি আরও বলেন, নৌকায় ভোট দিলেই দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে, দেশে উন্নয়ন হয়। নৌকার ওপর ভরসা রাখতে হবে। কারণ এই আওয়ামী লীগের নৌকা বিজয়ী হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে। সেজন্য সামনের নির্বাচনে নৌকাকে ভোট দিয়ে আবারো বিজয়ী করার আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর



চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৭২জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

টানা তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট পদে শি জিনপিং নির্বাচিত হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক কমিউনিস্ট পার্টির নেতা লি কিয়াং।

শনিবার (১০ মার্চ) সকালে পার্লামেন্ট অধিবেশনে শি জিনপিং মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ভোটাভুটিতে জয়ী হওয়ার পর লি কিয়াংয়ের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেছিয়াংয়ের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি।

৬৩ বছর বয়সী নতুন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে ২,৯০০ এরও বেশি প্রতিনিধির কাছ থেকে প্রায় প্রতিটি ভোটই পেয়েছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট শির একজন ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

পার্লামেন্টে স্থাপন করা একটি ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে দেখা গেছে, লি ২ হাজার ৯৩৬ ভোট পেয়েছেন। মাত্র তিনজন প্রতিনিধি তাঁর নিয়োগের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আটজন ভোটদানে বিরত ছিলেন।

নির্বাচনের পর চীনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন লি কিয়াং। চীনের সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।

লি কিয়াং তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সেচপাম্প স্টেশনের শ্রমিক হিসেবে। এরপর ধীরে ধীরে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের বিভিন্ন পদে আসীন হন। একসময় সাংহাই শহরে কমিউনিস্ট পার্টিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লি কিয়াং। ২০০০-এর দশকের শুরুতে সি চিন পিংয়ের চিফ অব স্টাফ ছিলেন তিনি।


আরও খবর



বন্ধ হয়ে গেলো মাহিন্দ্রা বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দীর্ঘদিন আয়-রোজগার না থাকায় শেষ পর্যন্ত বন্ধই হয়ে গেলো ভারতীয় অটো জায়ান্ট মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার (এমঅ্যান্ডএম) বাংলাদেশি ইউনিট। গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে মাহিন্দ্রা বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের (এমবিপিএল) সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

খবরে বলা হয়েছে, মাহিন্দ্রা বাংলাদেশ গত ১৪ মার্চ অংশীদারদের সঙ্গে শেষবারের মতো সাধারণ সভা আহ্বান করেছিল। সভায় স্বেচ্ছায় ও চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে মার্চের ১৪ তারিখ থেকেই মাহিন্দ্রা বাংলাদেশের অস্তিত্ব কার্যকরভাবে বিলীন হয়ে গেছে।

বিবৃতি জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে মাহিন্দ্রা বাংলাদেশের আয় পুরোপুরি শূন্য ছিল। উল্লেখিত তারিখে এমবিপিএলের নেট আর্থিক মূল্য ছিল ৩ কোটি ১৮ লাখ রুপি (৪ কোটি ৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা প্রায়), যা মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার সর্বমোট মূল্যের মাত্র ০.০১ শতাংশ।

এমবিপিএলের অংশীদাররা ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এক সভায় ইউনিটটি বন্ধ করা এবং বন্ধের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছিলেন। এরপর থেকে মাহিন্দ্রার বাংলাদেশ ইউনিট আর কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করেনি।

ভারতীয় গাড়িনির্মাতা মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা ২০১৯ সালে তার বাংলাদেশ ইউনিট চালু করেছিল। এর লক্ষ্য ছিল সবধরনের যাত্রী, পরিবহন ও ইউটিলিটি যানবাহন বিতরণ, গবেষণা ও উন্নয়নসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা।

মাহিন্দ্রা বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করছে মাহিন্দ্রা। ব্যবহারকারী ও অংশীদার মিলিয়ে এ দেশে ৫০ হাজার মানুষ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জড়িত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক গাড়ি ও ট্র্যাক্টর সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে মাহিন্দ্রা। গাড়ি-ট্র্যাক্টরের পাশাপাশি বাংলাদেশে জেনারেটর, নির্মাণ সরঞ্জাম, কৃষি-ব্যবসা, তথ্য-প্রযুক্তি এবং সোলার প্যানেলেরও ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠানটির।


আরও খবর